দুই ইউপি সদস্যের দায় স্বীকার
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রংপুরের পীরগাছার কল্যাণী ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ইউপি সদস্য তদন্ত ব্যাহত করতে মব সৃষ্টির চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অবশেষে দায় স্বীকার করে নিলেন অভিযুক্ত দুই মেম্বার। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত টিমের প্রধান ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মুকিত বিন লিয়াকত।
অভিযোগে জানা যায়, গত ৪ জুলাই থেকে ৬ জুলাই সরকারি ছুটি থাকায় তিন দিন অফিস বন্ধ ছিল। এ সুযোগে কল্যাণী ইউনিয়নের ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নেছার আহমেদ ও হুমায়ুন কবির ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরের একটি বড় ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে নেন। গাছটির মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। গাছ কাটার সময় স্থানীয় লোকজন বাধা দিলে ইউপি সদস্যরা লোকজন নিয়ে ভয়ভীতি দেখান এবং জোরপূর্বক গাছ নিয়ে চলে যান। এমনকি যাওয়ার সময় পরিষদের বাকি গাছগুলোও কেটে নেওয়ার হুমকি দেন তারা।
পরে স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গাছ কাটার খবর দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় হারুন-অর-রশিদ নামে এক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। গত ২৫ আগস্ট বিষয়টি তদন্তের উদ্যোগ নেন ইউএনও। পরে গতকাল সোমবার তদন্তে গাছ কাটার সত্যতা পান তদন্ত কর্মকর্তা। এ ঘটনায় নেছার আহমেদ অকপটে গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বাড়ির কাজের জন্য হুমায়ুন মেম্বারসহ একটি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটেছি।
কল্যাণী ইউপির তৎকালীন প্রশাসক সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে জানতে পেরে ইউএনও মহোদয়কে অবগত করেছি।
তদন্ত টিমের প্রধান ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মুকিত বিন লিয়াকত বলেন, গতকাল সোমবার সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
দুই ইউপি সদস্যের দায় স্বীকার
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রংপুরের পীরগাছার কল্যাণী ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ইউপি সদস্য তদন্ত ব্যাহত করতে মব সৃষ্টির চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অবশেষে দায় স্বীকার করে নিলেন অভিযুক্ত দুই মেম্বার। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত টিমের প্রধান ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মুকিত বিন লিয়াকত।
অভিযোগে জানা যায়, গত ৪ জুলাই থেকে ৬ জুলাই সরকারি ছুটি থাকায় তিন দিন অফিস বন্ধ ছিল। এ সুযোগে কল্যাণী ইউনিয়নের ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নেছার আহমেদ ও হুমায়ুন কবির ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরের একটি বড় ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে নেন। গাছটির মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। গাছ কাটার সময় স্থানীয় লোকজন বাধা দিলে ইউপি সদস্যরা লোকজন নিয়ে ভয়ভীতি দেখান এবং জোরপূর্বক গাছ নিয়ে চলে যান। এমনকি যাওয়ার সময় পরিষদের বাকি গাছগুলোও কেটে নেওয়ার হুমকি দেন তারা।
পরে স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গাছ কাটার খবর দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় হারুন-অর-রশিদ নামে এক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। গত ২৫ আগস্ট বিষয়টি তদন্তের উদ্যোগ নেন ইউএনও। পরে গতকাল সোমবার তদন্তে গাছ কাটার সত্যতা পান তদন্ত কর্মকর্তা। এ ঘটনায় নেছার আহমেদ অকপটে গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বাড়ির কাজের জন্য হুমায়ুন মেম্বারসহ একটি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটেছি।
কল্যাণী ইউপির তৎকালীন প্রশাসক সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে জানতে পেরে ইউএনও মহোদয়কে অবগত করেছি।
তদন্ত টিমের প্রধান ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মুকিত বিন লিয়াকত বলেন, গতকাল সোমবার সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।