৩১,৫৬৬টি পূজামণ্ডপে প্রাথমিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
আইজিপি বাহারুল আলম বলেছেন, আসন্ন দুর্গাপূজা নিরাপদে সুন্দরভাবে উদ্যাপিত হবে। পুলিশ পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় সতর্ক অবস্থানে থাকবে। গতকাল পুলিশ সদর দপ্তরে হল অব প্রাইডে শারদীয় দুর্গাপূজার আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন।
আইজিপি বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে পুলিশ প্রাক পূজা ও পূজা চলাকালীন এবং প্রতিমা বিসর্জন ও পূজা পরবর্তী তিন স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পূজাকেন্দ্রিক পুলিশের নিরাপত্তা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আইজিপি আশা প্রকাশ করে বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আসন্ন দুর্গাপূজা উৎসব মুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে নিরাপদে নির্বিঘ্নে উদ্যাপিত হবে। এজন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
পূজার নিরাপত্তা সভায় র্যাবের মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান, এসবিপ্রধান গোলাম রসুল, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি দেলোয়ার হোসেন মিঞা, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মাইনুল হাসানসহ বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা এবং হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন মজুমদার, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল রোজারিও ও সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধরসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার ও নৌ পুলিশের সুপাররা ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।
সভায় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কেউ যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করার জন্য পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
সভায় দুর্গাপূজা চলাকালে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশের পাশাপাশি বিশেষায়িত টিম সোয়াট, ক্রাইম রেসপন্স টিম, (সিআরটি) ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে পুলিশ সদর দপ্তর ও অন্যান্য পুলিশ ইউনিটে মনিটরিং সেল চালু থাকবে। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর রোববার থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ৩১ হাজার
৫৬৬টি মন্ডপে দুর্গাপূজা উদ্যাপিত হবে।
এবার পূজা আরও উৎসবমুখর হবে, আশা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এবার অত্যন্ত ‘শান্তিপূর্ণভাবে ও উৎসবমুখর’ পরিবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা পালিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
গতকাল বিকেলে ঢাকায় রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘এবার প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। আমি আশ্বস্ত করতে চাই, গতবারের চেয়েও এবার পূজা ভালোভাবে হবে, উৎসবমুখর এবং নির্বিঘ্নে হবে।’ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পবিত্রতা বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় সব রীতিনীতি মেনে চলতে হবে। কেউ যেন পবিত্রতা নষ্ট না করি।’
গতবারের চেয়ে এবার সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ বেশি দেয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আগেরবার সরকার ২ কোটি বরাদ্দ দিয়েছে, এবার ৫ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। এরপরেও কোনো প্রয়োজন থাকলে পাশে থাকার আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এবার পূজামণ্ডপের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলেও তথ্য দেন তিনি। ‘তাদেরও (পূজা কমিটির) লোক থাকবে। আর আনসার, পুলিশতো থাকছেই। সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোনো হুমকি নাই। সবকিছু ভালোভাবেই চলছে। বাইরের কোনো কথায় কান দেবেন না।’ এই উৎসব পালনে সবার সাহায্য সহযোগিতা কামনা করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
বিভিন্ন পূজামণ্ডপে কমিটির নিজেদের মধ্যে কলহের কারণে বিশৃঙ্খলা হতে পারে, সম্প্রতি তার এই মন্তব্যের ব্যাপারে জানতে চাওয়া উপদেষ্টা বলেন, ‘সব জায়গায় এ রকম। ভাই-বোনের মধ্যে অন্তঃকোন্দল থাকে, ভাই-ভাইয়ের ভেতরে থাকে। পাড়া-পড়শির মধ্যে থাকে। এটা যেহেতু ধর্মীয় অনুষ্ঠান আশা করি, এখানে অন্তঃকোন্দল থাকবে না। সবাই একসঙ্গে উদযাপন করবে।’
রমনা কালী মন্দির কমিটির সভাপতি অপর্ণা রায় আশা প্রকাশ করে বলেন, সবার সহযোগিতায় পূজা সুন্দরভাবে উদযাপিত হবে। বিগত সরকারকে ফ্যাসিস্ট সরকার আখ্যায়িত করে অপর্ণা রায় বলেন, ‘১৭ বছর সব ধর্মের মানুষ নির্যাতিত হয়েছে। আমরা বলবো না, শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নির্যাতিত হয়েছে।’ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসা করে তিনি বলেন, আগে ছুটি ছিল একদিন, এ সরকার দুই দিন করেছে।
৩১,৫৬৬টি পূজামণ্ডপে প্রাথমিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আইজিপি বাহারুল আলম বলেছেন, আসন্ন দুর্গাপূজা নিরাপদে সুন্দরভাবে উদ্যাপিত হবে। পুলিশ পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় সতর্ক অবস্থানে থাকবে। গতকাল পুলিশ সদর দপ্তরে হল অব প্রাইডে শারদীয় দুর্গাপূজার আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন।
আইজিপি বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে পুলিশ প্রাক পূজা ও পূজা চলাকালীন এবং প্রতিমা বিসর্জন ও পূজা পরবর্তী তিন স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পূজাকেন্দ্রিক পুলিশের নিরাপত্তা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আইজিপি আশা প্রকাশ করে বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আসন্ন দুর্গাপূজা উৎসব মুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে নিরাপদে নির্বিঘ্নে উদ্যাপিত হবে। এজন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
পূজার নিরাপত্তা সভায় র্যাবের মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান, এসবিপ্রধান গোলাম রসুল, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি দেলোয়ার হোসেন মিঞা, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মাইনুল হাসানসহ বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা এবং হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন মজুমদার, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল রোজারিও ও সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধরসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার ও নৌ পুলিশের সুপাররা ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।
সভায় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কেউ যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করার জন্য পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
সভায় দুর্গাপূজা চলাকালে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশের পাশাপাশি বিশেষায়িত টিম সোয়াট, ক্রাইম রেসপন্স টিম, (সিআরটি) ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে পুলিশ সদর দপ্তর ও অন্যান্য পুলিশ ইউনিটে মনিটরিং সেল চালু থাকবে। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর রোববার থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ৩১ হাজার
৫৬৬টি মন্ডপে দুর্গাপূজা উদ্যাপিত হবে।
এবার পূজা আরও উৎসবমুখর হবে, আশা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এবার অত্যন্ত ‘শান্তিপূর্ণভাবে ও উৎসবমুখর’ পরিবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা পালিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
গতকাল বিকেলে ঢাকায় রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘এবার প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। আমি আশ্বস্ত করতে চাই, গতবারের চেয়েও এবার পূজা ভালোভাবে হবে, উৎসবমুখর এবং নির্বিঘ্নে হবে।’ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পবিত্রতা বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় সব রীতিনীতি মেনে চলতে হবে। কেউ যেন পবিত্রতা নষ্ট না করি।’
গতবারের চেয়ে এবার সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ বেশি দেয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আগেরবার সরকার ২ কোটি বরাদ্দ দিয়েছে, এবার ৫ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। এরপরেও কোনো প্রয়োজন থাকলে পাশে থাকার আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এবার পূজামণ্ডপের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলেও তথ্য দেন তিনি। ‘তাদেরও (পূজা কমিটির) লোক থাকবে। আর আনসার, পুলিশতো থাকছেই। সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোনো হুমকি নাই। সবকিছু ভালোভাবেই চলছে। বাইরের কোনো কথায় কান দেবেন না।’ এই উৎসব পালনে সবার সাহায্য সহযোগিতা কামনা করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
বিভিন্ন পূজামণ্ডপে কমিটির নিজেদের মধ্যে কলহের কারণে বিশৃঙ্খলা হতে পারে, সম্প্রতি তার এই মন্তব্যের ব্যাপারে জানতে চাওয়া উপদেষ্টা বলেন, ‘সব জায়গায় এ রকম। ভাই-বোনের মধ্যে অন্তঃকোন্দল থাকে, ভাই-ভাইয়ের ভেতরে থাকে। পাড়া-পড়শির মধ্যে থাকে। এটা যেহেতু ধর্মীয় অনুষ্ঠান আশা করি, এখানে অন্তঃকোন্দল থাকবে না। সবাই একসঙ্গে উদযাপন করবে।’
রমনা কালী মন্দির কমিটির সভাপতি অপর্ণা রায় আশা প্রকাশ করে বলেন, সবার সহযোগিতায় পূজা সুন্দরভাবে উদযাপিত হবে। বিগত সরকারকে ফ্যাসিস্ট সরকার আখ্যায়িত করে অপর্ণা রায় বলেন, ‘১৭ বছর সব ধর্মের মানুষ নির্যাতিত হয়েছে। আমরা বলবো না, শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নির্যাতিত হয়েছে।’ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসা করে তিনি বলেন, আগে ছুটি ছিল একদিন, এ সরকার দুই দিন করেছে।