ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
পলাশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে প্রতিমা তৈরির ধুম পড়েছে। কারিগরদের দম ফেলার ফুসরৎ নেই। কয়েক দিন বাদেই প্রতিমার গায়ে পড়বে রঙের আঁচড়। তবে গত বছরের চেয়ে কমেছে মণ্ডপের সংখ্যা।
উপজেলার পৌর এলাকার পলাশ বাজারসহ উপজেলা বিভিন্ন মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির শেষ পর্যায়ের কাজ। এসব মণ্ডপের ভিতর এখন শোভা পাচ্ছে প্রতিমার বড় কাঠাম। বাঁশ-কাঠ আর কাঁদা মাটি দিয়ে তৈরি প্রতিমাগুলো দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন সনাতন ধর্মের লোকজন। কয়েক দিনের মধ্যেই প্রতিমাগুলো রঙের আঁচড়ে, পরিচ্ছদ ও অলঙ্কারে সজ্জিত হয়ে অপরূপ হয়ে উঠবে। এদিকে সনাতন ধর্মের লোকজন পুজার নতুন পোষাক কেনায় ব্যস্ত।পলাশ উপজেলায় এবছর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মোট ৪১টি দুর্গাপুজা। গতবারের চেয়ে একটি কম।
জিনারদী, গজারিয়া,ডাংগা, চরসিন্দুর ও ঘোড়াশাল পৌরসভার বিভিন্ন গ্রামের মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বড় প্রতিমার দুর্গা উৎসব হয় রাবান, কুড়াইতলী, বরাবো, বালিয়া, পলাশ বাজার ও ডাঙ্গা মন্দিরে। তবে পূজা মন্ডপ সংখ্যা কমেছে, পাশাপাশি কমছে পূজার উৎসব খরচের বাজেট।
ঘোড়াশালের কুমারবাড়ির প্রতিমাশিল্পী জয় কিশোর পাল বলেন, প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহৃত ছন, খড়, বাঁশ, কাঠ ও মাটিসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম বৃদ্ধির কারণে লাভের মুখ দেখা কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ ক্রেতারা আগের দামেই প্রতিমা তৈরি করে নিতে চাচ্ছেন। তাছাড়া প্রতিমা শিল্পী আরও জানান, গত বছরের তুলনায় এবার দুর্গা প্রতিমার অর্ডারও কম। আমি ৪ সেট প্রতিমা গড়েছি এখনও কোনো নতুন কোন
পূজারী সম্প্রদায়ের দেখা মিলেনি। পলাশ উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অসিত চন্দ্র দাস এবং পলাশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দত্ত বলেন, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর মহাপঞ্চমী দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব শুরু। ২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই উৎসব। ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী পূজা থেকে মন্ডপে মন্ডপে বেজে উঠবে ঢাকঢোল আর কাঁসার শব্দ। আগামী ২ অক্টোবর দশমী পুজা শেষে এবারের দূর্গা পূজার সমাপ্তি ঘটবে।
নওগাঁর পত্নীতলায় আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষে এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পত্নীতলা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় উপজেলার মিলনায়তনে সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আলীমুজ্জামান মিলন।
মানিকগঞ্জ জেলায় চলতি বছর পাচশত তেপ্পান্নটি পূজা মণ্ডপে পুজার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছর পূজা মণ্ডপের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। গতবছর জেলায় ৫১০টি পূজা মণ্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই বছর গত বছরের তুলনায় ৪৩টি বেশী পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দেশে প্রচলিত কয়েকটি পঞ্জিকা পর্যালোচন করে জানা যায়, ২১ সেপ্টেম্ব পৃথিবীতে দেবী দুর্গার আগমন হবে যা মহালয়া নামে পরিচিত, পূজার প্রস্তুতি ও মন্ডপ তৈরি ২৭ সেপ্টেম্বর যাকে মহা পঞ্চমী বলে, একই ভাবে ২৮ সেপ্টেম্বর হবে মহা ষষ্ঠী ও মন্ডপ ভিত্তিক পূজা হবে ২৯ সেপ্টেম্বর ও মহা সপ্তমী হবে, ৩০ সেপ্টেম্বর এবং মহা অষ্টমী অর্থাৎ কুমারী পূজা, পহেলা অক্টোবর পূজা-হোম,আয়ুধ পূজা ইত্যাদি পালন করা হবে যাকে মহা নবমী বলা হয় এবং ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা।
জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পূজামন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি মণ্ডপে-মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে । মাটি শুকানোর পর প্রতিমার অঙ্গে দেয়া হবে বিভিন্ন রঙের আঁচড়। রঙ শুকানোর পরই প্রতিমার অঙে শোভা পাবে বাহারি রঙের দামি পোশাক ও নানান ধরনের অলংকার। বিভিন্ন অলংকারে সজ্জিত প্রতিমাগুলো যেন জীবন্ত হয়ে উঠবে সনাতনীদের চোখে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অণির্বান কুমার পাল বলেছেন, এই বছর মানিকগঞ্জে ৫শ ৫৩টি মন্দিরে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে মানিকগঞ্জ সদরে ৮৬টি, মানিকগঞ্জ পৌরসভায় ৩১টি, সাটুরিয়ায় ৭৯টি, সিংগাইর উপজেলায় ৬৩টি, সিংগাইর পৌরসভায় ১৪টি, হরিরামপুরে ৬৫টি, ঘিওরে ৮২টি, দৌলতপুরে ৪৬টি এবং শিবালয়ে ৮৭ মন্দিরে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পলাশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে প্রতিমা তৈরির ধুম পড়েছে। কারিগরদের দম ফেলার ফুসরৎ নেই। কয়েক দিন বাদেই প্রতিমার গায়ে পড়বে রঙের আঁচড়। তবে গত বছরের চেয়ে কমেছে মণ্ডপের সংখ্যা।
উপজেলার পৌর এলাকার পলাশ বাজারসহ উপজেলা বিভিন্ন মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির শেষ পর্যায়ের কাজ। এসব মণ্ডপের ভিতর এখন শোভা পাচ্ছে প্রতিমার বড় কাঠাম। বাঁশ-কাঠ আর কাঁদা মাটি দিয়ে তৈরি প্রতিমাগুলো দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন সনাতন ধর্মের লোকজন। কয়েক দিনের মধ্যেই প্রতিমাগুলো রঙের আঁচড়ে, পরিচ্ছদ ও অলঙ্কারে সজ্জিত হয়ে অপরূপ হয়ে উঠবে। এদিকে সনাতন ধর্মের লোকজন পুজার নতুন পোষাক কেনায় ব্যস্ত।পলাশ উপজেলায় এবছর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মোট ৪১টি দুর্গাপুজা। গতবারের চেয়ে একটি কম।
জিনারদী, গজারিয়া,ডাংগা, চরসিন্দুর ও ঘোড়াশাল পৌরসভার বিভিন্ন গ্রামের মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বড় প্রতিমার দুর্গা উৎসব হয় রাবান, কুড়াইতলী, বরাবো, বালিয়া, পলাশ বাজার ও ডাঙ্গা মন্দিরে। তবে পূজা মন্ডপ সংখ্যা কমেছে, পাশাপাশি কমছে পূজার উৎসব খরচের বাজেট।
ঘোড়াশালের কুমারবাড়ির প্রতিমাশিল্পী জয় কিশোর পাল বলেন, প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহৃত ছন, খড়, বাঁশ, কাঠ ও মাটিসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম বৃদ্ধির কারণে লাভের মুখ দেখা কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ ক্রেতারা আগের দামেই প্রতিমা তৈরি করে নিতে চাচ্ছেন। তাছাড়া প্রতিমা শিল্পী আরও জানান, গত বছরের তুলনায় এবার দুর্গা প্রতিমার অর্ডারও কম। আমি ৪ সেট প্রতিমা গড়েছি এখনও কোনো নতুন কোন
পূজারী সম্প্রদায়ের দেখা মিলেনি। পলাশ উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অসিত চন্দ্র দাস এবং পলাশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দত্ত বলেন, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর মহাপঞ্চমী দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব শুরু। ২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই উৎসব। ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী পূজা থেকে মন্ডপে মন্ডপে বেজে উঠবে ঢাকঢোল আর কাঁসার শব্দ। আগামী ২ অক্টোবর দশমী পুজা শেষে এবারের দূর্গা পূজার সমাপ্তি ঘটবে।
নওগাঁর পত্নীতলায় আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষে এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পত্নীতলা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় উপজেলার মিলনায়তনে সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আলীমুজ্জামান মিলন।
মানিকগঞ্জ জেলায় চলতি বছর পাচশত তেপ্পান্নটি পূজা মণ্ডপে পুজার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছর পূজা মণ্ডপের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। গতবছর জেলায় ৫১০টি পূজা মণ্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই বছর গত বছরের তুলনায় ৪৩টি বেশী পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দেশে প্রচলিত কয়েকটি পঞ্জিকা পর্যালোচন করে জানা যায়, ২১ সেপ্টেম্ব পৃথিবীতে দেবী দুর্গার আগমন হবে যা মহালয়া নামে পরিচিত, পূজার প্রস্তুতি ও মন্ডপ তৈরি ২৭ সেপ্টেম্বর যাকে মহা পঞ্চমী বলে, একই ভাবে ২৮ সেপ্টেম্বর হবে মহা ষষ্ঠী ও মন্ডপ ভিত্তিক পূজা হবে ২৯ সেপ্টেম্বর ও মহা সপ্তমী হবে, ৩০ সেপ্টেম্বর এবং মহা অষ্টমী অর্থাৎ কুমারী পূজা, পহেলা অক্টোবর পূজা-হোম,আয়ুধ পূজা ইত্যাদি পালন করা হবে যাকে মহা নবমী বলা হয় এবং ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা।
জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পূজামন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি মণ্ডপে-মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে । মাটি শুকানোর পর প্রতিমার অঙ্গে দেয়া হবে বিভিন্ন রঙের আঁচড়। রঙ শুকানোর পরই প্রতিমার অঙে শোভা পাবে বাহারি রঙের দামি পোশাক ও নানান ধরনের অলংকার। বিভিন্ন অলংকারে সজ্জিত প্রতিমাগুলো যেন জীবন্ত হয়ে উঠবে সনাতনীদের চোখে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অণির্বান কুমার পাল বলেছেন, এই বছর মানিকগঞ্জে ৫শ ৫৩টি মন্দিরে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে মানিকগঞ্জ সদরে ৮৬টি, মানিকগঞ্জ পৌরসভায় ৩১টি, সাটুরিয়ায় ৭৯টি, সিংগাইর উপজেলায় ৬৩টি, সিংগাইর পৌরসভায় ১৪টি, হরিরামপুরে ৬৫টি, ঘিওরে ৮২টি, দৌলতপুরে ৪৬টি এবং শিবালয়ে ৮৭ মন্দিরে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।