নিভৃত গ্রামাঞ্চলের কৃষক জোবায়দুল ইসলাম। কৃষি ফসল উৎপাদন করেই সংসার চলে তার। চলতি মৌসুমে আবাদ করেছেন হাইব্রিড জাতের গোল বেগুন। এখান থেকে ৮ লাখ টাকা লাভের স্বপ্ন দেখেন তিনি। এরই মধ্যে মোজাইক নামের একটি ভাইরাস আক্রমণ করেছে এ ক্ষেতে। এ কারনে মরে যাচ্ছে বেগুনগাছ। ঝড়ে পড়ছে উঠতি ফসল। ক্ষতির শঙ্কায় চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছেন এই কৃষক।
সরেজমিনে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের কৃষিমাঠে দেখা গেছে- বেগুন খেতের বেদনাপূর্ণ চিত্র। এসময় আক্রান্ত খেত বাঁচাতে বিভিন্ন ধরণের কীটনাশক নিয়ে জমিতে ছুটাছুটি করছিলেন জোবায়দুল।
এ কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন শাক-সবজি উৎপাদনই তার নেশা ও পেশা। এ থেকে পরিবারের মৌলিক চাহিদা পূরণের চেষ্টা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মৌসুমে ৫০ শতক জমিতে মালতি, ভেনুছূড়া ও ৪২২ হাইব্রিড জাতের গোল বেগুন আবাদ করেন। নাটোর জেলা থেকে এই চারা সংগ্রহ করছিলেন। এতে দেখা দেয় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। ইতোমধ্যে ফসল সংগ্রহও শুরু করা হয়। এ ফসল বিক্রি করে প্রায় ৭ লাখের বেশি টাকা লাভের স্বপ্ন দেখেন। এরই মধ্যে অধিকাংশ বেগুন গাছ মোজাইক ভাইরাসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে গাছের পাতাগুলো সবুজ থেকে হলদে বর্ণ ধারনের পর দেখা দিয়েছে গাছের মড়ক। পঁচন ধরে ঝড়ে পড়ছে সম্ভাব্য বেগুনগুলো। এতে করে ক্ষতির শঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটছে প্রান্তিক কৃষক জোবায়দুলের।
অন্যান্য কৃষকরা বলছেন, বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করেন তারা। কিন্তু এ বছর বেগুন খেতে নানা ধরনের রোগবালাই আক্রমণ করছে। এতে করে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন তারা।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জোবায়দুল ইসলাম জানান, তিনি ৫০ শতক জমিতে বেগুন আবাদ করেছেন। এখানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা লাভের দেখছিলেন। কিন্তু মোজাইক ভাইরাস ধরার কারনে ক্ষতি শিকার হচ্ছেন। এর রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক প্রয়োগে কাজ হচ্ছে না বলে এ কৃষকের অভিযোগ।
সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইউনুছ আলী মন্ডল বলেন, জোবায়দুলের বেগুন ক্ষেতে মোজাইক ভাইরাস লেগেছে। ইতোমধ্যে তার ক্ষেত পরিদর্শন করে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিভৃত গ্রামাঞ্চলের কৃষক জোবায়দুল ইসলাম। কৃষি ফসল উৎপাদন করেই সংসার চলে তার। চলতি মৌসুমে আবাদ করেছেন হাইব্রিড জাতের গোল বেগুন। এখান থেকে ৮ লাখ টাকা লাভের স্বপ্ন দেখেন তিনি। এরই মধ্যে মোজাইক নামের একটি ভাইরাস আক্রমণ করেছে এ ক্ষেতে। এ কারনে মরে যাচ্ছে বেগুনগাছ। ঝড়ে পড়ছে উঠতি ফসল। ক্ষতির শঙ্কায় চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছেন এই কৃষক।
সরেজমিনে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের কৃষিমাঠে দেখা গেছে- বেগুন খেতের বেদনাপূর্ণ চিত্র। এসময় আক্রান্ত খেত বাঁচাতে বিভিন্ন ধরণের কীটনাশক নিয়ে জমিতে ছুটাছুটি করছিলেন জোবায়দুল।
এ কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন শাক-সবজি উৎপাদনই তার নেশা ও পেশা। এ থেকে পরিবারের মৌলিক চাহিদা পূরণের চেষ্টা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মৌসুমে ৫০ শতক জমিতে মালতি, ভেনুছূড়া ও ৪২২ হাইব্রিড জাতের গোল বেগুন আবাদ করেন। নাটোর জেলা থেকে এই চারা সংগ্রহ করছিলেন। এতে দেখা দেয় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। ইতোমধ্যে ফসল সংগ্রহও শুরু করা হয়। এ ফসল বিক্রি করে প্রায় ৭ লাখের বেশি টাকা লাভের স্বপ্ন দেখেন। এরই মধ্যে অধিকাংশ বেগুন গাছ মোজাইক ভাইরাসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে গাছের পাতাগুলো সবুজ থেকে হলদে বর্ণ ধারনের পর দেখা দিয়েছে গাছের মড়ক। পঁচন ধরে ঝড়ে পড়ছে সম্ভাব্য বেগুনগুলো। এতে করে ক্ষতির শঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটছে প্রান্তিক কৃষক জোবায়দুলের।
অন্যান্য কৃষকরা বলছেন, বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করেন তারা। কিন্তু এ বছর বেগুন খেতে নানা ধরনের রোগবালাই আক্রমণ করছে। এতে করে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন তারা।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জোবায়দুল ইসলাম জানান, তিনি ৫০ শতক জমিতে বেগুন আবাদ করেছেন। এখানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা লাভের দেখছিলেন। কিন্তু মোজাইক ভাইরাস ধরার কারনে ক্ষতি শিকার হচ্ছেন। এর রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক প্রয়োগে কাজ হচ্ছে না বলে এ কৃষকের অভিযোগ।
সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইউনুছ আলী মন্ডল বলেন, জোবায়দুলের বেগুন ক্ষেতে মোজাইক ভাইরাস লেগেছে। ইতোমধ্যে তার ক্ষেত পরিদর্শন করে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।