ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ভাঙা ও জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করা সেই তোজাম্মেল - জহুরা দম্পতিকে টিনের ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন হাউজ অফ মান্নান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে রায়গঞ্জে অসহায় তোজাম্মেল জহুরা দম্পতির মানবেতর জীবনযাপন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি প্রচেষ্টা সবার জন্য মানবিক সংগঠনের নজরে আসে। গত শনিবার হাউজ অফ মান্নান চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থায়নে ও প্রচেষ্টা সবার জন্য মানবিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শাহবাজ খান সানি একটি টিন সেট ঘর ও পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য টয়লেট নির্মাণ করে দেন। এ সময় লেপ তোশক, বালিশসহ একটি চৌকি অসহায় জহুরা মোজাম্মেল দম্পতির হাতে তুলে দেন।
জহুরা বেগম জানান, সংবাদ প্রকাশের পর প্রচেষ্টা সবার জন্য মানবিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা তার জরাজীর্ণ ঘরটি পরিদর্শন করেন। কয়েকদিনের ব্যবধানে টিন, সিমেন্টের খুঁটি ও বাঁশ নিয়ে এসে ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। বর্তমানে ঘরের কাজ শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন ঘর পেয়ে আমি অনেক খুশি। এখন শীত কিংবা বর্ষাতে আর কষ্ট করতে হবে না। কখনও ভাবিনি আমার থাকার জন্য নতুন ঘর হবে। এত তাড়াতাড়ি ঘর পেয়ে তিনি সহযোগীদের জন্য দোয়া করেন। এর আগেও তিনি এই সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি হুইল চেয়ার, সাবলম্বী উপকরণ হিসাবে দুটি মা ছাগল ও বাজার সামগ্রী সহায়তা পান।
প্রতিবেশী আতিকুল ইসলাম জানান, জহুরা বেগমের কষ্ট ছিল অসহনীয়। প্রায়ই তিনি কাঁদতে কাঁদতে প্রতিবেশীদের কাছে যেতেন, কিন্তু বাস্তবে তেমন সহযোগিতা পাননি। অবশেষে নতুন ঘর ও প্রয়োজনীয় সবকিছু পেয়েছে। তার খুশিতে আমরাও খুশি ।
প্রচেষ্টা সবার জন্য মানবিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শাহবাজ খান সানি বলেন, অসহায় মোজাম্মেলকে নিয়ে প্রকাশিত খবরটি আমার নজরে আসলে ঘরের জায়গাটির মালিক অন্য এক ব্যক্তি হওয়ার কারণে সেখানে পাকা ঘর করে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে বসবাসের উপযুক্ত টিনের ঘর ও পাকা টয়লেট, আসবাপত্রসহ হুইল চেয়ার, সাবলম্বী উপকরণ দেওয়া হয়েছে। আমাদের সংগঠনের পক্ষে থেকে এ নিয়ে মোট ১০৬ টি আপন নিবাস ঘর উপহার দেওয়া হলো।
ঘর উদ্বোধনের সময় স্বপ্ন নিয়ে পথ চলা সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এস এম বাহাদুর আলী, স্বেচ্ছাসেবী রাজু আহমেদ রুবেল, নাজমুল ইসলাম প্রমুখ। আরাফাত ও গণমাধ্যম কর্মী সাইদুল ইসলাম আবির উপস্থিত ছিলেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ভাঙা ও জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করা সেই তোজাম্মেল - জহুরা দম্পতিকে টিনের ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন হাউজ অফ মান্নান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে রায়গঞ্জে অসহায় তোজাম্মেল জহুরা দম্পতির মানবেতর জীবনযাপন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি প্রচেষ্টা সবার জন্য মানবিক সংগঠনের নজরে আসে। গত শনিবার হাউজ অফ মান্নান চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থায়নে ও প্রচেষ্টা সবার জন্য মানবিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শাহবাজ খান সানি একটি টিন সেট ঘর ও পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য টয়লেট নির্মাণ করে দেন। এ সময় লেপ তোশক, বালিশসহ একটি চৌকি অসহায় জহুরা মোজাম্মেল দম্পতির হাতে তুলে দেন।
জহুরা বেগম জানান, সংবাদ প্রকাশের পর প্রচেষ্টা সবার জন্য মানবিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা তার জরাজীর্ণ ঘরটি পরিদর্শন করেন। কয়েকদিনের ব্যবধানে টিন, সিমেন্টের খুঁটি ও বাঁশ নিয়ে এসে ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। বর্তমানে ঘরের কাজ শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন ঘর পেয়ে আমি অনেক খুশি। এখন শীত কিংবা বর্ষাতে আর কষ্ট করতে হবে না। কখনও ভাবিনি আমার থাকার জন্য নতুন ঘর হবে। এত তাড়াতাড়ি ঘর পেয়ে তিনি সহযোগীদের জন্য দোয়া করেন। এর আগেও তিনি এই সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি হুইল চেয়ার, সাবলম্বী উপকরণ হিসাবে দুটি মা ছাগল ও বাজার সামগ্রী সহায়তা পান।
প্রতিবেশী আতিকুল ইসলাম জানান, জহুরা বেগমের কষ্ট ছিল অসহনীয়। প্রায়ই তিনি কাঁদতে কাঁদতে প্রতিবেশীদের কাছে যেতেন, কিন্তু বাস্তবে তেমন সহযোগিতা পাননি। অবশেষে নতুন ঘর ও প্রয়োজনীয় সবকিছু পেয়েছে। তার খুশিতে আমরাও খুশি ।
প্রচেষ্টা সবার জন্য মানবিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শাহবাজ খান সানি বলেন, অসহায় মোজাম্মেলকে নিয়ে প্রকাশিত খবরটি আমার নজরে আসলে ঘরের জায়গাটির মালিক অন্য এক ব্যক্তি হওয়ার কারণে সেখানে পাকা ঘর করে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে বসবাসের উপযুক্ত টিনের ঘর ও পাকা টয়লেট, আসবাপত্রসহ হুইল চেয়ার, সাবলম্বী উপকরণ দেওয়া হয়েছে। আমাদের সংগঠনের পক্ষে থেকে এ নিয়ে মোট ১০৬ টি আপন নিবাস ঘর উপহার দেওয়া হলো।
ঘর উদ্বোধনের সময় স্বপ্ন নিয়ে পথ চলা সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এস এম বাহাদুর আলী, স্বেচ্ছাসেবী রাজু আহমেদ রুবেল, নাজমুল ইসলাম প্রমুখ। আরাফাত ও গণমাধ্যম কর্মী সাইদুল ইসলাম আবির উপস্থিত ছিলেন।