যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের মালিকানাধীন জাবির হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে নিহত আবরার মাশরুন নীলসহ অন্যান্যদের নিয়ে একটি প্রতিবেদনের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বজনেরা। তারা দাবি করেছেন ‘শহীদ’ পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করেছে ‘প্রথম আলো’।
পত্রিকায় আগুন দেয় বিক্ষুব্ধরা
‘ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা না বলে তার নামে মন্তব্য ছাপানো নীতিবিরোধী কাজ’
বুধবার,(১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে এক মানববন্ধনে তারা এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপর নিহতের পরিবারের সদস্যরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ করে ও প্রথম আলো পত্রিকার কপিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে জেলা প্রশাসক এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
বিক্ষোভকারীরা জানান, ‘প্রথম আলোর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় গত বছরের ৫ আগস্ট জাবির হোটেলের অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২৪ জনের মধ্যে ১৬টি পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা কেউ ‘শহীদ’ হিসেবে স্বীকৃতি চান না। নিহতদের স্বজনদের বরাত দিয়ে এ তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে তারা উল্লেখ করেন। তাদের অভিযোগ, কোনো সাংবাদিক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি, অথচ প্রতিবেদনে তাদের নামে মন্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে।’
নিহত আবরার নীলের মা জেসমিন আক্তার বলেন, আমার নয় বছরের বাচ্চা কীভাবে দুর্বৃত্ত হলো সে তো মানুষকে সাহায্য করতে গিয়েছিল। আগুন নেভাতে গিয়ে পুড়ে মারা গেছে। ও ছিল নিষ্পাপ শিশু। তাকে নিয়ে রাজনীতি করবেন না, লুটকারীর কলঙ্ক দেবেন না।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই প্রতিবেদন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শহীদদের স্মৃতিকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা। এতে গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের বিতর্কিত করে আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, কোনো ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা না বলে তার নামে মন্তব্য ছাপানো নীতিবিরোধী কাজ। বক্তারা প্রথম আলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশের দাবি জানান।
মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের সাবেক আহ্বায়ক রাশেদ খান, শহীদ ইউসুফ আলীর মা শাহীনা খাতুন, শহীদ সোহানুর রহমান সোহানের বাবা আনোয়ার হোসেন লাল্টুসহ নিহতদের স্বজন ও স্থানীয়রা অংশ নেন।
গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের দিনে যশোর শহরের জাবির হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে ২৪ জন নিহত হন। তাদের অনেককে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ’ হিসেবে অভিহিত করা হলেও প্রথম আলোর প্রতিবেদনে দাবি করা হয় তারা চাননা শহীদের স্মীকৃতি। যা সংবাদপত্রের নীতিমালা বিরোধী ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত কাজ।
বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের মালিকানাধীন জাবির হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে নিহত আবরার মাশরুন নীলসহ অন্যান্যদের নিয়ে একটি প্রতিবেদনের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বজনেরা। তারা দাবি করেছেন ‘শহীদ’ পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করেছে ‘প্রথম আলো’।
পত্রিকায় আগুন দেয় বিক্ষুব্ধরা
‘ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা না বলে তার নামে মন্তব্য ছাপানো নীতিবিরোধী কাজ’
বুধবার,(১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে এক মানববন্ধনে তারা এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপর নিহতের পরিবারের সদস্যরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ করে ও প্রথম আলো পত্রিকার কপিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে জেলা প্রশাসক এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
বিক্ষোভকারীরা জানান, ‘প্রথম আলোর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় গত বছরের ৫ আগস্ট জাবির হোটেলের অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২৪ জনের মধ্যে ১৬টি পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা কেউ ‘শহীদ’ হিসেবে স্বীকৃতি চান না। নিহতদের স্বজনদের বরাত দিয়ে এ তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে তারা উল্লেখ করেন। তাদের অভিযোগ, কোনো সাংবাদিক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি, অথচ প্রতিবেদনে তাদের নামে মন্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে।’
নিহত আবরার নীলের মা জেসমিন আক্তার বলেন, আমার নয় বছরের বাচ্চা কীভাবে দুর্বৃত্ত হলো সে তো মানুষকে সাহায্য করতে গিয়েছিল। আগুন নেভাতে গিয়ে পুড়ে মারা গেছে। ও ছিল নিষ্পাপ শিশু। তাকে নিয়ে রাজনীতি করবেন না, লুটকারীর কলঙ্ক দেবেন না।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই প্রতিবেদন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শহীদদের স্মৃতিকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা। এতে গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের বিতর্কিত করে আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, কোনো ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা না বলে তার নামে মন্তব্য ছাপানো নীতিবিরোধী কাজ। বক্তারা প্রথম আলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশের দাবি জানান।
মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের সাবেক আহ্বায়ক রাশেদ খান, শহীদ ইউসুফ আলীর মা শাহীনা খাতুন, শহীদ সোহানুর রহমান সোহানের বাবা আনোয়ার হোসেন লাল্টুসহ নিহতদের স্বজন ও স্থানীয়রা অংশ নেন।
গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের দিনে যশোর শহরের জাবির হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে ২৪ জন নিহত হন। তাদের অনেককে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ’ হিসেবে অভিহিত করা হলেও প্রথম আলোর প্রতিবেদনে দাবি করা হয় তারা চাননা শহীদের স্মীকৃতি। যা সংবাদপত্রের নীতিমালা বিরোধী ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত কাজ।