কেশবপুর (যশোর) : দুর্বৃত্তের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পোল্ট্রি খামার -সংবাদ
কেশবপুরের বরনডালি গ্রামে আদালতে বিপক্ষে সাক্ষী দেয়ার জের ধরে একটি বাণিজ্যিক পোল্ট্রি খামার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই খামারীর ৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা গেছে, ৭ বছর আগে উপজেলার বরনডালি গ্রামের রফিক কাজী একই গ্রামের শেখ শওকত আলী ওরফে তোতন শেখের (৭৫) আম বাগের জমি লীজ নিয়ে সেখানে বাণিজ্যিকভাবে পোল্ট্রি খামার গড়ে ব্যবসা করছেন। এছাড়া, বিগত ৩ বছর আগে একই গ্রামের মাসুদ হোসেন বৃদ্ধ তোতন শেখের আম বাগের আম ক্রয় করেন। এসময় তোতন শেখের দাবিকৃত আম বিক্রির ৫ হাজার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে বৃদ্ধ তোতন শেখ উত্তেজিত হয়ে পড়লে তিনি জ্ঞান হারিয়ে মাঠিতে লুটিয়ে পড়েন। মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধর করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় তোতন শেখের ছেলে আবুল হোসেন বিদ্যুৎ বাদি হয়ে কেশবপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। নিহত তোতন শেখের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই পুলিশ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
রফিক কাজী অভিযোগ করেন, কিছুদিন পর আবুল হোসেন বিদ্যুৎ এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তিনি গ্রামের আয়ুব হোসেন, মাসুদ হোসেন, ইব্রাহিম হোসেন, শরীফুল ইসলামসহ ৮ জনকে আসামী করে যশোর বিজ্ঞ আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্যে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোরকে নির্দেশ দেয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পিবিআই এর সাব ইন্সপেক্টর মোনায়েম হোসেন আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলাটি বর্তমান সাক্ষী পর্যায়ে রয়েছে এবং ইতোপূর্বে ৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যও নিয়েছে আদালত। এদিকে, ১৫ সেপ্টেম্বর এ মামলার ৫ নম্বর সাক্ষী রফিক কাজীর আদালতে সাক্ষীর দিন ছিল। তিনি বৃদ্ধ তোতন শেখের মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শেখ আবুল হোসেন বিদ্যুৎ আদালতে তাদের পক্ষে সাক্ষী না দেয়ার জের ধরে রফিক কাজীর পোল্ট্রি খামার ভাঙচুর করে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। ৩ দিনের মধ্যে পোল্ট্রি খামার ভেঙে নিয়ে যেতে হুমকি দেয়া। এর পর হুমকির মুখে রয়েছে মামলার অপর সাক্ষী মনিরুল ইসলাম। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শেখ আবুল হোসেন বিদ্যুৎ বলেন, তারা রফিক কাজী পোল্ট্রি খামার ভাঙচুর করেনি। আমরা ভাই ভাই আলাদা হয়ে যাবো। তাই তাকে পোল্ট্রি খামার সরিয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
কেশবপুর (যশোর) : দুর্বৃত্তের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পোল্ট্রি খামার -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কেশবপুরের বরনডালি গ্রামে আদালতে বিপক্ষে সাক্ষী দেয়ার জের ধরে একটি বাণিজ্যিক পোল্ট্রি খামার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই খামারীর ৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা গেছে, ৭ বছর আগে উপজেলার বরনডালি গ্রামের রফিক কাজী একই গ্রামের শেখ শওকত আলী ওরফে তোতন শেখের (৭৫) আম বাগের জমি লীজ নিয়ে সেখানে বাণিজ্যিকভাবে পোল্ট্রি খামার গড়ে ব্যবসা করছেন। এছাড়া, বিগত ৩ বছর আগে একই গ্রামের মাসুদ হোসেন বৃদ্ধ তোতন শেখের আম বাগের আম ক্রয় করেন। এসময় তোতন শেখের দাবিকৃত আম বিক্রির ৫ হাজার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে বৃদ্ধ তোতন শেখ উত্তেজিত হয়ে পড়লে তিনি জ্ঞান হারিয়ে মাঠিতে লুটিয়ে পড়েন। মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধর করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় তোতন শেখের ছেলে আবুল হোসেন বিদ্যুৎ বাদি হয়ে কেশবপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। নিহত তোতন শেখের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই পুলিশ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
রফিক কাজী অভিযোগ করেন, কিছুদিন পর আবুল হোসেন বিদ্যুৎ এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তিনি গ্রামের আয়ুব হোসেন, মাসুদ হোসেন, ইব্রাহিম হোসেন, শরীফুল ইসলামসহ ৮ জনকে আসামী করে যশোর বিজ্ঞ আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্যে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোরকে নির্দেশ দেয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পিবিআই এর সাব ইন্সপেক্টর মোনায়েম হোসেন আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলাটি বর্তমান সাক্ষী পর্যায়ে রয়েছে এবং ইতোপূর্বে ৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যও নিয়েছে আদালত। এদিকে, ১৫ সেপ্টেম্বর এ মামলার ৫ নম্বর সাক্ষী রফিক কাজীর আদালতে সাক্ষীর দিন ছিল। তিনি বৃদ্ধ তোতন শেখের মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শেখ আবুল হোসেন বিদ্যুৎ আদালতে তাদের পক্ষে সাক্ষী না দেয়ার জের ধরে রফিক কাজীর পোল্ট্রি খামার ভাঙচুর করে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। ৩ দিনের মধ্যে পোল্ট্রি খামার ভেঙে নিয়ে যেতে হুমকি দেয়া। এর পর হুমকির মুখে রয়েছে মামলার অপর সাক্ষী মনিরুল ইসলাম। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শেখ আবুল হোসেন বিদ্যুৎ বলেন, তারা রফিক কাজী পোল্ট্রি খামার ভাঙচুর করেনি। আমরা ভাই ভাই আলাদা হয়ে যাবো। তাই তাকে পোল্ট্রি খামার সরিয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।