মীরসরাই উপজেলার বিস্তীর্ণ গ্রামীণ জনপদের ফসলের মাঠে দু’সপ্তাহ আগেই আমন রোপন শেষ। কৃষকরা এখন পরিচর্যা করছে আমনের গোছা। আশপাশে আগাছা ভর না করা পানি ও সার সঠিক পর্যায়ে দিয়ে পরিচর্যা এবং একটু-আধটু দেখভাল নিয়েই সময় পার করছেন। পাশাপাশি তেপান্তর জুড়ে শরতের এই শেষদিকে হালকা মিষ্টি হাওয়ায় হেমন্তের আগমনী বার্তায় দুলছে যেন কৃষকের নবান্নের স্বপ্ন।
জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় প্রায় ১২ হাজার কৃষক আমন চাষ করছেন। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকবে এবং প্রত্যাশিত ভালো ফলনের আশা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলাজুড়ে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ৮৫০ হেক্টর। এবার আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৫ হাজার ২৮০ মেট্রিক টন। সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে উপজেলার ইছাখালী, করেরহাট, দুর্গাপুর ও মিঠানালা ইউনিয়নে। করেরহাট ইউনিয়নের কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন,‘এবার ৪ একর জমিতে আমন চাষ করেছি। এতে প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছি।’ কৃষক আবুল হোসেন বলেন, ‘এবার ৩ একর জমিতে আমন চারা লাগানো হয়েছে। লাগানো গাছের অবস্থা ভালো দেখা যাচ্ছে। আশা করছি, ভালো ফলন হবে। তবে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ হয়ে যায়।’ কৃষক ফজলে রাব্বি বলেন, ‘এবার শুরু থেকে বৃষ্টি হয়েছে। সময়মতো চারা লাগানো সম্ভব হয়েছে। প্রায় ২ একর জমিতে আমন চাষ করবো। প্রায় রোপা লাগানো শেষ, আরও সামান্য বাকি আছে। দু’একদিনের মধ্যে তা সম্পন্ন হয়ে যাবে।’ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৯ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে ১১ হাজার ২৯০ হেক্টর জমিতে চাষ শেষ হয়েছে। আশা করছি, অবশিষ্ট জমিতে ১ সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে শেষ হবে। কিছু জমিতে আউশ ধান কাটার পর রোপা আমন লাগানো হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা কাটাতে আমন উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনেক চাষিকে বিনামূল্যে বীজ, রাসায়নিক সার ও আগাছা দমন সহায়তা দেয়া হয়েছে। আবহাওয়া ঠিক থাকলে ভালো ফলনের আশা করা যাচ্ছে।’
শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মীরসরাই উপজেলার বিস্তীর্ণ গ্রামীণ জনপদের ফসলের মাঠে দু’সপ্তাহ আগেই আমন রোপন শেষ। কৃষকরা এখন পরিচর্যা করছে আমনের গোছা। আশপাশে আগাছা ভর না করা পানি ও সার সঠিক পর্যায়ে দিয়ে পরিচর্যা এবং একটু-আধটু দেখভাল নিয়েই সময় পার করছেন। পাশাপাশি তেপান্তর জুড়ে শরতের এই শেষদিকে হালকা মিষ্টি হাওয়ায় হেমন্তের আগমনী বার্তায় দুলছে যেন কৃষকের নবান্নের স্বপ্ন।
জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় প্রায় ১২ হাজার কৃষক আমন চাষ করছেন। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকবে এবং প্রত্যাশিত ভালো ফলনের আশা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলাজুড়ে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ৮৫০ হেক্টর। এবার আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৫ হাজার ২৮০ মেট্রিক টন। সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে উপজেলার ইছাখালী, করেরহাট, দুর্গাপুর ও মিঠানালা ইউনিয়নে। করেরহাট ইউনিয়নের কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন,‘এবার ৪ একর জমিতে আমন চাষ করেছি। এতে প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছি।’ কৃষক আবুল হোসেন বলেন, ‘এবার ৩ একর জমিতে আমন চারা লাগানো হয়েছে। লাগানো গাছের অবস্থা ভালো দেখা যাচ্ছে। আশা করছি, ভালো ফলন হবে। তবে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ হয়ে যায়।’ কৃষক ফজলে রাব্বি বলেন, ‘এবার শুরু থেকে বৃষ্টি হয়েছে। সময়মতো চারা লাগানো সম্ভব হয়েছে। প্রায় ২ একর জমিতে আমন চাষ করবো। প্রায় রোপা লাগানো শেষ, আরও সামান্য বাকি আছে। দু’একদিনের মধ্যে তা সম্পন্ন হয়ে যাবে।’ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৯ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে ১১ হাজার ২৯০ হেক্টর জমিতে চাষ শেষ হয়েছে। আশা করছি, অবশিষ্ট জমিতে ১ সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে শেষ হবে। কিছু জমিতে আউশ ধান কাটার পর রোপা আমন লাগানো হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা কাটাতে আমন উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনেক চাষিকে বিনামূল্যে বীজ, রাসায়নিক সার ও আগাছা দমন সহায়তা দেয়া হয়েছে। আবহাওয়া ঠিক থাকলে ভালো ফলনের আশা করা যাচ্ছে।’