কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে কফিল উদ্দিন শাহর মাজার ও দরগায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের আসাদপুর গ্রামে কফিল উদ্দিন শাহর মাজারে এই হামলা হয় বলে জানিয়েছেন হোমনার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমা। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ঘটনায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মো. মহসীন (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার ফকিরবাড়ির আলেক শাহর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে ‘বেমজা মহসিন’ নামের একটি আইডি থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সাঃ) কটূক্তি করে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এতে এলাকার লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তখন তারা মহসীনের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভের মুখে পুলিশ মহসীনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
এর জের ধরে উত্তেজিত জনতা সকালে মহসীনের বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় পাশের মাজারেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে সেখানে থাকা মোটরবাইকসহ আসবাবপত্র পুড়ে যায়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, “এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মহসীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতে পাঠিয়ে তার রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কারো ইন্ধন আছে কি-না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।”
স্থানীয়রা জানান, কফিল উদ্দিন শাহর দরগাহ কম্পাউন্ডে আরও কয়েকজনের মাজার রয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে কফিল উদ্দিন শাহর মাজার ও দরগায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের আসাদপুর গ্রামে কফিল উদ্দিন শাহর মাজারে এই হামলা হয় বলে জানিয়েছেন হোমনার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমা। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ঘটনায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মো. মহসীন (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার ফকিরবাড়ির আলেক শাহর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে ‘বেমজা মহসিন’ নামের একটি আইডি থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সাঃ) কটূক্তি করে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এতে এলাকার লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তখন তারা মহসীনের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভের মুখে পুলিশ মহসীনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
এর জের ধরে উত্তেজিত জনতা সকালে মহসীনের বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় পাশের মাজারেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে সেখানে থাকা মোটরবাইকসহ আসবাবপত্র পুড়ে যায়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, “এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মহসীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতে পাঠিয়ে তার রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কারো ইন্ধন আছে কি-না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।”
স্থানীয়রা জানান, কফিল উদ্দিন শাহর দরগাহ কম্পাউন্ডে আরও কয়েকজনের মাজার রয়েছে।