নারায়ণগঞ্জে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালকরা যানজট নিরসনের দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ইজিবাইক চালকরাও তাদের মারধর করেছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কের চাঁদমারী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পরে ইজিবাইক চালকরা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়ক অবরোধ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। এতে বেলা বারোটা থেকে দুইটা পর্যন্ত এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের মোতায়েনের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং পরে উভয়পক্ষকে নিয়ে নিজ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। এ বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিকেল পাঁচটার দিকে বৈঠক শেষে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠনের আশ্বাস দেন এবং অনুমোদনহীন কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা শহরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানান।
ইজিবাইক চালক, শিক্ষার্থী, পুলিশ ও যানজট নিরসন কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শহরের যানজট নিরসনে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ও বিকেএমইএ’র সহযোগিতায় অন্তত ৫০ জন সাধারণ শিক্ষার্থীকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োগ দেন। তারা ট্রাফিক পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের যানজট নিরসন কর্মীদের সঙ্গে সহায়ক ভূমিকা পালন করছিলেন।
এদিকে, যানজট নিরসনে জেলা প্রশাসনের সাম্প্রতিক এক বৈঠকে চার আসনের ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক শহরের কয়েকটি পয়েন্টে থামার সিদ্ধান্ত হয় এবং সেগুলো শহরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। তবে শহরে প্রবেশের দাবিতে গত ১১ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন চালকরা। গতকাল মঙ্গলবার নির্ধারিত স্থানে ইজিবাইক না থামিয়ে শহরের ভেতর প্রবেশ করা নিয়ে যানজট নিরসনের দায়িত্বে থাকা এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে চালকদের বাদানুবাদ হয়।
ওই বাদানুবাদের জেরেই বুধবার,(১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে চালকরা তাদের ওপর হামলা করেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
হামলায় আহত শিক্ষার্থী মারুফ বলেন, ‘চাঁদমারীর পর ইজিবাইক ঢোকা নিষেধ। আমরা চালকদের বাধা দেয়ায় সবাই মিলে আমাদের ওপর হামলা করে। পরে এ বিষয়টি জানানোর জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যেতে নিলে তারা আবারও হামলা করে।’
এর আগে গত ১২ মে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সামনেও যানজট নিরসন কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ইজিবাইক চালকরা। ওই সময় নগরভবনেও ভাঙচুর করা হয়।
এদিকে, ইজিবাইক চালকদের অভিযোগ, যেসব স্থানে গাড়ি থামানোর কথা বলা হয়েছে সেখানে যাত্রী পাওয়া যায় না। ফলে তাদের শহরে প্রবেশ করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
ইজিবাইক চালক মাহিম আহমেদ বলেন, ‘কিছু থেকে কিছু হলেই গাড়ির চাকা ফুটো করে দেয়। কিছু বললেই আমাদের ওপর তেড়ে আসে। আজও তারা লোকজন জড়ো হয়ে আমাদের ওপর প্রথমে হামলা করে।’
এ ঘটনায় তাদের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন বলেও জানান।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ‘এইটা একটা অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা। ভুল বোঝাবুঝি থেকে একটা ঘটনা ঘটে গেছে। পরে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে আলোচনায় এইটার একটা সমাধান হয়েছে। ইজিবাইক চালকরাও ট্রাফিক নির্দেশনা মেনে চলবেন।’
আগামীতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে পুলিশের নজরদারি থাকবে বলেও জানান এসপি।
জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যানজট নিরসন কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে ইজিবাইক চালকদের একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়। উভয়পক্ষকে নিয়েই আমরা বসেছিলাম। এই ঘটনার তদন্তে জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি করবে, তদন্তের পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা আহত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরও সহযোগিতা করা হবে।’
তবে, আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের অনুমোদিত ব্যাটারিচালিত রিকশার বাইরে অন্য কোনো রিকশা বা ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করতে পারবে না বলেও জানান তিনি।
বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নারায়ণগঞ্জে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালকরা যানজট নিরসনের দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ইজিবাইক চালকরাও তাদের মারধর করেছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কের চাঁদমারী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পরে ইজিবাইক চালকরা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়ক অবরোধ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। এতে বেলা বারোটা থেকে দুইটা পর্যন্ত এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের মোতায়েনের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং পরে উভয়পক্ষকে নিয়ে নিজ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। এ বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিকেল পাঁচটার দিকে বৈঠক শেষে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠনের আশ্বাস দেন এবং অনুমোদনহীন কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা শহরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানান।
ইজিবাইক চালক, শিক্ষার্থী, পুলিশ ও যানজট নিরসন কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শহরের যানজট নিরসনে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ও বিকেএমইএ’র সহযোগিতায় অন্তত ৫০ জন সাধারণ শিক্ষার্থীকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োগ দেন। তারা ট্রাফিক পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের যানজট নিরসন কর্মীদের সঙ্গে সহায়ক ভূমিকা পালন করছিলেন।
এদিকে, যানজট নিরসনে জেলা প্রশাসনের সাম্প্রতিক এক বৈঠকে চার আসনের ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক শহরের কয়েকটি পয়েন্টে থামার সিদ্ধান্ত হয় এবং সেগুলো শহরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। তবে শহরে প্রবেশের দাবিতে গত ১১ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন চালকরা। গতকাল মঙ্গলবার নির্ধারিত স্থানে ইজিবাইক না থামিয়ে শহরের ভেতর প্রবেশ করা নিয়ে যানজট নিরসনের দায়িত্বে থাকা এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে চালকদের বাদানুবাদ হয়।
ওই বাদানুবাদের জেরেই বুধবার,(১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে চালকরা তাদের ওপর হামলা করেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
হামলায় আহত শিক্ষার্থী মারুফ বলেন, ‘চাঁদমারীর পর ইজিবাইক ঢোকা নিষেধ। আমরা চালকদের বাধা দেয়ায় সবাই মিলে আমাদের ওপর হামলা করে। পরে এ বিষয়টি জানানোর জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যেতে নিলে তারা আবারও হামলা করে।’
এর আগে গত ১২ মে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সামনেও যানজট নিরসন কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ইজিবাইক চালকরা। ওই সময় নগরভবনেও ভাঙচুর করা হয়।
এদিকে, ইজিবাইক চালকদের অভিযোগ, যেসব স্থানে গাড়ি থামানোর কথা বলা হয়েছে সেখানে যাত্রী পাওয়া যায় না। ফলে তাদের শহরে প্রবেশ করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
ইজিবাইক চালক মাহিম আহমেদ বলেন, ‘কিছু থেকে কিছু হলেই গাড়ির চাকা ফুটো করে দেয়। কিছু বললেই আমাদের ওপর তেড়ে আসে। আজও তারা লোকজন জড়ো হয়ে আমাদের ওপর প্রথমে হামলা করে।’
এ ঘটনায় তাদের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন বলেও জানান।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ‘এইটা একটা অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা। ভুল বোঝাবুঝি থেকে একটা ঘটনা ঘটে গেছে। পরে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে আলোচনায় এইটার একটা সমাধান হয়েছে। ইজিবাইক চালকরাও ট্রাফিক নির্দেশনা মেনে চলবেন।’
আগামীতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে পুলিশের নজরদারি থাকবে বলেও জানান এসপি।
জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যানজট নিরসন কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে ইজিবাইক চালকদের একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়। উভয়পক্ষকে নিয়েই আমরা বসেছিলাম। এই ঘটনার তদন্তে জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি করবে, তদন্তের পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা আহত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরও সহযোগিতা করা হবে।’
তবে, আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের অনুমোদিত ব্যাটারিচালিত রিকশার বাইরে অন্য কোনো রিকশা বা ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করতে পারবে না বলেও জানান তিনি।