ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ঘেঁষা আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নর ভবানীপুর (হাজং, গারো) ও নয়াপাড়া গ্রামের প্রায় ২ হাজার লোকজনের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বটতলা রাঙাছড়ার উপর ভাঙাব্রিজ। প্রায় ৫০ বছর যাবৎ এলাকার লোকজন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এই সীমান্ত এলাকায় রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভবানীপুর বিজিবি ক্যাম্প। এলাকার শতশত শিক্ষার্থী, মুমূর্ষু রোগী ও বিজিবি সদস্যদের যাতায়াতে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। উপজেলার দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নে যাতায়াতে একমাত্র এই সড়কটির ওপর উত্তর ফারংপাড়া বটতলা বালাদেশ-ভারত সীমান্ত পিলার নম্বর ১১৫৬ সোমেশ্বরী নদীর তীর ঘেঁষা সড়কটির মাঝখানে ভারত হতে আসা খরস্রোতা রাঙাছড়া। আর এই ছড়ার পানি প্রবাহিত হচ্ছে সোমশ্বেরী নদীতে। এর রয়েছে ভীষণ স্রোত। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় চারিদিকে পাহাড় ও চাষাবাদের জমি থাকায় নেই কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা হাট বাজার। গ্রামের প্রায় সকল শিক্ষার্থী পড়াশুনা ও স্থানীয়দের হাট বাজারের জন্য আসতে হয় উপজেলা সদরে। কিন্তু ব্রিজ ভাঙ্গা থাকায় ছড়ার কখনো হাটু পানি কখনো বা কোমর সমান পানি পেরিয়ে আসতে হয় এপারে। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা পায়ে হেটে পানি পাড় হতে গিয়ে পানিতে পরে বই খাতা ভিজে হয়ে যায় একাকার। ফলে আর যাওয়া হয় না বিদ্যালয়ে। তাদের ভেজা শরীর নিয়ে ফিরে যেতে হয়ে বাড়িতে। আর বৃষ্টি হলে ছড়ায় পানি বেড়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায় উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা। আর এর প্রভাব পড়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ও স্থানীয়দের জীবন যাত্রার উপর।
উত্তর ফারংপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টি বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই ভাবানীপুর গ্রামের। প্রায় দৈনন্দিন ব্রিজ ভাঙ্গা থাকায় নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসা ছেড়ে দিয়েছে অনেক শিক্ষার্থী। তাছাড়া পর্যটন শিল্পের জন্যও এই এলাকায় রয়েছে অপার সম্ভাবনা। প্রতিদিনিই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা আসেন এখানে। কিন্তু ব্রিজ ভাঙা থাকায় সীমান্তের বেশির ভাগ পর্যটক হতাশা নিয়ে ফিরে যায়। ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা অনল হাজং, প্রশান্ত হাজং, প্রমোদ চিরান, তুষার , জালাল মিয়া, নবী হোসেন সহ আরো অনেকে জানান, প্রতিদিনই ছড়া দিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ে আছে কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই। প্রতিদিন হাজারও ভোগান্তির শিকার হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে আমাদের। একজন রোগী নিয়ে যে হাসপাতালে যাবো তারও কোন ব্যবস্থা নেই।
দুর্গাপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সয়েল টেস্টসহ অন্যান্য সকল পরীক্ষা শেষ করে অনুমোদনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। তবে ভারতের বিএসএফ এর কোনো অনুমোদন না পাওয়ায় সেতুটি মেরামতের দেরি হচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, ব্রিজটি সংস্কারের জন্য বহুবার চেষ্টা করা হলেও উভয় দেশের সীমান্ত এলাকা হওয়ায় কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকায় কাজ করা যাচ্ছে না।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ঘেঁষা আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নর ভবানীপুর (হাজং, গারো) ও নয়াপাড়া গ্রামের প্রায় ২ হাজার লোকজনের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বটতলা রাঙাছড়ার উপর ভাঙাব্রিজ। প্রায় ৫০ বছর যাবৎ এলাকার লোকজন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এই সীমান্ত এলাকায় রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভবানীপুর বিজিবি ক্যাম্প। এলাকার শতশত শিক্ষার্থী, মুমূর্ষু রোগী ও বিজিবি সদস্যদের যাতায়াতে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। উপজেলার দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নে যাতায়াতে একমাত্র এই সড়কটির ওপর উত্তর ফারংপাড়া বটতলা বালাদেশ-ভারত সীমান্ত পিলার নম্বর ১১৫৬ সোমেশ্বরী নদীর তীর ঘেঁষা সড়কটির মাঝখানে ভারত হতে আসা খরস্রোতা রাঙাছড়া। আর এই ছড়ার পানি প্রবাহিত হচ্ছে সোমশ্বেরী নদীতে। এর রয়েছে ভীষণ স্রোত। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় চারিদিকে পাহাড় ও চাষাবাদের জমি থাকায় নেই কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা হাট বাজার। গ্রামের প্রায় সকল শিক্ষার্থী পড়াশুনা ও স্থানীয়দের হাট বাজারের জন্য আসতে হয় উপজেলা সদরে। কিন্তু ব্রিজ ভাঙ্গা থাকায় ছড়ার কখনো হাটু পানি কখনো বা কোমর সমান পানি পেরিয়ে আসতে হয় এপারে। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা পায়ে হেটে পানি পাড় হতে গিয়ে পানিতে পরে বই খাতা ভিজে হয়ে যায় একাকার। ফলে আর যাওয়া হয় না বিদ্যালয়ে। তাদের ভেজা শরীর নিয়ে ফিরে যেতে হয়ে বাড়িতে। আর বৃষ্টি হলে ছড়ায় পানি বেড়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায় উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা। আর এর প্রভাব পড়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ও স্থানীয়দের জীবন যাত্রার উপর।
উত্তর ফারংপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টি বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই ভাবানীপুর গ্রামের। প্রায় দৈনন্দিন ব্রিজ ভাঙ্গা থাকায় নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসা ছেড়ে দিয়েছে অনেক শিক্ষার্থী। তাছাড়া পর্যটন শিল্পের জন্যও এই এলাকায় রয়েছে অপার সম্ভাবনা। প্রতিদিনিই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা আসেন এখানে। কিন্তু ব্রিজ ভাঙা থাকায় সীমান্তের বেশির ভাগ পর্যটক হতাশা নিয়ে ফিরে যায়। ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা অনল হাজং, প্রশান্ত হাজং, প্রমোদ চিরান, তুষার , জালাল মিয়া, নবী হোসেন সহ আরো অনেকে জানান, প্রতিদিনই ছড়া দিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ে আছে কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই। প্রতিদিন হাজারও ভোগান্তির শিকার হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে আমাদের। একজন রোগী নিয়ে যে হাসপাতালে যাবো তারও কোন ব্যবস্থা নেই।
দুর্গাপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সয়েল টেস্টসহ অন্যান্য সকল পরীক্ষা শেষ করে অনুমোদনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। তবে ভারতের বিএসএফ এর কোনো অনুমোদন না পাওয়ায় সেতুটি মেরামতের দেরি হচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, ব্রিজটি সংস্কারের জন্য বহুবার চেষ্টা করা হলেও উভয় দেশের সীমান্ত এলাকা হওয়ায় কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকায় কাজ করা যাচ্ছে না।