দশমিনা (পটুয়াখালী) পূর্ব আলীপুর গ্রামের কৃষক মো. রেজাউল মাতব্বর মাচায় লাউ ঝুলছে -সংবাদ
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের আবাদি-অনাবাদি ও চরাঞ্চল এবং বসতঘরের আশেপাশে মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষের আবাদ বাড়ছে। উপজেলায় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবার চেষ্টা করছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এসএসিপি-রেইনস প্রকল্পের আওতায় মালচিং পদ্ধতিতে লাউ চাষাবাদ করা হয়। মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হলে আগাছা কম হয় এবং ফলন ভাল হয়।
উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের পূর্ব আলীপুর গ্রামের কৃষক মো. রেজাউল মাতব্বর ৫০ শতক জমিতে এসএসিপি- রেইনস প্রকল্পের আওতায় প্রনোদনা সহায়তা পেয়ে লাউ চাষাবাদ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছে। তার এই সাফল্য দেখে আশেপাশের অনেক কৃষক লাউ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কৃষক রেজাউল ৩০ হাজার টাকা খরচ করে ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আবাদি-অনাবাদি জমিতে কৃষি প্রদর্শনী এবং লাউ মহাসমারোহ বিরাজ করছে। কৃষি জমিতে পানি থাকায় চাষাবাদ করতে পারতো না। ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সবজি নিয়ে আসা হতো। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা নিজেরাই সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছে। স্থানীয়রা আগাম চাহিদা মেটাতে লাউ চাষ করে বাজারে চাহিদা মিটানোরা চেষ্টা করছে। স্থানীয়দের চাহিদা মিটাতে কৃষকরা পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ সবজি বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে। উপজেলায় দফায় দফায় বন্যা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের ফলে কৃষকরা বার বার লোকসানে পড়লেও চলতি মৌসুমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা লাউয়ের ব্যাপক চাষাবাদ করেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় কৃষি প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করা হয়। কৃষকরা আবাদি ও অনাবাদি এবং সড়কের পাশের জমিতে প্রদর্শনীর মাধ্যমে লাউ চাষ করেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাফর আহমেদ বলেন, কৃষকদেরকে চাষাবাদে উৎসাহিত করা এবং উন্নতমানের লাউ চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছে।
দশমিনা (পটুয়াখালী) পূর্ব আলীপুর গ্রামের কৃষক মো. রেজাউল মাতব্বর মাচায় লাউ ঝুলছে -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের আবাদি-অনাবাদি ও চরাঞ্চল এবং বসতঘরের আশেপাশে মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষের আবাদ বাড়ছে। উপজেলায় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবার চেষ্টা করছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এসএসিপি-রেইনস প্রকল্পের আওতায় মালচিং পদ্ধতিতে লাউ চাষাবাদ করা হয়। মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হলে আগাছা কম হয় এবং ফলন ভাল হয়।
উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের পূর্ব আলীপুর গ্রামের কৃষক মো. রেজাউল মাতব্বর ৫০ শতক জমিতে এসএসিপি- রেইনস প্রকল্পের আওতায় প্রনোদনা সহায়তা পেয়ে লাউ চাষাবাদ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছে। তার এই সাফল্য দেখে আশেপাশের অনেক কৃষক লাউ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কৃষক রেজাউল ৩০ হাজার টাকা খরচ করে ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আবাদি-অনাবাদি জমিতে কৃষি প্রদর্শনী এবং লাউ মহাসমারোহ বিরাজ করছে। কৃষি জমিতে পানি থাকায় চাষাবাদ করতে পারতো না। ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সবজি নিয়ে আসা হতো। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা নিজেরাই সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছে। স্থানীয়রা আগাম চাহিদা মেটাতে লাউ চাষ করে বাজারে চাহিদা মিটানোরা চেষ্টা করছে। স্থানীয়দের চাহিদা মিটাতে কৃষকরা পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ সবজি বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে। উপজেলায় দফায় দফায় বন্যা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের ফলে কৃষকরা বার বার লোকসানে পড়লেও চলতি মৌসুমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা লাউয়ের ব্যাপক চাষাবাদ করেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় কৃষি প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করা হয়। কৃষকরা আবাদি ও অনাবাদি এবং সড়কের পাশের জমিতে প্রদর্শনীর মাধ্যমে লাউ চাষ করেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাফর আহমেদ বলেন, কৃষকদেরকে চাষাবাদে উৎসাহিত করা এবং উন্নতমানের লাউ চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছে।