দেবিদ্বার (কুমিল্লা) : ইটের সলিং উঠে গিয়ে খানাখন্দে সয়লাব সড়ক -সংবাদ
কুমিল্লার দেবিদ্বার-চান্দিনা সড়ক। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ককে সংযুক্ত করার পাশাপাশি কুমিল্লার অন্যতম দুই উপজেলা দেবিদ্বার ও চান্দিনাকে যুক্ত রেখেছে এই সড়কটি। অথচ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেবিদ্বার-চান্দিনা সড়ক বর্তমানে চলাচলে একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায় ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কটি অতিক্রম করতে হয় নানা
ঝুঁকি নিয়ে। সরেজমিনে সড়কটি ঘুরে দেখা যায়, দেবিদ্বার উপজেলা সদরের প্রবেশ মুখে সাহেববাড়ি থেকে কলেজ রোড পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা খানাখন্দ আর গর্তের কারনে চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী। বাকী ১৪ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশই ভাঙ্গা ও খানাখন্দে ভরা। খালের পাশ দিয়ে সড়কটি
নির্মিত হওয়ার কার?নে কোথাও কোথাও বৃষ্টিতে মাটি সরে গিয়ে সরু হয়ে গেছে। এতে পাশাপাশি দ্ইুটি গাড়ি অতিক্রম করতে খালে পড়ার ঝুকি নিতে হয়। স্থানীয়রা জানান, এ সড়ক দিয়ে দেবিদ্বার থেকে চান্দিনা হয়ে ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ বেশ কিছু এলাকায় দ্রুত যাতায়াত করার সুবিধা থাকায় অফিসগামী ও ব্যাবসায়ীরা এ পথটি ব্যবহার করেন। এতে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট ঘুরে প্রায় ৪০ কিমি. পথ পাড়ি দিতে হয় না। একই সঙ্গে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত সবজি নিমসার বাজার, কুমিল্লা ও ঢাকায় নিয়ে যান। আবার স্কুল- কলেজের হাজারো শিক্ষার্থী প্রতিদিন এ সড়ক দিয়েই যাতায়াত করে থাকে। খোজ নিয়ে জানাযায়, সর্বশেষ ২০০৪ সালে ৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সড়কের সংস্কার কাজ হয়েছিল। এরপর কয়েক দফায় সংস্কারের নামে অর্থ বরাদ্দ হলেও, স্থানীয়দের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতাদের যোগসাজশে একাধিক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান লুটপাট করে সংস্কারের জন্য প্রায় এক কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। তবে দরপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে ২০২২ সালের মার্চে নিউ মার্কেট থেকে বারেরা বটগাছ মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার ১৮ ফুট চওড়া পিচঢালা রাস্তা কেটে সেখানে ১২ ফুট সরু ইটের সলিং বসানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, কুমিল্লার সাবেক এমপি আ.ক.ম বাহারের নামসর্বস্ব একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজ করে। তখন এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে সওজের তৎকালীন উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন সাকিব সরেজমিনে গিয়ে জানান, ছয় মাস পর
নতুন বরাদ্দ দিয়ে সড়কটি আবারও পিচের ঢালাই করা হবে। কিন্তু তিন বছর পার হলেও সেই পিচের ঢালাই আর হয়নি। এদিকে ইটের সলিং উঠে গিয়ে সড়কটি
সম্পূর্ণভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এখন প্রতিদিনই এই সড়কে অটোরিকশা উল্টে দুর্ঘটনায় মানুষ আহত হচ্ছে। ডেলিভারি রোগী নিয়ে চালকরা এ পথে যেতে ভয় পান। সাধারণ যাত্রীদেরও শারীরিকভাবে কষ্ট সহ্য করতে হয়। চান্দিনা রোডের সিএনজি চালক
জসিম উদ্দিন ও আবু মুসা বলেন, স্ট্যান্ড থেকে সাহেববাড়ি পর্যন্ত গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়। তিন বছর
ধরে এই ভোগান্তি সহ্য করছি। ভালো পিচের রাস্তা কেটে কোন কারনে তড়িঘড়ি করে ইটের সলিং দেওয়া হয়েছিল বুঝি না। সড়কটির পাশে সরকারি খাদ্যগুদাম, সার ও বীজের গুদাম, সরকারি বীজ সংরক্ষণ অফিস,
এএসপি (সার্কেল) অফিস, সিএনজি স্ট্যান্ড, তিনটি হাসপাতাল, স্কুল ও মাদরাসাসহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। এছাড়া আন্তজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, অটোরিকশা, সিএনজি ও অন্যান্য যানবাহনের চলাচলের কারণে সড়কটি সব সময় ব্যস্ত থাকে। ফলে দ্রুত সংস্কার না হলে পুরো এলাকায় যোগাযোগ ব্যবন্থা ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ।
দেবিদ্বার (কুমিল্লা) : ইটের সলিং উঠে গিয়ে খানাখন্দে সয়লাব সড়ক -সংবাদ
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কুমিল্লার দেবিদ্বার-চান্দিনা সড়ক। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ককে সংযুক্ত করার পাশাপাশি কুমিল্লার অন্যতম দুই উপজেলা দেবিদ্বার ও চান্দিনাকে যুক্ত রেখেছে এই সড়কটি। অথচ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেবিদ্বার-চান্দিনা সড়ক বর্তমানে চলাচলে একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায় ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কটি অতিক্রম করতে হয় নানা
ঝুঁকি নিয়ে। সরেজমিনে সড়কটি ঘুরে দেখা যায়, দেবিদ্বার উপজেলা সদরের প্রবেশ মুখে সাহেববাড়ি থেকে কলেজ রোড পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা খানাখন্দ আর গর্তের কারনে চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী। বাকী ১৪ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশই ভাঙ্গা ও খানাখন্দে ভরা। খালের পাশ দিয়ে সড়কটি
নির্মিত হওয়ার কার?নে কোথাও কোথাও বৃষ্টিতে মাটি সরে গিয়ে সরু হয়ে গেছে। এতে পাশাপাশি দ্ইুটি গাড়ি অতিক্রম করতে খালে পড়ার ঝুকি নিতে হয়। স্থানীয়রা জানান, এ সড়ক দিয়ে দেবিদ্বার থেকে চান্দিনা হয়ে ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ বেশ কিছু এলাকায় দ্রুত যাতায়াত করার সুবিধা থাকায় অফিসগামী ও ব্যাবসায়ীরা এ পথটি ব্যবহার করেন। এতে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট ঘুরে প্রায় ৪০ কিমি. পথ পাড়ি দিতে হয় না। একই সঙ্গে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত সবজি নিমসার বাজার, কুমিল্লা ও ঢাকায় নিয়ে যান। আবার স্কুল- কলেজের হাজারো শিক্ষার্থী প্রতিদিন এ সড়ক দিয়েই যাতায়াত করে থাকে। খোজ নিয়ে জানাযায়, সর্বশেষ ২০০৪ সালে ৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সড়কের সংস্কার কাজ হয়েছিল। এরপর কয়েক দফায় সংস্কারের নামে অর্থ বরাদ্দ হলেও, স্থানীয়দের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতাদের যোগসাজশে একাধিক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান লুটপাট করে সংস্কারের জন্য প্রায় এক কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। তবে দরপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে ২০২২ সালের মার্চে নিউ মার্কেট থেকে বারেরা বটগাছ মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার ১৮ ফুট চওড়া পিচঢালা রাস্তা কেটে সেখানে ১২ ফুট সরু ইটের সলিং বসানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, কুমিল্লার সাবেক এমপি আ.ক.ম বাহারের নামসর্বস্ব একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজ করে। তখন এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে সওজের তৎকালীন উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন সাকিব সরেজমিনে গিয়ে জানান, ছয় মাস পর
নতুন বরাদ্দ দিয়ে সড়কটি আবারও পিচের ঢালাই করা হবে। কিন্তু তিন বছর পার হলেও সেই পিচের ঢালাই আর হয়নি। এদিকে ইটের সলিং উঠে গিয়ে সড়কটি
সম্পূর্ণভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এখন প্রতিদিনই এই সড়কে অটোরিকশা উল্টে দুর্ঘটনায় মানুষ আহত হচ্ছে। ডেলিভারি রোগী নিয়ে চালকরা এ পথে যেতে ভয় পান। সাধারণ যাত্রীদেরও শারীরিকভাবে কষ্ট সহ্য করতে হয়। চান্দিনা রোডের সিএনজি চালক
জসিম উদ্দিন ও আবু মুসা বলেন, স্ট্যান্ড থেকে সাহেববাড়ি পর্যন্ত গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়। তিন বছর
ধরে এই ভোগান্তি সহ্য করছি। ভালো পিচের রাস্তা কেটে কোন কারনে তড়িঘড়ি করে ইটের সলিং দেওয়া হয়েছিল বুঝি না। সড়কটির পাশে সরকারি খাদ্যগুদাম, সার ও বীজের গুদাম, সরকারি বীজ সংরক্ষণ অফিস,
এএসপি (সার্কেল) অফিস, সিএনজি স্ট্যান্ড, তিনটি হাসপাতাল, স্কুল ও মাদরাসাসহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। এছাড়া আন্তজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, অটোরিকশা, সিএনজি ও অন্যান্য যানবাহনের চলাচলের কারণে সড়কটি সব সময় ব্যস্ত থাকে। ফলে দ্রুত সংস্কার না হলে পুরো এলাকায় যোগাযোগ ব্যবন্থা ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ।