ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় পিতা ইদ্রিস আলীকে হত্যার অপরাধে ছেলে ও হত্যা মামলার বাদী রেজাউল করিম লাবুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত রোববার দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মাহবুবুর রহমান এই রায় দেন।
একই রায়ে নিহতের স্ত্রী রেনুকা বেগম ও পূত্রবধূ মৃত্যুদণ্ড পাওয়া রেজাউল করিম লাবুর স্ত্রী ইসমত আরাকে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ আকন্দ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৪ মার্চ দুপুরে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার অলিদহ গ্রামের একটি পুকুরে গলা ও পায়ে রশি পেচানো অবস্থায় ইদ্রিস আলীর মরদেহ ভাসতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পরিবার ও স্থানীয়দের সহায়তার তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয। ওই দিনই নিহতের ছেলে রেজাউল করিম লাবু বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ৩ মার্চ কৈমাঝুরিয়া গ্রামে ইদ্রিস আলী ও তার স্ত্রী রেনুকা বেগম একই কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোররাতে রেনুকার ঘুম ভেঙে গেলে দেখেন ইদ্রিস আলী ঘরে নেই, খোলা রয়েছে দরজা। এসময় সে তার ছেলে ও পূত্রবধূকে ঘুম থেকে ডেকে উঠিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ইদ্রিস আলীকে পাওয়া যায়নি।
পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসে মামলার বাদী রেজাউল করিম লাবুই হত্যা করেছে তার পিতা ইদ্রিস আলীকে। পরবর্তীতে আদালতে তার দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দি, স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ আদালত এই রায় দেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় পিতা ইদ্রিস আলীকে হত্যার অপরাধে ছেলে ও হত্যা মামলার বাদী রেজাউল করিম লাবুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত রোববার দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মাহবুবুর রহমান এই রায় দেন।
একই রায়ে নিহতের স্ত্রী রেনুকা বেগম ও পূত্রবধূ মৃত্যুদণ্ড পাওয়া রেজাউল করিম লাবুর স্ত্রী ইসমত আরাকে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ আকন্দ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৪ মার্চ দুপুরে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার অলিদহ গ্রামের একটি পুকুরে গলা ও পায়ে রশি পেচানো অবস্থায় ইদ্রিস আলীর মরদেহ ভাসতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পরিবার ও স্থানীয়দের সহায়তার তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয। ওই দিনই নিহতের ছেলে রেজাউল করিম লাবু বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ৩ মার্চ কৈমাঝুরিয়া গ্রামে ইদ্রিস আলী ও তার স্ত্রী রেনুকা বেগম একই কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোররাতে রেনুকার ঘুম ভেঙে গেলে দেখেন ইদ্রিস আলী ঘরে নেই, খোলা রয়েছে দরজা। এসময় সে তার ছেলে ও পূত্রবধূকে ঘুম থেকে ডেকে উঠিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ইদ্রিস আলীকে পাওয়া যায়নি।
পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসে মামলার বাদী রেজাউল করিম লাবুই হত্যা করেছে তার পিতা ইদ্রিস আলীকে। পরবর্তীতে আদালতে তার দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দি, স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ আদালত এই রায় দেন।