ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
দীর্ঘ ১২ বছর ধরে জ্বাল সনদ দিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর পদে কর্মরত কর্মকর্তা মোছাঃ ইরিনা নাহারের স্নাতকোত্তরের সনদ জালিয়াতির সত্যতা পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক তাকে চাকুরি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৫ তম সিন্ডিকেট সভায় ইরিনা নাহারের সনদ জালিয়াতির বিষয় টি উপস্থাপন করা হলে সিন্ডিকেট সভায় তাকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেই সাথে ঘটনা তদন্ত করতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার বিষয়টি জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. মো. হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। রেজিষ্টার জানান এছাড়া কীভাবে তিনি জাল সনদে চাকরি পেলেন, প্রমোশন পেলেন তা খতিয়ে দেখতে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ৭ দিনের সময় দিয়েছিল সনদের আসল কাগজপত্র জমা দিতে। কিন্তু ইরিনা নাহার জমা দিতে ব্যার্থ হলে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১২ বছর পুর্বে ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর পদে যোগদানের শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক, ও দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর পাশ হতে হবে এবং শারীরিক শিক্ষা বিভাগ থেকে (বিপিএড) ডিগ্রীধারী হতে হবে।কিন্তু বিজ্ঞপ্তিতে স্মাতকোত্তর ডিগ্রীর উল্লেখ থাকলেও এই কর্মকর্তা স্নাতকোত্তরের ডিগ্রী ছাড়াই তৎকালীন উপচার্য প্রফেসর আব্দুল জলিল মিয়া তাকে এডহকে নিয়োগ দেন। জানা যায়, চাকুরিতে যোগদানের দীর্ঘ ৯ বছর পরে, ২০২২ সালে তিনি ব্যক্তিগত ফাইলে অর্ন্তভুক্ত করার জন্য স্নাতকোত্তর পাশের একটি সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন। তবে বেসরকারী এশিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে আনা সেই সনদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাচাইকালে সেটি জাল বা ভূয়া বলে প্রমানিত হয়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অভিযোগে আরও জানা যায়, ১ মার্চ ২০১২ সালে ফিজিকাল ইন্সট্রাক্টর পদে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মোঃ শাহজাহান আলী মন্ডল স্বাক্ষরিত এক নিয়োগ পত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ মাসের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পান এ কর্মকর্তা, ৬ মাস শেষ হবার পর এডহক ভিত্তিতে উপাচার্যের নিজস্ব ক্ষমতায় পুনরায় ৬ মাস বৃদ্ধি করা হয়।
পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ২৩ মার্চ তাকে স্থায়ী পদে পদায়ন করা হয়।
এ ব্যাপারে ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর মোছা. ইরিনা নাহার বলেন, আমি যে সার্টিফিকেট পেয়েছি সেটাই দিয়েছি। আমি কি জানতাম এটা জাল না কি। এ ব্যাপারে আর কোন মন্তব্য করতে তিনি রাজি হননি।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দীর্ঘ ১২ বছর ধরে জ্বাল সনদ দিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর পদে কর্মরত কর্মকর্তা মোছাঃ ইরিনা নাহারের স্নাতকোত্তরের সনদ জালিয়াতির সত্যতা পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক তাকে চাকুরি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৫ তম সিন্ডিকেট সভায় ইরিনা নাহারের সনদ জালিয়াতির বিষয় টি উপস্থাপন করা হলে সিন্ডিকেট সভায় তাকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেই সাথে ঘটনা তদন্ত করতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার বিষয়টি জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. মো. হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। রেজিষ্টার জানান এছাড়া কীভাবে তিনি জাল সনদে চাকরি পেলেন, প্রমোশন পেলেন তা খতিয়ে দেখতে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ৭ দিনের সময় দিয়েছিল সনদের আসল কাগজপত্র জমা দিতে। কিন্তু ইরিনা নাহার জমা দিতে ব্যার্থ হলে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১২ বছর পুর্বে ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর পদে যোগদানের শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক, ও দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর পাশ হতে হবে এবং শারীরিক শিক্ষা বিভাগ থেকে (বিপিএড) ডিগ্রীধারী হতে হবে।কিন্তু বিজ্ঞপ্তিতে স্মাতকোত্তর ডিগ্রীর উল্লেখ থাকলেও এই কর্মকর্তা স্নাতকোত্তরের ডিগ্রী ছাড়াই তৎকালীন উপচার্য প্রফেসর আব্দুল জলিল মিয়া তাকে এডহকে নিয়োগ দেন। জানা যায়, চাকুরিতে যোগদানের দীর্ঘ ৯ বছর পরে, ২০২২ সালে তিনি ব্যক্তিগত ফাইলে অর্ন্তভুক্ত করার জন্য স্নাতকোত্তর পাশের একটি সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন। তবে বেসরকারী এশিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে আনা সেই সনদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাচাইকালে সেটি জাল বা ভূয়া বলে প্রমানিত হয়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অভিযোগে আরও জানা যায়, ১ মার্চ ২০১২ সালে ফিজিকাল ইন্সট্রাক্টর পদে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মোঃ শাহজাহান আলী মন্ডল স্বাক্ষরিত এক নিয়োগ পত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ মাসের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পান এ কর্মকর্তা, ৬ মাস শেষ হবার পর এডহক ভিত্তিতে উপাচার্যের নিজস্ব ক্ষমতায় পুনরায় ৬ মাস বৃদ্ধি করা হয়।
পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ২৩ মার্চ তাকে স্থায়ী পদে পদায়ন করা হয়।
এ ব্যাপারে ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর মোছা. ইরিনা নাহার বলেন, আমি যে সার্টিফিকেট পেয়েছি সেটাই দিয়েছি। আমি কি জানতাম এটা জাল না কি। এ ব্যাপারে আর কোন মন্তব্য করতে তিনি রাজি হননি।