ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
দিনাজপুরের বিরামপুরে চাঁদপুর ফাজিল (স্নাতক) মাদ্রাসায় ক্লাস চলাকালে শিক্ষক-শিক্ষিকা মিলনায়তনে বাংলা প্রভাষক মোছা. মেফতাহুন নাহার ও তার স্বামী মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান পদার্থবিজ্ঞান প্রভাষক এ এস এম আশরাফুল আলমকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত ও মারধর করেন। এতে উপস্থিত শিক্ষকরা তীব্র ক্ষোভ ও বিব্রতবোধ করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষক আশরাফুল আলম জানান, গত বুধবার দুপুরে আলিম ১ম বর্ষ সমাপনী পরীক্ষার খাতা ও নম্বরপত্র জমা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাংলা প্রভাষক মেফতাহুন নাহারের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং লাঠি ও জুতা হাতে তুলে মারতে উদ্যত হন। পরে তার স্বামী মিজানুর রহমান শিক্ষক মিলনায়তনে ঢুকে এএসএম আশরাফুল আলমকে কিল-ঘুষি ও জুতাঘাত করেন। এসময় বাধা দিতে এগিয়ে আসা জীববিজ্ঞান প্রভাষক জিন্নাত রেহানাকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়।
এ বিষয়ে একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালাম মুঠোফোনে জানান, শিক্ষকদের মধ্যে সংঘর্ষের বিষয়টি মাদ্রাসার সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)কে অবহিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে অভিযুক্ত শিক্ষিকা মেফতাহুন নাহার ও তার স্বামী মিজানুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, ঘটনার পর আমাদেরকেও প্রিন্সিপালের কক্ষ বা সুপারের রুমে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। আমরা নিজেরাও ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি।
এ ঘটনায় বিরামপুরের শিক্ষকমহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, মাদ্রাসা ও বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা শেখানোর জায়গা। অথচ শিক্ষক-শিক্ষিকারাই যদি প্রকাশ্যে মারামারি করেন, তাহলে শৃঙ্খলা রক্ষা হবে কীভাবে?
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দিনাজপুরের বিরামপুরে চাঁদপুর ফাজিল (স্নাতক) মাদ্রাসায় ক্লাস চলাকালে শিক্ষক-শিক্ষিকা মিলনায়তনে বাংলা প্রভাষক মোছা. মেফতাহুন নাহার ও তার স্বামী মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান পদার্থবিজ্ঞান প্রভাষক এ এস এম আশরাফুল আলমকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত ও মারধর করেন। এতে উপস্থিত শিক্ষকরা তীব্র ক্ষোভ ও বিব্রতবোধ করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষক আশরাফুল আলম জানান, গত বুধবার দুপুরে আলিম ১ম বর্ষ সমাপনী পরীক্ষার খাতা ও নম্বরপত্র জমা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাংলা প্রভাষক মেফতাহুন নাহারের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং লাঠি ও জুতা হাতে তুলে মারতে উদ্যত হন। পরে তার স্বামী মিজানুর রহমান শিক্ষক মিলনায়তনে ঢুকে এএসএম আশরাফুল আলমকে কিল-ঘুষি ও জুতাঘাত করেন। এসময় বাধা দিতে এগিয়ে আসা জীববিজ্ঞান প্রভাষক জিন্নাত রেহানাকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়।
এ বিষয়ে একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালাম মুঠোফোনে জানান, শিক্ষকদের মধ্যে সংঘর্ষের বিষয়টি মাদ্রাসার সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)কে অবহিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে অভিযুক্ত শিক্ষিকা মেফতাহুন নাহার ও তার স্বামী মিজানুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, ঘটনার পর আমাদেরকেও প্রিন্সিপালের কক্ষ বা সুপারের রুমে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। আমরা নিজেরাও ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি।
এ ঘটনায় বিরামপুরের শিক্ষকমহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, মাদ্রাসা ও বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা শেখানোর জায়গা। অথচ শিক্ষক-শিক্ষিকারাই যদি প্রকাশ্যে মারামারি করেন, তাহলে শৃঙ্খলা রক্ষা হবে কীভাবে?