ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা ভূমি অফিসের খতিয়ান বহির সূচিপত্র জালিয়াতি করে জমি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। জালিয়াতির ঘটনা প্রমাণিত হওয়ার পরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এতে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, বিচারহীনতার সুযোগে চক্রটি এখন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং বিরোধীয় ভূমিটি গ্রাস করতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, কুলুবাড়ি মৌজার ৪৬৬ ও ৪৭০ দাগের (বর্তমানে ১০২০) ৯০ শতক জমির মধ্যে ৪৮ শতক জমি ফারুক আহমেদ খোকনসহ ৩ জনের কাছে বিক্রি করেন মোবারক আলী সরকারের বড় মেয়ে মিসেস সেজেদা খানম। একই সাথে, ৪৬৭ ও ৪৭০ দাগের (বর্তমানে ১০২০) বাকি ৪২ শতক ভূমি মোবারক আলী সরকারের স্ত্রী মনজুমা খানমের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। যার খতিয়ান নম্বর ৪৪৪, ডিপি ৩৪৭।
অভিযোগ উঠেছে, ৪৮ শতক জমি বাদদিয়ে বর্তমানে ৪২ শতক জমির ওপর কুনজর দেয় ফারুক আহমেদ খোকন গংরা। তারা ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে উপজেলা ভূমি অফিসের মাধ্যমে বি-এস খতিয়ান বহির সূচিপত্র পরিবর্তন করে। জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ৪২ শতক জমির ৪৪৪ নম্বর খতিয়ানের (ডিপি ৩৪৭) ৪৬৬ ও ৪৭০ দাগ পরিবর্তন করে ৪৬৭ ও ৪৭০ দাগে ৪৫৬/২০২২-২০২৩ নম্বর জমা খারিজ করে নেয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে মোবারক আলী সরকারের মেয়ে পাপিয়া সরকার ভুয়া মাঠপর্চা সৃজন করে ৪৫৬/২০২২-২০২৩ জমা খারিজ বাতিলের জন্য উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউএলএও, কানুনগো এবং সার্ভেয়ারকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে জমা খারিজটি ভুয়া মাঠপর্চার ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়।
এ নিয়ে একাধিক শুনানি শেষে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট সাকিব হাসান খান গত ২৪ জুলাই ৯৫ নং কুলুবাড়ি মৌজার দাগসূচিতে বি-এস ৫০১ নম্বর খতিয়ানের ১০২০ হাল দাগের বিপরীতে সাবেক ৪৬৬ ও ৪৭০ বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সাথে কাগজপত্র জালিয়াতি করে নেওয়া ৪৫৬/২০২২-২০২৩ নম্বর জমা খারিজটি বাতিল করেন। এ সময় অভিযুক্ত ফারুক আহমেদ খোকন তার জালিয়াতির দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে মুচলেকাও দেন।
প্রশাসনিক তদন্তে জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ার পরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বর্তমানে ওই চক্রটি জাল মাঠপর্চা ব্যবহার করে করা ৪৫৬/২০২২-২০২৩ জমা খারিজ বহাল রাখার জন্য কুমিল্লার আদালতে মামলা করে প্রতিপক্ষকে হয়রানি করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিরোধীয় ভূমিটি গ্রাস করতে চক্রটি নানাভাবে ফন্দি-ফিকির চালাচ্ছে।
প্রশাসনিক তদন্তে জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ার পরও কেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফারুক আহমেদ খোকনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মুরাদনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাসান খান বলেন, কাগজপত্র জালিয়াতির ঘটনা প্রমাণিত হওয়ার পর দায় শিকার করে ফারুক আহমেদ খোকন মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছে। বিশেষ বিবেচনায় তাকে মাপ করা হয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা ভূমি অফিসের খতিয়ান বহির সূচিপত্র জালিয়াতি করে জমি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। জালিয়াতির ঘটনা প্রমাণিত হওয়ার পরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এতে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, বিচারহীনতার সুযোগে চক্রটি এখন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং বিরোধীয় ভূমিটি গ্রাস করতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, কুলুবাড়ি মৌজার ৪৬৬ ও ৪৭০ দাগের (বর্তমানে ১০২০) ৯০ শতক জমির মধ্যে ৪৮ শতক জমি ফারুক আহমেদ খোকনসহ ৩ জনের কাছে বিক্রি করেন মোবারক আলী সরকারের বড় মেয়ে মিসেস সেজেদা খানম। একই সাথে, ৪৬৭ ও ৪৭০ দাগের (বর্তমানে ১০২০) বাকি ৪২ শতক ভূমি মোবারক আলী সরকারের স্ত্রী মনজুমা খানমের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। যার খতিয়ান নম্বর ৪৪৪, ডিপি ৩৪৭।
অভিযোগ উঠেছে, ৪৮ শতক জমি বাদদিয়ে বর্তমানে ৪২ শতক জমির ওপর কুনজর দেয় ফারুক আহমেদ খোকন গংরা। তারা ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে উপজেলা ভূমি অফিসের মাধ্যমে বি-এস খতিয়ান বহির সূচিপত্র পরিবর্তন করে। জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ৪২ শতক জমির ৪৪৪ নম্বর খতিয়ানের (ডিপি ৩৪৭) ৪৬৬ ও ৪৭০ দাগ পরিবর্তন করে ৪৬৭ ও ৪৭০ দাগে ৪৫৬/২০২২-২০২৩ নম্বর জমা খারিজ করে নেয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে মোবারক আলী সরকারের মেয়ে পাপিয়া সরকার ভুয়া মাঠপর্চা সৃজন করে ৪৫৬/২০২২-২০২৩ জমা খারিজ বাতিলের জন্য উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউএলএও, কানুনগো এবং সার্ভেয়ারকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে জমা খারিজটি ভুয়া মাঠপর্চার ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়।
এ নিয়ে একাধিক শুনানি শেষে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট সাকিব হাসান খান গত ২৪ জুলাই ৯৫ নং কুলুবাড়ি মৌজার দাগসূচিতে বি-এস ৫০১ নম্বর খতিয়ানের ১০২০ হাল দাগের বিপরীতে সাবেক ৪৬৬ ও ৪৭০ বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সাথে কাগজপত্র জালিয়াতি করে নেওয়া ৪৫৬/২০২২-২০২৩ নম্বর জমা খারিজটি বাতিল করেন। এ সময় অভিযুক্ত ফারুক আহমেদ খোকন তার জালিয়াতির দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে মুচলেকাও দেন।
প্রশাসনিক তদন্তে জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ার পরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বর্তমানে ওই চক্রটি জাল মাঠপর্চা ব্যবহার করে করা ৪৫৬/২০২২-২০২৩ জমা খারিজ বহাল রাখার জন্য কুমিল্লার আদালতে মামলা করে প্রতিপক্ষকে হয়রানি করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিরোধীয় ভূমিটি গ্রাস করতে চক্রটি নানাভাবে ফন্দি-ফিকির চালাচ্ছে।
প্রশাসনিক তদন্তে জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ার পরও কেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফারুক আহমেদ খোকনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মুরাদনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাসান খান বলেন, কাগজপত্র জালিয়াতির ঘটনা প্রমাণিত হওয়ার পর দায় শিকার করে ফারুক আহমেদ খোকন মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছে। বিশেষ বিবেচনায় তাকে মাপ করা হয়েছে।