ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সারাদেশে পূজার ১০ দিন আগে থেকে নিরাপত্তা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। মন্দিরে ও স্থায়ী-অস্থায়ী মণ্ডপে সরকারি খরচে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং গত বছরের মতো সেনাবাহিনীর টহলের দাবি জানিয়েছে তারা।
শুক্রবার,(১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘আসন্ন দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব দাবির কথা জানায় হিন্দু মহাজোট।
জাতীয় হিন্দু মহাজোট আয়োজিত এ গোলটেবিলে মূল বক্তব্য পড়েন- সংগঠনের নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে। তিনি বলেন, ‘দেশে ধারাবাহিকভাবে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে। নিজ দেশে ভয় ও উৎকণ্ঠা নিয়ে থাকতে হচ্ছে। বিভিন্ন জেলায় মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের খবর এসেছে।’
কথিত ধর্ম অবমাননার গুজব ছড়িয়ে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়েছে বলে জানায় হিন্দু মহাজোট। হিন্দুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ও হিন্দুবিদ্বেষী মনোভাব আগের চেয়ে বেড়েছে বলে মন্তব্য করে তারা।
হিন্দু মহাজোট বলেছে, দুর্গাপূজা ও নির্বাচন নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের অভিজ্ঞতা ভালো না। আসন্ন পূজা ও নির্বাচন সামনে রেখে হিন্দু সম্প্রদায় সাম্প্রদায়িক শক্তির লক্ষ্যে পরিণত হতে পারে। এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার এবার দুর্গাপূজার ছুটি দুই দিন করেছে। তবে হিন্দু মহাজোট ৩ দিন ছুটির দাবি জানিয়েছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আসলাম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে যে কোনো ধর্মীয় উৎসব সবাই মিলে উদ্?যাপন করে। কোনো ধর্মই অন্যের ক্ষতি করতে শেখায় না। ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে শুধু প্রশাসন দিয়ে হবে না। সমাজের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, রামুর ঘটনা থেকে কোনো ঘটনারই বিচার এ দেশে হয়নি। ফেইসবুকে লেখার মিথ্যা অপবাদ দিয়েও জেলে বন্দী করা হয়। পরোক্ষভাবে দেশে এখন সাম্প্রদায়িকতা মাথাচাড়া দিচ্ছে। কিন্তু সরকার সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছে না। রাজবাড়ির ঘটনার পর সর্বশেষ কুমিল্লায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে মাজার ভাঙার ঘটনা কীভাবে ঘটলো। সরকার কাউকেই নিরাপত্তা দিতে পারছে না। নিজ দেশে মব নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে বিদেশে গিয়ে মবের শিকার হতে হবে।
হামলা অগ্নিসংযোগ চিরাচরিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ পূজা উদ্?যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর বলেন, এ দেশে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করা হয়। সরকার এতগুলো সংস্কার কমিশন করল কিন্তু কোথায় তাদের ডাকেনি, কথা শোনেনি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব প্রীতম দাস বলেন, এ দেশে দুর্গাপূজা আসছে তা বোঝা যায়, দুটো দিক থেকে। এক. মূর্তি ভাঙার খবরের মাধ্যমে এবং দুই. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তদের উদ্ভট কথা শুনে।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি প্রভাস চন্দ্র রায় বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত না করায় এসব থামছে না।
নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দের সঞ্চালনায় গোলটেবিলে আরও বক্তব্য দেন- হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার দেবনাথ ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি সন্তোষ দাশগুপ্ত।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সারাদেশে পূজার ১০ দিন আগে থেকে নিরাপত্তা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। মন্দিরে ও স্থায়ী-অস্থায়ী মণ্ডপে সরকারি খরচে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং গত বছরের মতো সেনাবাহিনীর টহলের দাবি জানিয়েছে তারা।
শুক্রবার,(১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘আসন্ন দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব দাবির কথা জানায় হিন্দু মহাজোট।
জাতীয় হিন্দু মহাজোট আয়োজিত এ গোলটেবিলে মূল বক্তব্য পড়েন- সংগঠনের নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে। তিনি বলেন, ‘দেশে ধারাবাহিকভাবে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে। নিজ দেশে ভয় ও উৎকণ্ঠা নিয়ে থাকতে হচ্ছে। বিভিন্ন জেলায় মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের খবর এসেছে।’
কথিত ধর্ম অবমাননার গুজব ছড়িয়ে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়েছে বলে জানায় হিন্দু মহাজোট। হিন্দুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ও হিন্দুবিদ্বেষী মনোভাব আগের চেয়ে বেড়েছে বলে মন্তব্য করে তারা।
হিন্দু মহাজোট বলেছে, দুর্গাপূজা ও নির্বাচন নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের অভিজ্ঞতা ভালো না। আসন্ন পূজা ও নির্বাচন সামনে রেখে হিন্দু সম্প্রদায় সাম্প্রদায়িক শক্তির লক্ষ্যে পরিণত হতে পারে। এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার এবার দুর্গাপূজার ছুটি দুই দিন করেছে। তবে হিন্দু মহাজোট ৩ দিন ছুটির দাবি জানিয়েছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আসলাম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে যে কোনো ধর্মীয় উৎসব সবাই মিলে উদ্?যাপন করে। কোনো ধর্মই অন্যের ক্ষতি করতে শেখায় না। ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে শুধু প্রশাসন দিয়ে হবে না। সমাজের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, রামুর ঘটনা থেকে কোনো ঘটনারই বিচার এ দেশে হয়নি। ফেইসবুকে লেখার মিথ্যা অপবাদ দিয়েও জেলে বন্দী করা হয়। পরোক্ষভাবে দেশে এখন সাম্প্রদায়িকতা মাথাচাড়া দিচ্ছে। কিন্তু সরকার সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছে না। রাজবাড়ির ঘটনার পর সর্বশেষ কুমিল্লায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে মাজার ভাঙার ঘটনা কীভাবে ঘটলো। সরকার কাউকেই নিরাপত্তা দিতে পারছে না। নিজ দেশে মব নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে বিদেশে গিয়ে মবের শিকার হতে হবে।
হামলা অগ্নিসংযোগ চিরাচরিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ পূজা উদ্?যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর বলেন, এ দেশে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করা হয়। সরকার এতগুলো সংস্কার কমিশন করল কিন্তু কোথায় তাদের ডাকেনি, কথা শোনেনি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব প্রীতম দাস বলেন, এ দেশে দুর্গাপূজা আসছে তা বোঝা যায়, দুটো দিক থেকে। এক. মূর্তি ভাঙার খবরের মাধ্যমে এবং দুই. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তদের উদ্ভট কথা শুনে।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি প্রভাস চন্দ্র রায় বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত না করায় এসব থামছে না।
নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দের সঞ্চালনায় গোলটেবিলে আরও বক্তব্য দেন- হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার দেবনাথ ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি সন্তোষ দাশগুপ্ত।