ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার নূর নেছা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহমুদুর রশিদ ওরফে ইমনের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলা, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাত এবং কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আমেরিকা প্রবাসী মুহাম্মদ আব্দুস সালামকে জীবননাশের হুমকির অভিযোগসমূহের সত্যতা যাচাইয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক গঠিত দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গত ১৩ সেপ্টেম্বর সরেজমিন তদন্তকার্য পরিচালনা করেছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সহকারী কলেজ পরিদর্শক মোহাম্মদ লোকমান মুন্সি ও সেকশন অফিসার মো. হিরু শেখ গত ১৩ই সেপ্টেম্বর দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত কলেজে সরেজমিন তদন্তকার্য পরিচালনাকালে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মো. মাহমুদুর রশিদ (৩৫) এবং কলেজের শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তদন্ত কমিটির কাছে কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহমুদুর রশিদের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ও আয়-ব্যয়ের ভাউচার উপস্থাপন করতে পারেননি।
এ প্রেক্ষিতে তদন্তকারী দল ১১টি বিষয়ের মধ্যে - কলেজের পাঠদানের অনুমতিপত্র, কলেজের নামে জমির কাগজ, প্রথম ও শেষ কমিটির কাগজ, শেষ অনুমতিপত্র, অধ্যক্ষসহ শিক্ষক কর্মচারীর নিয়োগ সংক্রান্ত সকল কাগজ, অডিট রিপোর্ট হালনাগাদ, বিগত ৩ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল, বিগত দুই শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থীর সংখ্যা, গত ০১/৬/২০২২ তারিখ হতে কলেজের একাউন্ট এবং অধ্যক্ষের ব্যাংক হিসাবের স্টেটমেন্ট এবং কলেজ লাইব্রেরীতে বইয়ের সংখ্যার কাগজপত্র ও প্রমাণাদি আগামী ৭দিনের মধ্যে বোর্ডে জমা দেওয়ার জন্য অধ্যক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তদন্ত কার্য শেষে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের তদন্তকারী দল অভিযোগের সত্যতা বা অনিয়ম-দুর্নীতি প্রমাণ পেয়েছেন কি না সাংবাদিকদের প্রশ্নের তারা কোন মন্তব্য তারা করেননি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর গত ৯ জুলাই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আমেরিকা প্রবাসী মুহাম্মদ আব্দুস সালাম লিখিত অভিযোগে বলেন, আমি মুহাম্মদ আব্দুস সালাম একজন প্রবাসী। বর্তমানে আমি আমেরিকাতে বসবাস করি। গত ০২/০৬/২০২২ তারিখে নূর নেছা স্কুল এন্ড কলেজর অধ্যক্ষ হিসেবে কাঁটাবাড়ীয়া গ্রামের মোঃ হারুনুর রশিদের পুত্র মোঃ মাহমুদুর রশিদকে নিয়োগ দেওয়া হয়। আমার জন্মভূমি কাটাবাড়ীয়া হতে চতুর দিকে প্রায় ৯ থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোন কলেজ নাই। গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে পড়াশুনা থেকে পিছিয়ে না পড়ে সে কারণে আমার মায়ের নিজস্ব জমির উপর মায়ের নামে নূর নেছা স্কুল এন্ড কলেজটি প্রতিষ্ঠা করি। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে কালুখালী উপজেলার মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে প্রতিষ্ঠানটি প্রথম স্থান অধিকার করে। কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সব কিছুই ফ্রি। শিক্ষকদের বেতন, ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন ফ্রি, বই ফ্রি, পোশাক ফ্রি, টিউশন ফি ফ্রি, ভর্তি ফ্রি, পরীক্ষার ফি এমনকি যাতায়াতের জন্য বিনামূল্যে গাড়ীর ব্যবস্থা আমি করে দিয়েছি।
বিদেশ থেকে প্রতিমাসে আমার কষ্টার্জিত লাখ লাখ টাকা কলেজের খরচের জন্য পাঠাই। সমস্ত টাকাই কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহমুদুর রশিদের ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্টে এবং বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়েছিলাম। জুন-২০২২ থেকে অক্টোবর-২০২৪ ইং পর্যন্ত সর্বমোট ৪৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮৬ টাকা পাঠিয়েছি। যা অধ্যক্ষের ব্যাংক একাউন্ট চেক ও বিকাশ একাউন্ট চেক করলে পাওয়া যাবে। কিন্তু অধ্যক্ষ মাহমুদুর রশিদ টাকা পয়সা খরচের কোন সঠিক হিসাব আমাকে কখনই দেন না। হিসাব চাইলেই বিভিন্ন অজুহাত দেখান। বহুবার মৌখিকভাবে এবং লিখিত ভাবে নোটিশ দেওয়ার পরও কোন উত্তর দেন নাই। হিসাব চাওয়াতে আমাকে জীবনে শেষ করে ফেলার হুমকি দেয়। গত ১৩/০২/২০২৫ তারিখে অধ্যক্ষ মাহমুদুর রশিদকে প্রথম কারণ দর্শানোর নোটিশ, ২৭/০২/২০২৫ তারিখে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ ও ১৬/০৩/২০২৫ তারিখে তৃতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয় এবং গত ০৬/০৪/২০২৫ তারিখে অধ্যক্ষ মাহমুদুর রশিদকে সাময়িক বরখাস্তকরণ নোটিশ প্রদান করা হয়। কিন্তু অদ্যবধি অধ্যক্ষ মাহমুদুর রশিদ উল্লেখিত পত্রের কোন জবাব নাই যা চাকুরীর শৃঙ্খলার পরিপন্থী। তিনি আরো বলেন, আমার নামে কলেজটির পিছনে জমি ক্রয়ের জন্য অধ্যক্ষ মাহমুদুর রশিদের কাছে টাকা পাঠিয়ে ছিলাম তিনি সেই জমি আমার নামে ক্রয় না করে তার নিজের নামে ক্রয় করে রেজিস্ট্রি করে নেয়। পরবর্তীতে ওই জমি আমার নামে রেজিস্ট্রি করে দিবে বলে আমার কাছ থেকে ওই জমির মিউটিশনের জন্য ৮হাজার টাকা গ্রহণ করে। এরপর তিনি ওই জমি নিজের নামে মিউটিশন করেছে কিন্তু আজ পর্যন্ত ওই জমি আমার নামে রেজিস্ট্রি করে দেয়নি।
প্রবাসী আব্দুস সালাম বলেন, আমার স্ত্রীর নামে কুমকুম দারুস সালাম মহিলা হাফেজিয়া মাদ্রাসা এবং আমার বাবার নামে গফুরিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করি। ওই মাদ্রসার দায়িত্বও দেয়া হয় মো. মামুনুর রশিদকে। এখানেও তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা এবং মাদ্রাসার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া যায়। সে কারণে নিজেদেরকে নিরাপদ রাখার জন্য তিনি এবং তার বাবা মোঃ হারুনুর রশিদ মসজিদের ভিতরে গ্রামের লোকজন ডেকে তাদের সামনে নিজেরাই দুই মাদ্রাসার দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে স্বেচ্ছায় বিদায় নেয়। দুইটি মাদ্রাসা মিলে প্রায় মোট ৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী ছিল। যাদের মাসিক থাকা এবং খাওয়া-দাওয়া ও শিক্ষকদের বেতনসহ সব কিছু আমি বহন করতাম।
তিনি বলেন, মাহমুদুর রশিদ নিজে শিক্ষকতা না করে ১জন শিক্ষকের মাসিক বেতন নিতো পুরুষ মাদ্রাসা থেকে। আমি হিসাব নিতে গিয়ে এই বিষয়টি ধরা পড়ে। আমি এই টাকা নিতে বাঁধা দেওয়ায় মাদ্রাসা থেকে আর অর্থ আত্মসাত করতে না পারায় আমার ওপরে ক্ষিপ্ত হয়ে মাহমুদুর রশিদ ইমন ও তার সহযোগী গফুরিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার দায়িত্বে থাকা হাফেজ মো. ইছারুহুল্লা জোয়াদ্দার তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই মাসে আগে থেকেই মাদ্রাসার অফিস থেকে মাদ্রাসার কম্পিউটার, প্রিন্টার, ক্যামেরা ও মাদ্রাসার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে যায়। অন্য আরেক জন কাটাবাড়ীয়া গ্রামের রাকিবুল হাসান স্বপন সে মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রীদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায় এবং মহিলা মাদ্রাসার পথে কাঁটা দিয়ে পথ বন্ধ করে দেয়। যার কারণে ছাত্রী না আসায় মহিলা মাদ্রাসাটি বন্ধ হয়ে যায়।
কয়েকজন শিক্ষক বলেন, এই কলেজে সরকারী কোন সহযোগিতা আসতো না। কলেজের সমস্ত খরচ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুস সালাম বহন করতো। কিন্তু তার সাথে প্রিন্সিপালের কি একটা ঝামেলা হয়েছে এতে আমরা কলেজ থেকে ১বছরেরও বেশি বেতন পাই না। কিন্তু প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এই কলেজের অনেক সুনাম রয়েছে।
এ ব্যাপারে কলেজের প্রিন্সিপাল মাহমুদুর রশিদ ইমন বলেন, এই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুস সালাম সে আমার আপন কাকা। সে কলেজ চালানোর জন্য টাকা পাঠিয়েছে আমি তা অস্বীকার করব না। তার পাঠানো টাকা কলেজের পিছনে খরচ করেছি, তার এনজিওতে খরচ করেছি, মাদ্রাসাতে খরচ করেছি, এছাড়া আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্নজনকে তার কথামতোই টাকা দিয়েছি। কলেজে বই কিনেছি, ড্রেস কিনেছি, শিক্ষকদের বেতন দিয়েছি সবই ওই টাকা দিয়ে। কলেজে আমি কোন দুর্নীতি বা অর্থ আত্মসাত করিনি।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার নূর নেছা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহমুদুর রশিদ ওরফে ইমনের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলা, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাত এবং কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আমেরিকা প্রবাসী মুহাম্মদ আব্দুস সালামকে জীবননাশের হুমকির অভিযোগসমূহের সত্যতা যাচাইয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক গঠিত দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গত ১৩ সেপ্টেম্বর সরেজমিন তদন্তকার্য পরিচালনা করেছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সহকারী কলেজ পরিদর্শক মোহাম্মদ লোকমান মুন্সি ও সেকশন অফিসার মো. হিরু শেখ গত ১৩ই সেপ্টেম্বর দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত কলেজে সরেজমিন তদন্তকার্য পরিচালনাকালে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মো. মাহমুদুর রশিদ (৩৫) এবং কলেজের শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তদন্ত কমিটির কাছে কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহমুদুর রশিদের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ও আয়-ব্যয়ের ভাউচার উপস্থাপন করতে পারেননি।
এ প্রেক্ষিতে তদন্তকারী দল ১১টি বিষয়ের মধ্যে - কলেজের পাঠদানের অনুমতিপত্র, কলেজের নামে জমির কাগজ, প্রথম ও শেষ কমিটির কাগজ, শেষ অনুমতিপত্র, অধ্যক্ষসহ শিক্ষক কর্মচারীর নিয়োগ সংক্রান্ত সকল কাগজ, অডিট রিপোর্ট হালনাগাদ, বিগত ৩ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল, বিগত দুই শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থীর সংখ্যা, গত ০১/৬/২০২২ তারিখ হতে কলেজের একাউন্ট এবং অধ্যক্ষের ব্যাংক হিসাবের স্টেটমেন্ট এবং কলেজ লাইব্রেরীতে বইয়ের সংখ্যার কাগজপত্র ও প্রমাণাদি আগামী ৭দিনের মধ্যে বোর্ডে জমা দেওয়ার জন্য অধ্যক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তদন্ত কার্য শেষে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের তদন্তকারী দল অভিযোগের সত্যতা বা অনিয়ম-দুর্নীতি প্রমাণ পেয়েছেন কি না সাংবাদিকদের প্রশ্নের তারা কোন মন্তব্য তারা করেননি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর গত ৯ জুলাই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আমেরিকা প্রবাসী মুহাম্মদ আব্দুস সালাম লিখিত অভিযোগে বলেন, আমি মুহাম্মদ আব্দুস সালাম একজন প্রবাসী। বর্তমানে আমি আমেরিকাতে বসবাস করি। গত ০২/০৬/২০২২ তারিখে নূর নেছা স্কুল এন্ড কলেজর অধ্যক্ষ হিসেবে কাঁটাবাড়ীয়া গ্রামের মোঃ হারুনুর রশিদের পুত্র মোঃ মাহমুদুর রশিদকে নিয়োগ দেওয়া হয়। আমার জন্মভূমি কাটাবাড়ীয়া হতে চতুর দিকে প্রায় ৯ থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোন কলেজ নাই। গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে পড়াশুনা থেকে পিছিয়ে না পড়ে সে কারণে আমার মায়ের নিজস্ব জমির উপর মায়ের নামে নূর নেছা স্কুল এন্ড কলেজটি প্রতিষ্ঠা করি। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে কালুখালী উপজেলার মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে প্রতিষ্ঠানটি প্রথম স্থান অধিকার করে। কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সব কিছুই ফ্রি। শিক্ষকদের বেতন, ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন ফ্রি, বই ফ্রি, পোশাক ফ্রি, টিউশন ফি ফ্রি, ভর্তি ফ্রি, পরীক্ষার ফি এমনকি যাতায়াতের জন্য বিনামূল্যে গাড়ীর ব্যবস্থা আমি করে দিয়েছি।
বিদেশ থেকে প্রতিমাসে আমার কষ্টার্জিত লাখ লাখ টাকা কলেজের খরচের জন্য পাঠাই। সমস্ত টাকাই কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহমুদুর রশিদের ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্টে এবং বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়েছিলাম। জুন-২০২২ থেকে অক্টোবর-২০২৪ ইং পর্যন্ত সর্বমোট ৪৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮৬ টাকা পাঠিয়েছি। যা অধ্যক্ষের ব্যাংক একাউন্ট চেক ও বিকাশ একাউন্ট চেক করলে পাওয়া যাবে। কিন্তু অধ্যক্ষ মাহমুদুর রশিদ টাকা পয়সা খরচের কোন সঠিক হিসাব আমাকে কখনই দেন না। হিসাব চাইলেই বিভিন্ন অজুহাত দেখান। বহুবার মৌখিকভাবে এবং লিখিত ভাবে নোটিশ দেওয়ার পরও কোন উত্তর দেন নাই। হিসাব চাওয়াতে আমাকে জীবনে শেষ করে ফেলার হুমকি দেয়। গত ১৩/০২/২০২৫ তারিখে অধ্যক্ষ মাহমুদুর রশিদকে প্রথম কারণ দর্শানোর নোটিশ, ২৭/০২/২০২৫ তারিখে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ ও ১৬/০৩/২০২৫ তারিখে তৃতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয় এবং গত ০৬/০৪/২০২৫ তারিখে অধ্যক্ষ মাহমুদুর রশিদকে সাময়িক বরখাস্তকরণ নোটিশ প্রদান করা হয়। কিন্তু অদ্যবধি অধ্যক্ষ মাহমুদুর রশিদ উল্লেখিত পত্রের কোন জবাব নাই যা চাকুরীর শৃঙ্খলার পরিপন্থী। তিনি আরো বলেন, আমার নামে কলেজটির পিছনে জমি ক্রয়ের জন্য অধ্যক্ষ মাহমুদুর রশিদের কাছে টাকা পাঠিয়ে ছিলাম তিনি সেই জমি আমার নামে ক্রয় না করে তার নিজের নামে ক্রয় করে রেজিস্ট্রি করে নেয়। পরবর্তীতে ওই জমি আমার নামে রেজিস্ট্রি করে দিবে বলে আমার কাছ থেকে ওই জমির মিউটিশনের জন্য ৮হাজার টাকা গ্রহণ করে। এরপর তিনি ওই জমি নিজের নামে মিউটিশন করেছে কিন্তু আজ পর্যন্ত ওই জমি আমার নামে রেজিস্ট্রি করে দেয়নি।
প্রবাসী আব্দুস সালাম বলেন, আমার স্ত্রীর নামে কুমকুম দারুস সালাম মহিলা হাফেজিয়া মাদ্রাসা এবং আমার বাবার নামে গফুরিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করি। ওই মাদ্রসার দায়িত্বও দেয়া হয় মো. মামুনুর রশিদকে। এখানেও তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা এবং মাদ্রাসার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া যায়। সে কারণে নিজেদেরকে নিরাপদ রাখার জন্য তিনি এবং তার বাবা মোঃ হারুনুর রশিদ মসজিদের ভিতরে গ্রামের লোকজন ডেকে তাদের সামনে নিজেরাই দুই মাদ্রাসার দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে স্বেচ্ছায় বিদায় নেয়। দুইটি মাদ্রাসা মিলে প্রায় মোট ৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী ছিল। যাদের মাসিক থাকা এবং খাওয়া-দাওয়া ও শিক্ষকদের বেতনসহ সব কিছু আমি বহন করতাম।
তিনি বলেন, মাহমুদুর রশিদ নিজে শিক্ষকতা না করে ১জন শিক্ষকের মাসিক বেতন নিতো পুরুষ মাদ্রাসা থেকে। আমি হিসাব নিতে গিয়ে এই বিষয়টি ধরা পড়ে। আমি এই টাকা নিতে বাঁধা দেওয়ায় মাদ্রাসা থেকে আর অর্থ আত্মসাত করতে না পারায় আমার ওপরে ক্ষিপ্ত হয়ে মাহমুদুর রশিদ ইমন ও তার সহযোগী গফুরিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার দায়িত্বে থাকা হাফেজ মো. ইছারুহুল্লা জোয়াদ্দার তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই মাসে আগে থেকেই মাদ্রাসার অফিস থেকে মাদ্রাসার কম্পিউটার, প্রিন্টার, ক্যামেরা ও মাদ্রাসার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে যায়। অন্য আরেক জন কাটাবাড়ীয়া গ্রামের রাকিবুল হাসান স্বপন সে মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রীদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায় এবং মহিলা মাদ্রাসার পথে কাঁটা দিয়ে পথ বন্ধ করে দেয়। যার কারণে ছাত্রী না আসায় মহিলা মাদ্রাসাটি বন্ধ হয়ে যায়।
কয়েকজন শিক্ষক বলেন, এই কলেজে সরকারী কোন সহযোগিতা আসতো না। কলেজের সমস্ত খরচ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুস সালাম বহন করতো। কিন্তু তার সাথে প্রিন্সিপালের কি একটা ঝামেলা হয়েছে এতে আমরা কলেজ থেকে ১বছরেরও বেশি বেতন পাই না। কিন্তু প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এই কলেজের অনেক সুনাম রয়েছে।
এ ব্যাপারে কলেজের প্রিন্সিপাল মাহমুদুর রশিদ ইমন বলেন, এই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুস সালাম সে আমার আপন কাকা। সে কলেজ চালানোর জন্য টাকা পাঠিয়েছে আমি তা অস্বীকার করব না। তার পাঠানো টাকা কলেজের পিছনে খরচ করেছি, তার এনজিওতে খরচ করেছি, মাদ্রাসাতে খরচ করেছি, এছাড়া আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্নজনকে তার কথামতোই টাকা দিয়েছি। কলেজে বই কিনেছি, ড্রেস কিনেছি, শিক্ষকদের বেতন দিয়েছি সবই ওই টাকা দিয়ে। কলেজে আমি কোন দুর্নীতি বা অর্থ আত্মসাত করিনি।