ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় অবস্থিত মতিলাল সরকারী ডিগ্রি কলেজে শিক্ষক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। কলেজে ৩১ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র ১৭ জন। বিভিন্ন বিষয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। এতে কিছু বিষয়ে খন্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ায় প্রতি মাসে অতিরিক্ত বেতন দিতে হচ্ছে। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি সরকারি জাতীয়করণ হয় ২০১৮ সালে।
প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থী জন্যে নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। শিক্ষক সংকটের কারণে নিয়মিত ক্লাস নিতে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষকরা। এতে শিক্ষার্থীদেও পাশাপাশি হতাশ অভিভাবকরাও। তাই দ্রুত পর্যাপ্ত শিক্ষক পদায়নের দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের।
কলেজের তথ্য মতে, উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি দুইটি স্তর রয়েছে কলেজটিতে। উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শাখা বর্তমান চালু রয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৫টি বিষয়ে পাঠদান করা হয়। কলেজের প্রায় ১৫০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সহযোগী অধ্যপক ও প্রভাষক মিলে শিক্ষক পদ রয়েছে ৩১টি। কিন্তু ১৭ জন শিক্ষক কর্মরত
আছেন। বর্তমানে শূন্য রয়েছে ১৪টি শিক্ষকের পদ। শিক্ষকরা বলছেন, চলমান পরিস্থিতিতে অতিথি শিক্ষক দিয়ে জোড়তালি দিয়ে কোনোমতে চালানো হচ্ছে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। কলেজে খন্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ায় প্রতিমাসে অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা। সরকারি ভাবে নিয়োগ না থাকায় পাঠদান ও শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় সেকশন অনুযায়ী উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বাংলা, ইংরেজী, গণিত, রাষ্ট্র বিজ্ঞান, জীব বিজ্ঞান ও হিসাব বিজ্ঞান পাঠদান চালিয়ে নিতে হচ্ছে অতিথি শিক্ষক দিয়ে। কলেজের শিক্ষর্থী শেখ কাইসার নাঈম ও ইমতিয়াক আহমেদ রানা বলেন, আমরা নামে মাত্র সরকারি কলেজে পড়া-লেখা করি। প্রায় সাত বছর আগে কলেজটি সরকারি করন হলেও অধ্যক্ষ বাদে এই কলেজে সরকারি ভাবে কোনো প্রভাষক নিয়োগ হয়নি। দৌলতপুর থানার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটি।
এ প্রসঙ্গে সরকারি মতিলাল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সত্যজিৎ দত্ত বলেন,
কলেজের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে বেশ কয়েকবার চিঠি পাঠিয়েছি। এমনকি বর্তমানে কলেজটিতে সরকারি পর্যায়ে অফিস সহকারী, পিয়ন ও নাইট গার্ড নেই।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় অবস্থিত মতিলাল সরকারী ডিগ্রি কলেজে শিক্ষক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। কলেজে ৩১ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র ১৭ জন। বিভিন্ন বিষয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। এতে কিছু বিষয়ে খন্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ায় প্রতি মাসে অতিরিক্ত বেতন দিতে হচ্ছে। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি সরকারি জাতীয়করণ হয় ২০১৮ সালে।
প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থী জন্যে নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। শিক্ষক সংকটের কারণে নিয়মিত ক্লাস নিতে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষকরা। এতে শিক্ষার্থীদেও পাশাপাশি হতাশ অভিভাবকরাও। তাই দ্রুত পর্যাপ্ত শিক্ষক পদায়নের দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের।
কলেজের তথ্য মতে, উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি দুইটি স্তর রয়েছে কলেজটিতে। উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শাখা বর্তমান চালু রয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৫টি বিষয়ে পাঠদান করা হয়। কলেজের প্রায় ১৫০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সহযোগী অধ্যপক ও প্রভাষক মিলে শিক্ষক পদ রয়েছে ৩১টি। কিন্তু ১৭ জন শিক্ষক কর্মরত
আছেন। বর্তমানে শূন্য রয়েছে ১৪টি শিক্ষকের পদ। শিক্ষকরা বলছেন, চলমান পরিস্থিতিতে অতিথি শিক্ষক দিয়ে জোড়তালি দিয়ে কোনোমতে চালানো হচ্ছে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। কলেজে খন্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ায় প্রতিমাসে অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা। সরকারি ভাবে নিয়োগ না থাকায় পাঠদান ও শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় সেকশন অনুযায়ী উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বাংলা, ইংরেজী, গণিত, রাষ্ট্র বিজ্ঞান, জীব বিজ্ঞান ও হিসাব বিজ্ঞান পাঠদান চালিয়ে নিতে হচ্ছে অতিথি শিক্ষক দিয়ে। কলেজের শিক্ষর্থী শেখ কাইসার নাঈম ও ইমতিয়াক আহমেদ রানা বলেন, আমরা নামে মাত্র সরকারি কলেজে পড়া-লেখা করি। প্রায় সাত বছর আগে কলেজটি সরকারি করন হলেও অধ্যক্ষ বাদে এই কলেজে সরকারি ভাবে কোনো প্রভাষক নিয়োগ হয়নি। দৌলতপুর থানার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটি।
এ প্রসঙ্গে সরকারি মতিলাল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সত্যজিৎ দত্ত বলেন,
কলেজের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে বেশ কয়েকবার চিঠি পাঠিয়েছি। এমনকি বর্তমানে কলেজটিতে সরকারি পর্যায়ে অফিস সহকারী, পিয়ন ও নাইট গার্ড নেই।