alt

মীরসরাইয়ে আমনের ডগায় দুলছে কৃষকের নবান্নের স্বপ্ন

প্রতিনিধি, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) : শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মীরসরাই উপজেলার বিস্তীর্ণ গ্রামীণ জনপদের ফসলের মাঠে দু’সপ্তাহ আগেই আমন রোপন শেষ। কৃষকরা এখন পরিচর্যা করছে আমনের গোছা। আশপাশে আগাছা ভর না করা পানি ও সার সঠিক পর্যায়ে দিয়ে পরিচর্যা এবং একটু-আধটু দেখভাল নিয়েই সময় পার করছেন। পাশাপাশি তেপান্তর জুড়ে শরতের এই শেষদিকে হালকা মিষ্টি হাওয়ায় হেমন্তের আগমনী বার্তায় দুলছে যেন কৃষকের নবান্নের স্বপ্ন।

জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় প্রায় ১২ হাজার কৃষক আমন চাষ করছেন। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকবে এবং প্রত্যাশিত ভালো ফলনের আশা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলাজুড়ে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ৮৫০ হেক্টর। এবার আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৫ হাজার ২৮০ মেট্রিক টন। সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে উপজেলার ইছাখালী, করেরহাট, দুর্গাপুর ও মিঠানালা ইউনিয়নে। করেরহাট ইউনিয়নের কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন,‘এবার ৪ একর জমিতে আমন চাষ করেছি। এতে প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছি।’ কৃষক আবুল হোসেন বলেন, ‘এবার ৩ একর জমিতে আমন চারা লাগানো হয়েছে। লাগানো গাছের অবস্থা ভালো দেখা যাচ্ছে। আশা করছি, ভালো ফলন হবে। তবে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ হয়ে যায়।’ কৃষক ফজলে রাব্বি বলেন, ‘এবার শুরু থেকে বৃষ্টি হয়েছে। সময়মতো চারা লাগানো সম্ভব হয়েছে। প্রায় ২ একর জমিতে আমন চাষ করবো। প্রায় রোপা লাগানো শেষ, আরও সামান্য বাকি আছে। দু’একদিনের মধ্যে তা সম্পন্ন হয়ে যাবে।’ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৯ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে ১১ হাজার ২৯০ হেক্টর জমিতে চাষ শেষ হয়েছে। আশা করছি, অবশিষ্ট জমিতে ১ সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে শেষ হবে। কিছু জমিতে আউশ ধান কাটার পর রোপা আমন লাগানো হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা কাটাতে আমন উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনেক চাষিকে বিনামূল্যে বীজ, রাসায়নিক সার ও আগাছা দমন সহায়তা দেয়া হয়েছে। আবহাওয়া ঠিক থাকলে ভালো ফলনের আশা করা যাচ্ছে।’

ছবি

খুলনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

ছবি

শরণখোলায় সুন্দরবনের কচিখালিতে পর্যটকের মৃত্যু

ছবি

আওয়ামী লীগের মিছিল: ‘অভিযানে না গিয়ে থানায়’, ৩ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

ছবি

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এসেছে মৃত ডলফিন

ছবি

সিলেটের তিন বৃহৎ প্রকল্পে স্থবিরতা

ছবি

দুর্গাপূজায় ২৯টি জেলা ঝুঁকিপূর্ণ

ছবি

সিলেটে উরাং সম্প্রদায়ের জন্য এক টাকার পূজোর বাজার

ছবি

বাংলাদেশসহ ৯ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আমিরাতের

ছবি

মহাসড়কের পাশে পরিস্কারের পর দুসপ্তাহেই আবার ময়লার স্তূপ

ছবি

পলাশে পঙ্গু যুবককে মালামালসহ দোকান করে দিল ‘আমরা দুর্বার’ সংগঠন

ছবি

কাশফুলের শুভ্রতা উপভোগে যমুনার পারে প্রকৃতি প্রেমীরা

ছবি

বেনাপোলের বড়আঁচড়ার মাঠপাড়ার একমাত্র রাস্তাটির বেহাল দশা

ছবি

জালে আটকে গেল ৮ ফুট লম্বা আজগর

ছবি

দ্বিতীয় তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ভাঙন পরিদর্শনে এলজিইডির টিম

ছবি

আলুর চিপসের ফেরিওয়ালা আব্দুল মান্নানের জীবন জীবিকার গল্প

ছবি

অযত্ন অবহেলায় ঐতিহ্য হারাচ্ছে মীর্জানগর প্রাচীন হাম্মামখানার

ছবি

কোম্পানীগঞ্জে বালু-পাথর লুটপাট রোধে নৌকা চলাচলের নতুন নির্দেশনা জারি, দুইজনকে কারাদণ্ড

ছবি

বিরামপুরে মাদ্রাসা চলাকালে প্রভাষক দম্পতির হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত

ছবি

আদমদীঘিতে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ১২০ বস্তা চাল জব্দ, গুদাম সিলগালা

ছবি

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ মহড়া শেষ

ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ

ছবি

দ্বিতীয়বার উদ্বোধন করা হলো মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের নবনির্মিত ভবন

ছবি

বিয়ের দাওয়াতে যেতে নিষেধ করায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা

ছবি

ভাঙ্গায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুই চেয়ারম্যানসহ ২১ জনের নামে মামলা

ছবি

প্রতিমা শিল্পীর তুলির আঁচড়ে সাজছে দেবী দুর্গা

ছবি

খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনী ও ইউপিডিএফের গোলাগুলির ঘটনা

ছবি

আমরা আশাবাদী একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবো: বদিউল আলম মজুমদার

ছবি

ভৈরবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

ছবি

মহেশপুরের প্রথম চাষ হচ্ছে বিদেশি ফল প্যাশন

ছবি

ডুমুরিয়ায় চুন কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়ায় জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে

ছবি

ডিমলায় প্রশাসনকে ম্যানেজ চলছে বালু উত্তোলন

ছবি

স্কুলযাত্রায় শিক্ষার্থীদের ভরসা মাঝিবিহীন ডিঙি নৌকা

ছবি

চকরিয়ায় ধাওয়া খেয়ে নিখোঁজের ৩২ ঘণ্টা পর খাল থেকে যুবকের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

ছবি

দেশব্যাপী অভিযান: ১৮৪৯ জন গ্রেপ্তার

ছবি

শেরপুরে বন্যার পরিস্থিতির উন্নতি, ক্ষতির চিত্র ভেসে উঠছে

ছবি

প্রাথমিকে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে ওলামাদের বিক্ষোভ

tab

মীরসরাইয়ে আমনের ডগায় দুলছে কৃষকের নবান্নের স্বপ্ন

প্রতিনিধি, মীরসরাই (চট্টগ্রাম)

শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মীরসরাই উপজেলার বিস্তীর্ণ গ্রামীণ জনপদের ফসলের মাঠে দু’সপ্তাহ আগেই আমন রোপন শেষ। কৃষকরা এখন পরিচর্যা করছে আমনের গোছা। আশপাশে আগাছা ভর না করা পানি ও সার সঠিক পর্যায়ে দিয়ে পরিচর্যা এবং একটু-আধটু দেখভাল নিয়েই সময় পার করছেন। পাশাপাশি তেপান্তর জুড়ে শরতের এই শেষদিকে হালকা মিষ্টি হাওয়ায় হেমন্তের আগমনী বার্তায় দুলছে যেন কৃষকের নবান্নের স্বপ্ন।

জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় প্রায় ১২ হাজার কৃষক আমন চাষ করছেন। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকবে এবং প্রত্যাশিত ভালো ফলনের আশা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলাজুড়ে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ৮৫০ হেক্টর। এবার আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৫ হাজার ২৮০ মেট্রিক টন। সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে উপজেলার ইছাখালী, করেরহাট, দুর্গাপুর ও মিঠানালা ইউনিয়নে। করেরহাট ইউনিয়নের কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন,‘এবার ৪ একর জমিতে আমন চাষ করেছি। এতে প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছি।’ কৃষক আবুল হোসেন বলেন, ‘এবার ৩ একর জমিতে আমন চারা লাগানো হয়েছে। লাগানো গাছের অবস্থা ভালো দেখা যাচ্ছে। আশা করছি, ভালো ফলন হবে। তবে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ হয়ে যায়।’ কৃষক ফজলে রাব্বি বলেন, ‘এবার শুরু থেকে বৃষ্টি হয়েছে। সময়মতো চারা লাগানো সম্ভব হয়েছে। প্রায় ২ একর জমিতে আমন চাষ করবো। প্রায় রোপা লাগানো শেষ, আরও সামান্য বাকি আছে। দু’একদিনের মধ্যে তা সম্পন্ন হয়ে যাবে।’ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৯ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে ১১ হাজার ২৯০ হেক্টর জমিতে চাষ শেষ হয়েছে। আশা করছি, অবশিষ্ট জমিতে ১ সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে শেষ হবে। কিছু জমিতে আউশ ধান কাটার পর রোপা আমন লাগানো হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা কাটাতে আমন উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনেক চাষিকে বিনামূল্যে বীজ, রাসায়নিক সার ও আগাছা দমন সহায়তা দেয়া হয়েছে। আবহাওয়া ঠিক থাকলে ভালো ফলনের আশা করা যাচ্ছে।’

back to top