বরুড়া (কুমিল্লা) : জনবল সংকট, ফার্ণিচার ও ওষুধ সরবরাহ না হওয়ায় এখনও চালু হয়নি হাসপাতালটি -সংবাদ
কুমিল্লার বরুড়ায় নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার প্রায় ১৪ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও আদ্রা ইউনিয়নের সোনাইমুড়ি ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি চালু না হওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৫টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে স্বাস্থ্যের কর্তারা বলছেন মঞ্জুরিকৃত জনবল সংকট, ফার্ণিচার ও ওষুধ সরবরাহ না হওয়ায় হাসপাতালটি জন সাধারণের চিকিৎসা সেবা চালু করতে পারছেন না তারা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবা তথা জন সাধারণের স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনসাধারণের দোর গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০০৩ সালের দিকে তৎকালীণ স্থানীয় সংসদ সদস্য এ.কে.এম আবু তাহের সোনাইমুড়ি এলাকায় ২০ শয্যা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন।
পরে প্রায় ৪ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা ব্যয় ধরে উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের সোনাইমুড়ি এলাকায় ২০ শয্যা হাসপাতালটি নির্মান প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। এরপর ওই স্থানে হাসপাতালের দুইতলা ও একতলা বিশিষ্ট বিশাল আয়তণের একাধিক ভবন নির্মান কাজ শুরু করা হয়।
এমতাবস্থায় ২০০৬ সালের দিকে হাসপাতালটির ভবন নির্মানের প্রায় ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ভূমি সংক্রান্ত বিরোধে উচ্চ আদালতে মামলা ও আইনি জটিলতার কারণে নির্মান কাজ আটকে যায়। সেই থেকে প্রায় ২ দশক যাবৎ হাসপাতালটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকে।
পরবর্তীতে মামলা নিরসন হওয়ায় ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে হাসপাতালটির পুন:নির্মান কাজ শুরু করা হয় এবং নির্মান কাজ শেষ হয় ২০২৪ সালের জুন মাসে।
এমতাবস্থায় নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ায় প্রায় ১৪ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরে ও হাসপাতালটির চালু না হওয়ায় এলাকার জনসাধারণের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
স্থানীয়দের মধ্যে ব্যবসায়ী মো. দেলোয়ার হোসেন, আবদুল কুদ্দুস, প্রধান শিক্ষক প্রাণেশ্বর আচার্য, শিক্ষক ফারভীন আক্তারসহ এলাকার অনেকেই জানান, এ হাসপাতালটি চালু হলে উপজেলার দক্ষিণ পশ্চিম অংশের আড্ডা ইউনিয়ন, আদ্রা ইউনিয়ন, পয়ালগাছা ইউনিয়ন, ভাউকসার ইউনিয়ন এবং পাশ্ববর্তী কচুয়া উপজেলার আরিফপুর ইউনিয়নসহ ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ২ লক্ষাধিক জনগণের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত হবে। তারা হাসপাতালটি অতি দ্রুত চালু করার দাবি জানান।
আদ্রা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রাকিবুল হাসান লিমন জানান, চিকিৎসা, স্বাস্থ্য সেবায় এতদাঞ্চলের মানুষ দীর্ঘ দিন যাবৎ অবহেলিত।
হাসপাতালটি যত তাড়াতাড়ি চালু করা যায় তত উপকৃত হবে এ এলাকার মানুষ। জানাতে চাইলে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, জনবলের অভাব, ফার্ণিচার এবং ওষুধ সরবরাহ না হওয়ায় হাসপাতালটি চালু করা যাচ্ছে না। এছাড়া তিনি হাসপাতালটি চালু করার নিমিত্তে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবহিত করেছেন বলে জানিয়েছেন।
বরুড়া (কুমিল্লা) : জনবল সংকট, ফার্ণিচার ও ওষুধ সরবরাহ না হওয়ায় এখনও চালু হয়নি হাসপাতালটি -সংবাদ
বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কুমিল্লার বরুড়ায় নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার প্রায় ১৪ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও আদ্রা ইউনিয়নের সোনাইমুড়ি ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি চালু না হওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৫টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে স্বাস্থ্যের কর্তারা বলছেন মঞ্জুরিকৃত জনবল সংকট, ফার্ণিচার ও ওষুধ সরবরাহ না হওয়ায় হাসপাতালটি জন সাধারণের চিকিৎসা সেবা চালু করতে পারছেন না তারা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবা তথা জন সাধারণের স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনসাধারণের দোর গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০০৩ সালের দিকে তৎকালীণ স্থানীয় সংসদ সদস্য এ.কে.এম আবু তাহের সোনাইমুড়ি এলাকায় ২০ শয্যা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন।
পরে প্রায় ৪ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা ব্যয় ধরে উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের সোনাইমুড়ি এলাকায় ২০ শয্যা হাসপাতালটি নির্মান প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। এরপর ওই স্থানে হাসপাতালের দুইতলা ও একতলা বিশিষ্ট বিশাল আয়তণের একাধিক ভবন নির্মান কাজ শুরু করা হয়।
এমতাবস্থায় ২০০৬ সালের দিকে হাসপাতালটির ভবন নির্মানের প্রায় ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ভূমি সংক্রান্ত বিরোধে উচ্চ আদালতে মামলা ও আইনি জটিলতার কারণে নির্মান কাজ আটকে যায়। সেই থেকে প্রায় ২ দশক যাবৎ হাসপাতালটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকে।
পরবর্তীতে মামলা নিরসন হওয়ায় ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে হাসপাতালটির পুন:নির্মান কাজ শুরু করা হয় এবং নির্মান কাজ শেষ হয় ২০২৪ সালের জুন মাসে।
এমতাবস্থায় নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ায় প্রায় ১৪ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরে ও হাসপাতালটির চালু না হওয়ায় এলাকার জনসাধারণের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
স্থানীয়দের মধ্যে ব্যবসায়ী মো. দেলোয়ার হোসেন, আবদুল কুদ্দুস, প্রধান শিক্ষক প্রাণেশ্বর আচার্য, শিক্ষক ফারভীন আক্তারসহ এলাকার অনেকেই জানান, এ হাসপাতালটি চালু হলে উপজেলার দক্ষিণ পশ্চিম অংশের আড্ডা ইউনিয়ন, আদ্রা ইউনিয়ন, পয়ালগাছা ইউনিয়ন, ভাউকসার ইউনিয়ন এবং পাশ্ববর্তী কচুয়া উপজেলার আরিফপুর ইউনিয়নসহ ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ২ লক্ষাধিক জনগণের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত হবে। তারা হাসপাতালটি অতি দ্রুত চালু করার দাবি জানান।
আদ্রা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রাকিবুল হাসান লিমন জানান, চিকিৎসা, স্বাস্থ্য সেবায় এতদাঞ্চলের মানুষ দীর্ঘ দিন যাবৎ অবহেলিত।
হাসপাতালটি যত তাড়াতাড়ি চালু করা যায় তত উপকৃত হবে এ এলাকার মানুষ। জানাতে চাইলে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, জনবলের অভাব, ফার্ণিচার এবং ওষুধ সরবরাহ না হওয়ায় হাসপাতালটি চালু করা যাচ্ছে না। এছাড়া তিনি হাসপাতালটি চালু করার নিমিত্তে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবহিত করেছেন বলে জানিয়েছেন।