কুষ্টিয়া : ডেজারে বালু উত্তোলন করছে বালু খেকোরা -সংবাদ
কুষ্টিয়ায় নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। সেই বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে নির্মাণাধীন সড়ক, বিদ্যালয়ের মাঠ ও বসতবাড়ির আশপাশ। গেল একমাস ধরে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর চাঁদপুর ইউনিয়নের ধলনগর শ্মশ্বানঘাট ও আশপাশের এলাকা থেকে প্রকাশ্যে বালু তুলছে একটি চক্র বলে স্থানীয়রা জানান। এতে হুমকিতে পড়েছে শ্মশ্বানঘাট ও পরিবেশ। তবুও প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। অভিযোগ উঠেছে, কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার বিত্তিপাড়ার গোলাম রসুলের ছেলে সবুর আলী এ কাজে যুক্ত। প্রভাবশালী ঠিকাদারদের ছত্রছায়ায় বালু তোলার বিষয় স্বীকারও করেছেন তিনি। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর ইউনিয়নের কুশলিবাসা-ধলনগর বাজার সড়ক ঘেঁষে কালিগঙ্গা নদী। সড়ক ঘেঁষেই ধলনগর শ্মশ্বানঘাট। শ্মশ্বানের সামনে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। পাইপের সাহায্যে বালু নেওয়া হচ্ছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মৃত্তিকাপাড়ার নির্মাণাধীন সড়কে। এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বৃদ্ধ বলেন, মাসখানেক ধরেই সবুর প্রকাশ্যে বালু তুলছে। কিছুদিন আগে কুসলিবাসা বিদ্যালয়ের মাঠ ফেলেছে। এখন মৃত্তিকাপাড়া রাস্তার কাজে দিচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগে প্রশাসনের লোকজন পাইপ ভেঙে দিয়েছিল। তারা আবারো বালু তুলছে। এতে শ্মশ্বানঘাটসহ পরিবেশ হুমকিতে পড়েছে।
চাঁদপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন বলেন, সপ্তাহখানেক আগে অবৈধ ড্রেজারের পাইপ ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফের বালু তোলার বিষয়টি এসিল্যান্ডকে জানানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদ্মা ও গড়াই নদী দ্বারা বেষ্টিত কুমারখালী উপজেলা। পদ্মা-গড়াই ছাড়াও কালিগঙ্গা ও ডাকুয়া নামের দুইটি মরা নদী রয়েছে। এছাড়াও পদ্মা ও গড়াইয়ের বিভিন্ন স্থানে চর জেগে নদীর কোল সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগে এসব স্থান থেকে বিভিন্ন চক্র ভ্যেকু দিয়ে কোটি কোটি টাকার বালু লুট করেছে। প্রশাসন একাধিকবার অভিযান চালিয়েও তা থামাতে পারেনি। বর্তমানে সবস্থানে পানিতে থৈ থৈ। তবুও ধলনগর শ্মশ্বানঘাট, জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চর জগন্নাথপুর নতুন বাজার সংলগ্ন পদ্মা নদীর কোল এবং শিলাইদহ ইউনিয়নের মাজগ্রাম পদ্মা নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু লুট করছে বিভিন্ন চক্র। অবৈধভাবে বালু তোলার ব্যাপারে জিরো টলারেন্স বলে জানিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার। তিনি বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন প্রতিরোধে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩২টি অভিযান চালানো হয়েছে পদ্মা, গড়াই, কালিগঙ্গা নদীসহ বিভিন্ন স্থানে। অভিযানে ৬৭টি মামলায় প্রায় ১২ লাখ ৫ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা এবং ১৩ জনকে জেল দেওয়া হয়েছে। ধলনগর শ্মশ্বানঘাটের সামনে অবৈধভাবে বালু তোলার বিষয়টি নজরে এসেছে। দ্রুতই অভিযান চালানো হবে।
কুষ্টিয়া : ডেজারে বালু উত্তোলন করছে বালু খেকোরা -সংবাদ
বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কুষ্টিয়ায় নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। সেই বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে নির্মাণাধীন সড়ক, বিদ্যালয়ের মাঠ ও বসতবাড়ির আশপাশ। গেল একমাস ধরে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর চাঁদপুর ইউনিয়নের ধলনগর শ্মশ্বানঘাট ও আশপাশের এলাকা থেকে প্রকাশ্যে বালু তুলছে একটি চক্র বলে স্থানীয়রা জানান। এতে হুমকিতে পড়েছে শ্মশ্বানঘাট ও পরিবেশ। তবুও প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। অভিযোগ উঠেছে, কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার বিত্তিপাড়ার গোলাম রসুলের ছেলে সবুর আলী এ কাজে যুক্ত। প্রভাবশালী ঠিকাদারদের ছত্রছায়ায় বালু তোলার বিষয় স্বীকারও করেছেন তিনি। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর ইউনিয়নের কুশলিবাসা-ধলনগর বাজার সড়ক ঘেঁষে কালিগঙ্গা নদী। সড়ক ঘেঁষেই ধলনগর শ্মশ্বানঘাট। শ্মশ্বানের সামনে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। পাইপের সাহায্যে বালু নেওয়া হচ্ছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মৃত্তিকাপাড়ার নির্মাণাধীন সড়কে। এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বৃদ্ধ বলেন, মাসখানেক ধরেই সবুর প্রকাশ্যে বালু তুলছে। কিছুদিন আগে কুসলিবাসা বিদ্যালয়ের মাঠ ফেলেছে। এখন মৃত্তিকাপাড়া রাস্তার কাজে দিচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগে প্রশাসনের লোকজন পাইপ ভেঙে দিয়েছিল। তারা আবারো বালু তুলছে। এতে শ্মশ্বানঘাটসহ পরিবেশ হুমকিতে পড়েছে।
চাঁদপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন বলেন, সপ্তাহখানেক আগে অবৈধ ড্রেজারের পাইপ ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফের বালু তোলার বিষয়টি এসিল্যান্ডকে জানানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদ্মা ও গড়াই নদী দ্বারা বেষ্টিত কুমারখালী উপজেলা। পদ্মা-গড়াই ছাড়াও কালিগঙ্গা ও ডাকুয়া নামের দুইটি মরা নদী রয়েছে। এছাড়াও পদ্মা ও গড়াইয়ের বিভিন্ন স্থানে চর জেগে নদীর কোল সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগে এসব স্থান থেকে বিভিন্ন চক্র ভ্যেকু দিয়ে কোটি কোটি টাকার বালু লুট করেছে। প্রশাসন একাধিকবার অভিযান চালিয়েও তা থামাতে পারেনি। বর্তমানে সবস্থানে পানিতে থৈ থৈ। তবুও ধলনগর শ্মশ্বানঘাট, জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চর জগন্নাথপুর নতুন বাজার সংলগ্ন পদ্মা নদীর কোল এবং শিলাইদহ ইউনিয়নের মাজগ্রাম পদ্মা নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু লুট করছে বিভিন্ন চক্র। অবৈধভাবে বালু তোলার ব্যাপারে জিরো টলারেন্স বলে জানিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার। তিনি বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন প্রতিরোধে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩২টি অভিযান চালানো হয়েছে পদ্মা, গড়াই, কালিগঙ্গা নদীসহ বিভিন্ন স্থানে। অভিযানে ৬৭টি মামলায় প্রায় ১২ লাখ ৫ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা এবং ১৩ জনকে জেল দেওয়া হয়েছে। ধলনগর শ্মশ্বানঘাটের সামনে অবৈধভাবে বালু তোলার বিষয়টি নজরে এসেছে। দ্রুতই অভিযান চালানো হবে।