সিরাজগঞ্জ : রোপা আমন ধান খেতে সার চিটাচ্ছেন কৃষক -সংবাদ
সিরাজগঞ্জে রোপা আমন চাষ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী হয়েছে। এখন আকাদকৃত জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার কৃষকরা। মাঠে মাঠে সবুজের সমারোহ সৃষ্টি হয়েছে। এবছর রোপা আমন ধান চাষাবাদে বাম্পার ফলনের আশাও করা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলায় ৭৫ হাজার ৮০৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এ পর্যন্ত চাষ হয়েছে ৭৫ হাজার ৮৫ হেক্টর। এখনো কৃষকেরা ধান লাগানো শেষ হয়নি। এ জেলার শস্যভান্ডার খ্যাত তাড়াশ, রায়গঞ্জ ও উল্লাপাড়া উপজেলাসহ সবকয়টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন জাতের রোপা আমন ধানের চারা জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ থেকে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি জমিতে রোপণ করে কৃষকেরা। রোপনকৃত ধানের মধ্যে রয়েছে ব্রি ধান ৭১, ৭৫, ৪৯, ১০৩ এবং দেশিয় জাতের ধানের চারাও রোপণ করা হয়েছে। এ চাষাবাদে খরচ কম হওয়ায় কৃষকেরা বেশি রোপণ করেছেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগ পোকামাকড় দমনসহ নানা রকম পরামর্শ দিয়েছেন।
সদর উপজেলার দিঘলকান্দি গ্রামের কৃষক আফসার আলী বলেন, এবার জমিতে ধানের চারা রোপণের আগে এবং পরে দফায় দফায় বর্ষণে কৃষকের খরচ কম হয়েছে। এবছর বন্যা না থাকায় খাল-বিল অঞ্চলে এ চাষাবাদ বেশি হয়েছে। সার ও কীটনাশক প্রয়োগে কিছুটা খরচ বেড়েছে এবং ধান ক্ষেত পরিচর্যা ক্ষেত্রে কামলা সংকট ও মজুরী বৃদ্ধি ঘটেছে। এ কারণে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের কিছুটা বিপাকে পরতে হয়েছে। মাঠে মাঠে ধানের ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। আগামী মাসের মাঝামাঝি আগাম লাগানো ধান কাটা শুরু হবে এবং এবার ফলনও ভালো হবে বলে আশা করছে কৃষকেরা।
সদর উপজেলা শিয়ালকোল গ্রামের কৃষক হাফিজুল জানান, এবছর তিনি প্রায় ১ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করেছেন। কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ প্রদান করেন।
রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মমিনুল ইসলাম জানান, রায়গঞ্জে চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯ হাজার ২৩০ হেক্টর । কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে চাষাবাদে পরামর্শ প্রদান করা হয়।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন জানান, এবারে সদর উপজেলায় রোপা আমন চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২,২০০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আ. জা. মু. আহসান শহিদ সরকার বলেন, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার রোপা আমন চাষাবাদ কিছুটা বেশি হয়েছে। এ চাষে কৃষকদের নানারকম পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তাছাড়াও ১৩ হাজার ৩৫০ জন কৃষককে বীজ ও সার প্রণদনা দেয়া হয়েছে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা এ চাষাবাদের মাঠও পরিদর্শন করছেন। এ চাষাবাদে বাম্পার ফলনেরও আশা করা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ : রোপা আমন ধান খেতে সার চিটাচ্ছেন কৃষক -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সিরাজগঞ্জে রোপা আমন চাষ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী হয়েছে। এখন আকাদকৃত জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার কৃষকরা। মাঠে মাঠে সবুজের সমারোহ সৃষ্টি হয়েছে। এবছর রোপা আমন ধান চাষাবাদে বাম্পার ফলনের আশাও করা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলায় ৭৫ হাজার ৮০৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এ পর্যন্ত চাষ হয়েছে ৭৫ হাজার ৮৫ হেক্টর। এখনো কৃষকেরা ধান লাগানো শেষ হয়নি। এ জেলার শস্যভান্ডার খ্যাত তাড়াশ, রায়গঞ্জ ও উল্লাপাড়া উপজেলাসহ সবকয়টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন জাতের রোপা আমন ধানের চারা জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ থেকে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি জমিতে রোপণ করে কৃষকেরা। রোপনকৃত ধানের মধ্যে রয়েছে ব্রি ধান ৭১, ৭৫, ৪৯, ১০৩ এবং দেশিয় জাতের ধানের চারাও রোপণ করা হয়েছে। এ চাষাবাদে খরচ কম হওয়ায় কৃষকেরা বেশি রোপণ করেছেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগ পোকামাকড় দমনসহ নানা রকম পরামর্শ দিয়েছেন।
সদর উপজেলার দিঘলকান্দি গ্রামের কৃষক আফসার আলী বলেন, এবার জমিতে ধানের চারা রোপণের আগে এবং পরে দফায় দফায় বর্ষণে কৃষকের খরচ কম হয়েছে। এবছর বন্যা না থাকায় খাল-বিল অঞ্চলে এ চাষাবাদ বেশি হয়েছে। সার ও কীটনাশক প্রয়োগে কিছুটা খরচ বেড়েছে এবং ধান ক্ষেত পরিচর্যা ক্ষেত্রে কামলা সংকট ও মজুরী বৃদ্ধি ঘটেছে। এ কারণে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের কিছুটা বিপাকে পরতে হয়েছে। মাঠে মাঠে ধানের ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। আগামী মাসের মাঝামাঝি আগাম লাগানো ধান কাটা শুরু হবে এবং এবার ফলনও ভালো হবে বলে আশা করছে কৃষকেরা।
সদর উপজেলা শিয়ালকোল গ্রামের কৃষক হাফিজুল জানান, এবছর তিনি প্রায় ১ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করেছেন। কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ প্রদান করেন।
রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মমিনুল ইসলাম জানান, রায়গঞ্জে চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯ হাজার ২৩০ হেক্টর । কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে চাষাবাদে পরামর্শ প্রদান করা হয়।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন জানান, এবারে সদর উপজেলায় রোপা আমন চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২,২০০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আ. জা. মু. আহসান শহিদ সরকার বলেন, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার রোপা আমন চাষাবাদ কিছুটা বেশি হয়েছে। এ চাষে কৃষকদের নানারকম পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তাছাড়াও ১৩ হাজার ৩৫০ জন কৃষককে বীজ ও সার প্রণদনা দেয়া হয়েছে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা এ চাষাবাদের মাঠও পরিদর্শন করছেন। এ চাষাবাদে বাম্পার ফলনেরও আশা করা হচ্ছে।