রংপুরের পীরগাছা স্টেশনে যাত্রীবাহী পদ্মরাগ ট্রেনের পাঁচটি কোচ লাইনচ্যুত হওয়ার ১৪ ঘন্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে সান্তাহার-লালমনিরহাট রুটে ট্রেন যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েন।
পরে দুটি রিলিফ ট্রেনের সহায়তায় রাত সাড়ে এগারটায় উদ্ধার কাজ শেষ হয়। আজ বুধবার সকাল থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবার সম্ভাবনার কথা জানান উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রেলকর্মীরা।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, সান্তাহার থেকে লালমনিরহাট অভিমুখী ট্রেন পীরগাছা স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার এক মিনিটের মধ্যে পদ্মরাগ ট্রেনের পাঁচ কোচ ডাউন পয়েন্ট হোম সিগনাল এলাকায় লাইনচ্যুত হয়। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটলেও লাইন ও সিগন্যালের ক্ষতি হয়েছে।
রেল লাইনের কাঠের স্লিপার পঁচে যাওয়া, পাথর না থাকা এবং দীর্ঘদিন মেরামত না করার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন যাত্রীরা। অনেক যাত্রী অভিযোগ করেছেন, তাদের অনেক মালামাল খোয়া গেছে।
এ ঘটনায় লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন-এর নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনার মূল কারণ উদঘাটন করবে।
দুর্ঘটনাকবলিত পদ্মরাগ ট্রেনের যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করেই ট্রেনটা থেমে যায়। পরে শুনলাম কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে। আমরা আতঙ্কে পড়ে যাই। শেষমেশ পায়ে হেঁটে রাস্তায় উঠে বিকল্প পথে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।
আরেক যাত্রী মমতাজ বেগম বলেন, ভোগান্তি মাথায় নিয়ে এখন বাড়ি যাওয়ার উপায় খুঁজছি।
আরেক ভুক্তভোগী যাত্রী নুরবানু জানান, তিনি তার পাশের সিটে ব্যাগ রেখে বাথরুমে যান। তখনই দূর্ঘটনাটি ঘটে। পরে এসে দেখেন ওই যাত্রী আর নেই।
ট্রেন উদ্ধার কাজের সময় রুহুল আমিন নামে রেলওয়ে কর্মী গুরুত্বর আহত হন। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রেলওয়ে লালমনিরহাট ডিভিশনের ব্যবস্থাপক আবু হেনা মোস্তফা আলম জানান, পীরগাছা রেলওয়ে স্টেশনের আউটার এলাকায় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় পদ্মরাগ ট্রেনটির ৫টি কোচ লাইনচ্যুত হয়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল জানান, ঘটনার সাথে সাথেই উপজেলা প্রশাসন উদ্ধার তৎপরতা চালায়। এই ঘটনার কঠোর তদন্ত করা হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার সাথে সাথেই রেলওয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। এই ঘটনার সাথে যারই গাফিলতি থাকবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রংপুরের পীরগাছা স্টেশনে যাত্রীবাহী পদ্মরাগ ট্রেনের পাঁচটি কোচ লাইনচ্যুত হওয়ার ১৪ ঘন্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে সান্তাহার-লালমনিরহাট রুটে ট্রেন যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েন।
পরে দুটি রিলিফ ট্রেনের সহায়তায় রাত সাড়ে এগারটায় উদ্ধার কাজ শেষ হয়। আজ বুধবার সকাল থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবার সম্ভাবনার কথা জানান উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রেলকর্মীরা।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, সান্তাহার থেকে লালমনিরহাট অভিমুখী ট্রেন পীরগাছা স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার এক মিনিটের মধ্যে পদ্মরাগ ট্রেনের পাঁচ কোচ ডাউন পয়েন্ট হোম সিগনাল এলাকায় লাইনচ্যুত হয়। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটলেও লাইন ও সিগন্যালের ক্ষতি হয়েছে।
রেল লাইনের কাঠের স্লিপার পঁচে যাওয়া, পাথর না থাকা এবং দীর্ঘদিন মেরামত না করার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন যাত্রীরা। অনেক যাত্রী অভিযোগ করেছেন, তাদের অনেক মালামাল খোয়া গেছে।
এ ঘটনায় লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন-এর নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনার মূল কারণ উদঘাটন করবে।
দুর্ঘটনাকবলিত পদ্মরাগ ট্রেনের যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করেই ট্রেনটা থেমে যায়। পরে শুনলাম কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে। আমরা আতঙ্কে পড়ে যাই। শেষমেশ পায়ে হেঁটে রাস্তায় উঠে বিকল্প পথে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।
আরেক যাত্রী মমতাজ বেগম বলেন, ভোগান্তি মাথায় নিয়ে এখন বাড়ি যাওয়ার উপায় খুঁজছি।
আরেক ভুক্তভোগী যাত্রী নুরবানু জানান, তিনি তার পাশের সিটে ব্যাগ রেখে বাথরুমে যান। তখনই দূর্ঘটনাটি ঘটে। পরে এসে দেখেন ওই যাত্রী আর নেই।
ট্রেন উদ্ধার কাজের সময় রুহুল আমিন নামে রেলওয়ে কর্মী গুরুত্বর আহত হন। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রেলওয়ে লালমনিরহাট ডিভিশনের ব্যবস্থাপক আবু হেনা মোস্তফা আলম জানান, পীরগাছা রেলওয়ে স্টেশনের আউটার এলাকায় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় পদ্মরাগ ট্রেনটির ৫টি কোচ লাইনচ্যুত হয়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল জানান, ঘটনার সাথে সাথেই উপজেলা প্রশাসন উদ্ধার তৎপরতা চালায়। এই ঘটনার কঠোর তদন্ত করা হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার সাথে সাথেই রেলওয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। এই ঘটনার সাথে যারই গাফিলতি থাকবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।