দুই দিন পর শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। মহারশি ও সোমেশ্বরী নদী এখন শান্ত রয়েছে। তবে লোকালয় থেকে পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ পাচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র।
উজানের পানি নেমে গেলেও নিম্নাঞ্চলের অনেক স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। নদীর বাঁধ ভেঙে ১১টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে এবং ২৯৫ হেক্টর জমির রোপা আমন পানিতে তলিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন।
প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢলের পানিতে এক শিশু ও এক কিশোর নিখোঁজ হন। পরে মহারশি নদী ও চেল্লাখালী নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন—ঝিনাইগাতীর তামাগাঁও এলাকার ঝালমুড়ি বিক্রেতা আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে ইসমাইল হোসেন (১৭) এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার বুরুঙ্গা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে ও বুরুঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী হুমায়ুন কবির (১০)।
শুক্রবার বিকালে ইসমাইলের বাড়িতে গিয়ে তার কবর জিয়ারত ও শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দেন ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল। এ সময় উপজেলা পরিষদের ত্রাণ তহবিল থেকে তিনি ইসমাইলের বাবা আব্দুল্লাহর হাতে ২৫ হাজার টাকা তুলে দেন।
কৃষি ক্ষয়ক্ষতি
শনিবার দুপুরে শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সাখাওয়াত হোসেন জানান, মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে ২৯৫ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান আংশিক এবং ১৮০ হেক্টর জমির সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একইসঙ্গে পাঁচ হেক্টর জমির সবজি আংশিক এবং চার হেক্টর জমির সবজি সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে।
তবে দুই দিন কোনো বৃষ্টি না হওয়ায় পানিতে তলিয়ে থাকা জমি জেগে উঠতে শুরু করেছে। পলি জমে যেসব কৃষকের রোপা আমন ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের প্রণোদনার আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।
বাঁধ ভাঙন ও প্রশাসনের পদক্ষেপ
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখিনুজ্জামান জানান, পাহাড়ি ঢলে মহারশি নদীর পাঁচটি স্থানে প্রায় ১২০ মিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। গৃহহীন ১১টি পরিবারকে ঢেউটিনসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে বিএনপি নেতা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ঝিনাইগাতীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেল।
শুক্রবার দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উপজেলার দিঘীরপাড়, আহমদনগর, খৈলকুড়া, রামেরকুড়া ও ডাকাবর এলাকায় অর্ধশতাধিক পরিবারকে তিন হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেন তিনি।
রুবেল বলেন, “তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা সাধ্য মতো ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহযোগিতা করছি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।”
তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ও বাঁধ সংস্কারে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মো. শাহজাহান আকন্দ, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আব্দুল মান্নান, মো. লুৎফর রহমান ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুম বিল্ল্যাহসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দুই দিন পর শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। মহারশি ও সোমেশ্বরী নদী এখন শান্ত রয়েছে। তবে লোকালয় থেকে পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ পাচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র।
উজানের পানি নেমে গেলেও নিম্নাঞ্চলের অনেক স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। নদীর বাঁধ ভেঙে ১১টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে এবং ২৯৫ হেক্টর জমির রোপা আমন পানিতে তলিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন।
প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢলের পানিতে এক শিশু ও এক কিশোর নিখোঁজ হন। পরে মহারশি নদী ও চেল্লাখালী নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন—ঝিনাইগাতীর তামাগাঁও এলাকার ঝালমুড়ি বিক্রেতা আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে ইসমাইল হোসেন (১৭) এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার বুরুঙ্গা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে ও বুরুঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী হুমায়ুন কবির (১০)।
শুক্রবার বিকালে ইসমাইলের বাড়িতে গিয়ে তার কবর জিয়ারত ও শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দেন ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল। এ সময় উপজেলা পরিষদের ত্রাণ তহবিল থেকে তিনি ইসমাইলের বাবা আব্দুল্লাহর হাতে ২৫ হাজার টাকা তুলে দেন।
কৃষি ক্ষয়ক্ষতি
শনিবার দুপুরে শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সাখাওয়াত হোসেন জানান, মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে ২৯৫ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান আংশিক এবং ১৮০ হেক্টর জমির সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একইসঙ্গে পাঁচ হেক্টর জমির সবজি আংশিক এবং চার হেক্টর জমির সবজি সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে।
তবে দুই দিন কোনো বৃষ্টি না হওয়ায় পানিতে তলিয়ে থাকা জমি জেগে উঠতে শুরু করেছে। পলি জমে যেসব কৃষকের রোপা আমন ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের প্রণোদনার আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।
বাঁধ ভাঙন ও প্রশাসনের পদক্ষেপ
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখিনুজ্জামান জানান, পাহাড়ি ঢলে মহারশি নদীর পাঁচটি স্থানে প্রায় ১২০ মিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। গৃহহীন ১১টি পরিবারকে ঢেউটিনসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে বিএনপি নেতা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ঝিনাইগাতীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেল।
শুক্রবার দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উপজেলার দিঘীরপাড়, আহমদনগর, খৈলকুড়া, রামেরকুড়া ও ডাকাবর এলাকায় অর্ধশতাধিক পরিবারকে তিন হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেন তিনি।
রুবেল বলেন, “তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা সাধ্য মতো ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহযোগিতা করছি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।”
তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ও বাঁধ সংস্কারে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মো. শাহজাহান আকন্দ, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আব্দুল মান্নান, মো. লুৎফর রহমান ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুম বিল্ল্যাহসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।