ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিম অঞ্চলের জনপ্রিয় মেইল ট্রেন উত্তরা এ´প্রেস ট্রেনটি দীর্ঘ ২২ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে এই ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। ৩১ আপ এবং ৩২ ডাউন উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনটি পার্বতিপুর থেকে রাজশাহী পর্যন্ত চলাচল করে। ট্রেনটি মেইল ট্রেন হওয়ায় প্রায় সব স্টেশনে যাত্রা বিরতী আছে। ফলে সব শ্রেণীর যাত্রীরা এই ট্রেনে যাতায়াত করে থাকেন। ট্রেনটি বন্ধ হওয়ায় সকালের দিকে এই রুটে আর কোন মেইল ট্রেন না থাকায় অধিক টাকা খরচ করে সড়ক পথে এই রুটে এখন যাত্রীরা যাতায়াত করে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় নাশকতা এড়াতে ২০২৩ সালের ২২ ডিসেম্বর তারিখ থেকে এই ট্রেনটি বন্ধ ঘোষনা করে রেল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ট্রেন চালকের সংকটের কথাও তখন শোনা গিয়েছিল। নি¤œ আয়ের যাত্রীরা ট্রেনটি পুনরায় চালুর দাবী তুলেছেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে (পশ্চিম) কার্যালয় রাজশাহী দপ্তর সূত্র থেকে জানা গেছে, পার্বতীপুর থেকে ভোর ৪ টায় উত্তরা ট্রেনটি রাজশাহী অভিমুখে ছেড়ে আসে। দুপুর ১২ টায় ট্রেনটি আবার রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসে। ট্রেনটি প্রায় সব স্টেশনে যাত্রাবিরতী করে। ফুলবাড়ি, বিরামপুর, আক্কেলপুর, জয়পুরহাট, সান্তাহার জংশন, মাধবনগর, নাটোর, নলডাঙ্গা, আব্দূলপুর, রাজশাহীসহ প্রায় সব স্টেশনেই ট্রেনটির যাত্রাবিরতী আছে। সকালের দিকে হওয়ায় অফিসগামী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ সব ধরনের যাত্রীরা এই ট্রেনে যাতায়াত করে। বিশেষত নিন্মমধ্যবিত্ত শ্রেণীর যাত্রী ্এবং ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা এই ট্রেনে বেশি যাতায়াত করে থাকেন। ট্রেনটি কিছুদিন বেসরকারি পর্যায়ে চলাচল করেছে।
সান্তাহার শহরের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, আগে আমরা সান্তাহার থেকে আত্রাই উত্তরা ট্রেনে ১০ টাকা খরচ করে যেতে পারতাম। বর্তমানে উত্তরা ট্রেনটি বন্ধ থাকায় সেই আত্রাই সড়ক পথে ৭৫ টাকা খরচ করে যেতে হয়। তাছাড়া বগুড়ার সান্তাহার ইউনিয়নের ছাতনি-ঢেকড়া গ্রামের তৈরি বিখ্যাত মাদুর উত্তরা ট্রেনে দেশের বিভিন্ন স্টেশনে যেত অল্প টাকা খরচ করে। সে ব্যবস্থাও এখন বন্ধ হয়ে আছে। মাদুর শিল্প বর্তমানে বাড়তি খরচ করে সান্তাহার জংসন স্টেশন থেকে সারা দেশে রপ্তানি হয়।
আদমদীঘি উপজেলার সান্দিড়া গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী আনসার আলী বলেন, ভোরে উত্তরা ট্রেনে চড়ে আমরা নওগাঁর আত্রাই ষ্টেশনে গিয়ে মাছ কিনতাম এবং অল্প সময়ের মধ্যে সান্তাহার ও নওগাঁ শহরের বাজারে এসে মাছ বিক্রি করতাম । বর্তমানে উত্তরা ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের বেশি টাকা খরচ করে সড়ক পথে চলাচল করতে হয় । সান্তাহার পৌরসভার সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোরশেদ অবিলম্বে ট্রেনটি চালু করার জন্য রেল কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছেন।
সান্তাহার জংসন স্টেশনের স্টেশন মাস্টার খাতিজা বেগম জানান, উত্তরা ট্রেনটি ঠিক করে চালু হবে তা সঠিক জানি না। আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোন খবর নেই। আমরা ট্রেনটি চালু করার সুপারিশ করেছি ওপর মহলে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) মো. মামুনুল ইসলাম জানান, ট্রেনটি পুনরায় চালু করার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিম অঞ্চলের জনপ্রিয় মেইল ট্রেন উত্তরা এ´প্রেস ট্রেনটি দীর্ঘ ২২ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে এই ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। ৩১ আপ এবং ৩২ ডাউন উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনটি পার্বতিপুর থেকে রাজশাহী পর্যন্ত চলাচল করে। ট্রেনটি মেইল ট্রেন হওয়ায় প্রায় সব স্টেশনে যাত্রা বিরতী আছে। ফলে সব শ্রেণীর যাত্রীরা এই ট্রেনে যাতায়াত করে থাকেন। ট্রেনটি বন্ধ হওয়ায় সকালের দিকে এই রুটে আর কোন মেইল ট্রেন না থাকায় অধিক টাকা খরচ করে সড়ক পথে এই রুটে এখন যাত্রীরা যাতায়াত করে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় নাশকতা এড়াতে ২০২৩ সালের ২২ ডিসেম্বর তারিখ থেকে এই ট্রেনটি বন্ধ ঘোষনা করে রেল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ট্রেন চালকের সংকটের কথাও তখন শোনা গিয়েছিল। নি¤œ আয়ের যাত্রীরা ট্রেনটি পুনরায় চালুর দাবী তুলেছেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে (পশ্চিম) কার্যালয় রাজশাহী দপ্তর সূত্র থেকে জানা গেছে, পার্বতীপুর থেকে ভোর ৪ টায় উত্তরা ট্রেনটি রাজশাহী অভিমুখে ছেড়ে আসে। দুপুর ১২ টায় ট্রেনটি আবার রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসে। ট্রেনটি প্রায় সব স্টেশনে যাত্রাবিরতী করে। ফুলবাড়ি, বিরামপুর, আক্কেলপুর, জয়পুরহাট, সান্তাহার জংশন, মাধবনগর, নাটোর, নলডাঙ্গা, আব্দূলপুর, রাজশাহীসহ প্রায় সব স্টেশনেই ট্রেনটির যাত্রাবিরতী আছে। সকালের দিকে হওয়ায় অফিসগামী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ সব ধরনের যাত্রীরা এই ট্রেনে যাতায়াত করে। বিশেষত নিন্মমধ্যবিত্ত শ্রেণীর যাত্রী ্এবং ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা এই ট্রেনে বেশি যাতায়াত করে থাকেন। ট্রেনটি কিছুদিন বেসরকারি পর্যায়ে চলাচল করেছে।
সান্তাহার শহরের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, আগে আমরা সান্তাহার থেকে আত্রাই উত্তরা ট্রেনে ১০ টাকা খরচ করে যেতে পারতাম। বর্তমানে উত্তরা ট্রেনটি বন্ধ থাকায় সেই আত্রাই সড়ক পথে ৭৫ টাকা খরচ করে যেতে হয়। তাছাড়া বগুড়ার সান্তাহার ইউনিয়নের ছাতনি-ঢেকড়া গ্রামের তৈরি বিখ্যাত মাদুর উত্তরা ট্রেনে দেশের বিভিন্ন স্টেশনে যেত অল্প টাকা খরচ করে। সে ব্যবস্থাও এখন বন্ধ হয়ে আছে। মাদুর শিল্প বর্তমানে বাড়তি খরচ করে সান্তাহার জংসন স্টেশন থেকে সারা দেশে রপ্তানি হয়।
আদমদীঘি উপজেলার সান্দিড়া গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী আনসার আলী বলেন, ভোরে উত্তরা ট্রেনে চড়ে আমরা নওগাঁর আত্রাই ষ্টেশনে গিয়ে মাছ কিনতাম এবং অল্প সময়ের মধ্যে সান্তাহার ও নওগাঁ শহরের বাজারে এসে মাছ বিক্রি করতাম । বর্তমানে উত্তরা ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের বেশি টাকা খরচ করে সড়ক পথে চলাচল করতে হয় । সান্তাহার পৌরসভার সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোরশেদ অবিলম্বে ট্রেনটি চালু করার জন্য রেল কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছেন।
সান্তাহার জংসন স্টেশনের স্টেশন মাস্টার খাতিজা বেগম জানান, উত্তরা ট্রেনটি ঠিক করে চালু হবে তা সঠিক জানি না। আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোন খবর নেই। আমরা ট্রেনটি চালু করার সুপারিশ করেছি ওপর মহলে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) মো. মামুনুল ইসলাম জানান, ট্রেনটি পুনরায় চালু করার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।