alt

শিলপাটা কারখানার পাথরকণায় মৃত্যুর প্রহর গুনছেন অসংখ্য শ্রমিক

প্রতিনিধি, জয়পুরহাট : বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জয়পুরহাট : কারখানায় স্তূপ করে রাখা শিলপাটা -সংবাদ

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে অভাবের তাড়নায় নিশ্চিত মরণ জেনেও শিলপাটা তৈরির পেশায় জড়িয়ে পড়েছিলেন কয়েকশ হতদরিদ্র মানুষ। এর মধ্যে দীর্ঘ সময় এ কাজ করে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন শতাধিক মানুষ। বর্তমানে স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতায় এ পেশা বন্ধ হলেও মৃত্যুর প্রহর গুনছেন বিগত সময়ে কাজ করা অনেক শ্রমিক। পাথরের ধুলা ও কণা গিয়ে ফুসফুস নষ্টসহ তাদের শরীরে বাসা বেঁধেছে নানা রোগ। অনেকেই কাজকর্ম ও চিকিৎসা করাতে না পেরে পরিবার নিয়ে চরম দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছেন। তাই এ ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন অসুস্থ ও মারা যাওয়া শ্রমিকদের পরিবারগুলো।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১৯৯৫ সালে আক্কেলপুর পৌর এলাকার চক্রপাড়াসহ উপজেলার কয়েকটি গ্রামে স্থানীয় কিছু মহাজন ভারত থেকে পাথর আমদানি করে হাতুড়ি ও ছেনি দিয়ে শিলপাটা তৈরি শুরু করেন, যা সারা দেশে ট্রাকযোগে সরবরাহ করা হতো। আর বেশি টাকার আশায় এ কাজে যুক্ত হন হতদরিদ্র শত শত মানুষ।

অসুস্থ শ্রমিক ও তাদের পরিবার জানায়, হাতুড়ি ও ছেনি দিয়ে পাথর খোদাই করার সময় নাক, মুখ ও লোমকূপ দিয়ে পাথরের কণা এবং ধুলা শরীরে প্রবেশ করে। এর কয়েক মাস পর থেকে ফুসফুসের সমস্যাসহ শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগ। শুধু চক্রপাড়া গ্রামেই এ কাজ করে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন অর্ধশতাধিক মানুষ। আর উপজেলা জুড়ে এই মৃত্যুর মিছিলে যোগ হয়েছেন শতাধিক মানুষ। বর্তমানে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এ কাজ বন্ধ হয়েছে। তবে নানা রোগ নিয়ে এখনো মৃত্যুর প্রহর গুনছেন অনেকেই। অনেকেই কাজকর্ম ও চিকিৎসা করাতে না পেরে পরিবার নিয়ে চরম দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছেন। তাই চিকিৎসাসহ সরকারের সহযোগিতা চান তারা।

চক্রপাড়া এলাকার সালাউদ্দিন বলেন, তিন-চার বছর হাতুড়ি-ছেনি দিয়ে শিলপাটার কাজ করেছিলাম। শিলপাটার ধুলা নাক-মুখ দিয়ে ঢুকে আমার ফুসফুস নষ্ট হয়ে গেছে, কিডনির সমস্যা হয়েছে। এখন পেট ফুলে উঠেছে। ২০০৯ সাল থেকে অসুস্থ হয়ে বিছানায় আছি। উঠতে পারি না। ৪ বছর ধরে টাকার অভাবে কোনো চিকিৎসা করাতে পারছি না। আমার স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে আমাকে ছেড়ে ঢাকায় চলে গেছে। একই এলাকার মোস্তাফিজুর বলেন, আমি ১২ বছর শিলপাটার কাজ করেছি, বর্তমানে আমি অসুস্থ হয়েছি। আমাদের এলাকার শিলপাটা তৈরির কারিগররা বেশিরভাগ মারা গেছেন। অন্যান্য কারিগরদের মত আমারও ফুসফুস নষ্ট হয়ে গেছে। কাজকর্ম ও চলাফেরা কিছুই করতে পারি না। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না।’

ওই এলাকার বাসিন্দা আছমা বেগম বলেন, আমার দুই ছেলে শিলপাটার কাজ করে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। ছেলেদের শোকে আমার স্বামীও অসুস্থ হয়ে কিছুদিন পর মারা যায়। সংসারে উপার্জনের কেউ না থাকায় আমি এখন একা জীবনযাপন করছি। সরকারের সহযোগিতা চাই।

আক্কেলপুর পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র আবুল কালাম আজাদ বলেন, আক্কেলপুরে শিলপাটার কাজ করে বিভিন্ন রোগে অসুস্থ হয়ে শতাধিক মানুষ মারা গেছেন। আমার নিজের বাড়ি চক্রপাড়া গ্রামের অর্ধশতাধিক মানুষ মারা গেছেন। বর্তমান প্রশাসনের তৎপরতায় ও আমাদের স্থানীয় মানুষদের সচেতনতার মাধ্যমে এই পেশা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। তবে যারা বিগত সময়ে যারা এ কাজ করেছিলেন, তারা আজ অসুস্থ। তাদের পরিবারও চিকিৎসা করাতে পারছে না। সরকারের কাছে অনুরোধ করব এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য।

জয়পুরহাটের সিভিল সার্জন আল মামুন বলেন, শীলপাটা শ্রমিকদের নাক, মুখ ও শরীরের লোমকুপ দিয়ে পাথরের ধূলিকণা ঢুকে সর্দি, কাশি, হাঁসি, জ্বর হয়ে ধীরে ধীরে ফুসফুস অকার্যকর হয়ে মারা যাবে। আক্কেলপুর উপজেলায় শিলপাটার কাজ করে যেসব রোগী অসুস্থ আছেন তারা যাতে আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারেন সে ব্যাপারে সহযোগিতা করব।

আক্কেলপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলম বলেন, উপজেলায় একসময় অনেক পরিবার শিলপাটা তৈরির কাজ করতেন। এ কাজে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকায় ও পরিবেশ দূষণ হওয়ায় আমি শ্রমিকদের অনেক বুঝিয়ে এই কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। তাদের কৃষি প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করে আসছি। যারা অসুস্থ হয়ে আছেন, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আর ভবিষ্যতে যদি কেউ এমন কাজ করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ছবি

দুমকিতে দূর্গোৎসব উপলক্ষে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

ছবি

পটিয়ায় অস্ত্রের মুখে মুরগি ব্যবসায়ী অপহরণের দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

ছবি

সখীপুরে ৮ মাসে ২৪০ জনকে সর্প দংশন, হাসপাতালে নেই অ্যান্টিভেনম

ছবি

শারদীয় দুর্গোৎসবে শ্রীমঙ্গলে জমজমাট পোশাকের বাজার

ছবি

বাক প্রতিবন্ধী মাসুম জীবনযুদ্ধে জয়ী, যা সবার অনুকরনীয়

ছবি

রাজশাহীতে ডাকাতির লুণ্ঠিত মালামালসহ আটক ৮

ছবি

জগন্নাথপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিনা খরচে মিলছে ডেলিভারি সেবা

ছবি

গোপালগঞ্জে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় চালকের সহকারী নিহত

ছবি

বাগেরহাটে মহাসড়কে প্রাণ গেল স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার

ছবি

চুনারুঘাটে ধর্ষণের অভিযোগে দুই কিশোর আটক

ছবি

সিরাজগঞ্জে বাবাকে হত্যায় ছেলের মৃত্যুদণ্ড

ছবি

আদমদীঘিতে ১ বছর ধরে বেতন বন্ধ খন্ডকালিন ৫ শিক্ষক-কর্মচারির

ছবি

অবৈধভাবে ভারত থেকে ফেরার পথে ৩ বাংলাদেশি আটক

ছবি

ঈশ্বরদীতে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

ছবি

শিবগঞ্জে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

সিরাজদিখানে সড়ক পাকা করার দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

দোয়ারাবাজার সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় গরু জব্দ

ছবি

ডিমলায় হিসাবরক্ষণ অফিসে সেবা গ্রহীতাদের ভোগান্তি

ছবি

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে জামাতের প্রার্থীর ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ

ছবি

কালিগঙ্গায় বালু লুট থামছে না

ছবি

ভৈরবে চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির বার্ষিক সাধারণ সভা

ছবি

ঝিনাইগাতীতে জানজট নিরসনে সক্রিয় ভিডিপির জিলন মিয়া

ছবি

ট্রাকের ধাক্কায় মা-মেয়ে নিহত

ছবি

শেষ পর্যায়ে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি

ছবি

বিদেশ ফেরতদের পুনরেকত্রীকরণে কর্মশালা

ছবি

জাল টাকা বহনের দায়ে দুই জনের কারাদন্ড

ছবি

পৌরবাসি বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত, চালু হয়নি সাড়ে ৪ কোটি টাকার প্রকল্প

ছবি

চট্টগ্রামে সিলিন্ডার গুদামে বিস্ফোরণে ১০ জন দগ্ধ

ছবি

কুমিল্লায় পুকুরে ডুবে দুই বছরের চাচাতো ভাইবোনের মৃত্যু

ছবি

টাঙ্গাইলে বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

পীরগাছায় পদ্মরাগ ট্রেনের পাঁচ কোচ লাইনচ্যুত, ১৪ ঘণ্টায় উদ্ধার

ছবি

ডেঙ্গু: আক্রান্ত ৩৯ হাজার ছাড়িয়েছে

ছবি

আনোয়ারায় আবারও ৩১ রোহিঙ্গা আটক

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনে বিপর্যস্ত টেকনাফ

ছবি

তিতাসে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ, উৎসবের আমেজ নদী পাড়ে

ছবি

রাজধানীতে ৩ স্থানে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল

tab

শিলপাটা কারখানার পাথরকণায় মৃত্যুর প্রহর গুনছেন অসংখ্য শ্রমিক

প্রতিনিধি, জয়পুরহাট

জয়পুরহাট : কারখানায় স্তূপ করে রাখা শিলপাটা -সংবাদ

বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে অভাবের তাড়নায় নিশ্চিত মরণ জেনেও শিলপাটা তৈরির পেশায় জড়িয়ে পড়েছিলেন কয়েকশ হতদরিদ্র মানুষ। এর মধ্যে দীর্ঘ সময় এ কাজ করে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন শতাধিক মানুষ। বর্তমানে স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতায় এ পেশা বন্ধ হলেও মৃত্যুর প্রহর গুনছেন বিগত সময়ে কাজ করা অনেক শ্রমিক। পাথরের ধুলা ও কণা গিয়ে ফুসফুস নষ্টসহ তাদের শরীরে বাসা বেঁধেছে নানা রোগ। অনেকেই কাজকর্ম ও চিকিৎসা করাতে না পেরে পরিবার নিয়ে চরম দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছেন। তাই এ ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন অসুস্থ ও মারা যাওয়া শ্রমিকদের পরিবারগুলো।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১৯৯৫ সালে আক্কেলপুর পৌর এলাকার চক্রপাড়াসহ উপজেলার কয়েকটি গ্রামে স্থানীয় কিছু মহাজন ভারত থেকে পাথর আমদানি করে হাতুড়ি ও ছেনি দিয়ে শিলপাটা তৈরি শুরু করেন, যা সারা দেশে ট্রাকযোগে সরবরাহ করা হতো। আর বেশি টাকার আশায় এ কাজে যুক্ত হন হতদরিদ্র শত শত মানুষ।

অসুস্থ শ্রমিক ও তাদের পরিবার জানায়, হাতুড়ি ও ছেনি দিয়ে পাথর খোদাই করার সময় নাক, মুখ ও লোমকূপ দিয়ে পাথরের কণা এবং ধুলা শরীরে প্রবেশ করে। এর কয়েক মাস পর থেকে ফুসফুসের সমস্যাসহ শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগ। শুধু চক্রপাড়া গ্রামেই এ কাজ করে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন অর্ধশতাধিক মানুষ। আর উপজেলা জুড়ে এই মৃত্যুর মিছিলে যোগ হয়েছেন শতাধিক মানুষ। বর্তমানে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এ কাজ বন্ধ হয়েছে। তবে নানা রোগ নিয়ে এখনো মৃত্যুর প্রহর গুনছেন অনেকেই। অনেকেই কাজকর্ম ও চিকিৎসা করাতে না পেরে পরিবার নিয়ে চরম দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছেন। তাই চিকিৎসাসহ সরকারের সহযোগিতা চান তারা।

চক্রপাড়া এলাকার সালাউদ্দিন বলেন, তিন-চার বছর হাতুড়ি-ছেনি দিয়ে শিলপাটার কাজ করেছিলাম। শিলপাটার ধুলা নাক-মুখ দিয়ে ঢুকে আমার ফুসফুস নষ্ট হয়ে গেছে, কিডনির সমস্যা হয়েছে। এখন পেট ফুলে উঠেছে। ২০০৯ সাল থেকে অসুস্থ হয়ে বিছানায় আছি। উঠতে পারি না। ৪ বছর ধরে টাকার অভাবে কোনো চিকিৎসা করাতে পারছি না। আমার স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে আমাকে ছেড়ে ঢাকায় চলে গেছে। একই এলাকার মোস্তাফিজুর বলেন, আমি ১২ বছর শিলপাটার কাজ করেছি, বর্তমানে আমি অসুস্থ হয়েছি। আমাদের এলাকার শিলপাটা তৈরির কারিগররা বেশিরভাগ মারা গেছেন। অন্যান্য কারিগরদের মত আমারও ফুসফুস নষ্ট হয়ে গেছে। কাজকর্ম ও চলাফেরা কিছুই করতে পারি না। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না।’

ওই এলাকার বাসিন্দা আছমা বেগম বলেন, আমার দুই ছেলে শিলপাটার কাজ করে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। ছেলেদের শোকে আমার স্বামীও অসুস্থ হয়ে কিছুদিন পর মারা যায়। সংসারে উপার্জনের কেউ না থাকায় আমি এখন একা জীবনযাপন করছি। সরকারের সহযোগিতা চাই।

আক্কেলপুর পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র আবুল কালাম আজাদ বলেন, আক্কেলপুরে শিলপাটার কাজ করে বিভিন্ন রোগে অসুস্থ হয়ে শতাধিক মানুষ মারা গেছেন। আমার নিজের বাড়ি চক্রপাড়া গ্রামের অর্ধশতাধিক মানুষ মারা গেছেন। বর্তমান প্রশাসনের তৎপরতায় ও আমাদের স্থানীয় মানুষদের সচেতনতার মাধ্যমে এই পেশা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। তবে যারা বিগত সময়ে যারা এ কাজ করেছিলেন, তারা আজ অসুস্থ। তাদের পরিবারও চিকিৎসা করাতে পারছে না। সরকারের কাছে অনুরোধ করব এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য।

জয়পুরহাটের সিভিল সার্জন আল মামুন বলেন, শীলপাটা শ্রমিকদের নাক, মুখ ও শরীরের লোমকুপ দিয়ে পাথরের ধূলিকণা ঢুকে সর্দি, কাশি, হাঁসি, জ্বর হয়ে ধীরে ধীরে ফুসফুস অকার্যকর হয়ে মারা যাবে। আক্কেলপুর উপজেলায় শিলপাটার কাজ করে যেসব রোগী অসুস্থ আছেন তারা যাতে আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারেন সে ব্যাপারে সহযোগিতা করব।

আক্কেলপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলম বলেন, উপজেলায় একসময় অনেক পরিবার শিলপাটা তৈরির কাজ করতেন। এ কাজে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকায় ও পরিবেশ দূষণ হওয়ায় আমি শ্রমিকদের অনেক বুঝিয়ে এই কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। তাদের কৃষি প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করে আসছি। যারা অসুস্থ হয়ে আছেন, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আর ভবিষ্যতে যদি কেউ এমন কাজ করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

back to top