বারইয়াহাট পৌরসভায় ২৫ বছরেও গড়ে ওঠেনি ডাম্পিং স্টেশন
বারইয়াহাট পৌরসভায় ২৫ বছরেও গড়ে ওঠেনি ডাম্পিং স্টেশন
পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে নানা দিক থেকে, কিন্তু আমরা কি প্রকৃতপক্ষে এগিয়ে যাচ্ছি? এমন প্রশ্ন এজন্যই আসে যে এখনো মীরসরাইয়ের বানিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র বারইয়াহাট পৌরসভা এলাকায় ময়লা আবর্জনার স্তুপের বসে চা খেতে দেখতে হয় সাধারন মানুষদের। কোন কোন স্থান এতোটাই অসাস্থ্যকর যে সুস্থ মানুষ ও যেন অসুস্থ হবার উপক্রম। সম্প্রতি বারইয়াহাট পৌরসভার ময়লা আবর্জনা নিয়ে সামাজিক যোযোগ মাধ্যমে বেশ সমালোচনা চললে পৌর প্রশাসন সোমাইয়া আক্তার তা অপসারনের উদ্যোগ নিয়ে ও দুসপ্তাহের মধ্যেই সেই পুরোনো চিত্র পরিলক্ষিত। আবার মহাসড়কের পাশেই দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে ময়লার ভাগাড়।
বিশেষ করে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ককে দেশের লাইফলাইন বলা হয়। কিন্তু এই মহাসড়কের পাশের্^ই বারইয়াহাট পৌর এলাকায় মহাসড়কের এখন দুপাশেই কয়েকটি ময়লা ফেলার ভাগাড় যেন। এর পাশ দিয়ে শিক্ষার্থী, রোগী, সুস্থমানুষ, যানবাহন সকলেই চলছে নীরবে সব সহ্য করে। কিছুদিন পর পর লেখালেখি হলে প্রশাসন তৎপরতা দেখায়, একটু পরিস্কার করিয়ে কয়েকদিন পর আবার পূর্বের চিত্রে ফিরে যায় এমনটাই পরিলক্ষিত।
উপজেলার দুটি পৌরসভা মিলেই নেই কোনো ময়লার ডাম্পিং স্টেশন নেই। অথচ সামর্থ স্বল্পতার জন্য কয়েকটি পৌরসভা মিলে ও ডাম্পিং ষ্টেশান করা যেতে পারত। কখনো কখনো মহাসড়কের পাশে^র এই সব ময়লা ধ্বংসে আগুন দেওয়ার ফলে সৃষ্ট ধোঁয়ায় ও দুর্ঘটনা ঘটার অভিযোগ রয়েছে। বারইয়াহাট এলাকার জনৈক দোকানী রফিকুল ইসলাম বলেন অনেক সময় প্রয়োজনীয় কাজে বাজার থেকে থানার দিকে যেতে হয়। কিন্তু মহাসড়কের পাশের্^র ময়লা আবর্জনা ও দুর্গন্ধে সেখান দিয়ে নাক চেপে পার হতে হয়। আবার স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েদের ও দেখি এই ময়লার পাশ দিয়ে নাক চেপে হেটে পারাপার হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০০০ সালের ২৭ এপ্রিল প্রতিষ্ঠা হয় উত্তর চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক এলাকা খ্যাত বারইয়ারহাট পৌরসভা। ২ দশমিক ১২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের প্রথম শ্রেণির বারইয়ারহাট পৌরসভায় মোট জনসংখ্যা ১১ হাজার ৬০২ জন।
পরিবার রয়েছে ২ হাজার ৩৯৯টি। এছাড়া রয়েছে ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ১৫টি ছোটবড় কলকারখানা। ব্যাংক, বীমা, হাসপাতাল, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ পৌরসভাটিতে কোনো ময়লার ডাম্পিং স্টেশন নেই।
এই বিষয়ে বারইয়াহাট পৌরসভার মেয়র ও মীরসরাইয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোমাইয়া আক্তার বলেন সম্প্রতি উক্ত পৌর এলাকায় ময়লা আবর্জনাময় কিছু পরিবেশের অভিযোগ পেয়েই আমরা পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করি। আমার জানা মতে এখন পূর্বের মতো ময়লা আর নেই। তবু ও লোকজন যদি কোন এলাকায় আবারো ময়লা আবর্জনা সৃষ্টি করে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই বিষয়ে তিনি আরো বলেন বারইয়ারহাট ও মীরসরাই পৌরসভার মাঝামাঝি স্থানে একটি ময়লার ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জমি যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলমান। উপযুক্ত জমি পেলে শিগগির ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করা হবে।
বারইয়াহাট পৌরসভায় ২৫ বছরেও গড়ে ওঠেনি ডাম্পিং স্টেশন
বারইয়াহাট পৌরসভায় ২৫ বছরেও গড়ে ওঠেনি ডাম্পিং স্টেশন
শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে নানা দিক থেকে, কিন্তু আমরা কি প্রকৃতপক্ষে এগিয়ে যাচ্ছি? এমন প্রশ্ন এজন্যই আসে যে এখনো মীরসরাইয়ের বানিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র বারইয়াহাট পৌরসভা এলাকায় ময়লা আবর্জনার স্তুপের বসে চা খেতে দেখতে হয় সাধারন মানুষদের। কোন কোন স্থান এতোটাই অসাস্থ্যকর যে সুস্থ মানুষ ও যেন অসুস্থ হবার উপক্রম। সম্প্রতি বারইয়াহাট পৌরসভার ময়লা আবর্জনা নিয়ে সামাজিক যোযোগ মাধ্যমে বেশ সমালোচনা চললে পৌর প্রশাসন সোমাইয়া আক্তার তা অপসারনের উদ্যোগ নিয়ে ও দুসপ্তাহের মধ্যেই সেই পুরোনো চিত্র পরিলক্ষিত। আবার মহাসড়কের পাশেই দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে ময়লার ভাগাড়।
বিশেষ করে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ককে দেশের লাইফলাইন বলা হয়। কিন্তু এই মহাসড়কের পাশের্^ই বারইয়াহাট পৌর এলাকায় মহাসড়কের এখন দুপাশেই কয়েকটি ময়লা ফেলার ভাগাড় যেন। এর পাশ দিয়ে শিক্ষার্থী, রোগী, সুস্থমানুষ, যানবাহন সকলেই চলছে নীরবে সব সহ্য করে। কিছুদিন পর পর লেখালেখি হলে প্রশাসন তৎপরতা দেখায়, একটু পরিস্কার করিয়ে কয়েকদিন পর আবার পূর্বের চিত্রে ফিরে যায় এমনটাই পরিলক্ষিত।
উপজেলার দুটি পৌরসভা মিলেই নেই কোনো ময়লার ডাম্পিং স্টেশন নেই। অথচ সামর্থ স্বল্পতার জন্য কয়েকটি পৌরসভা মিলে ও ডাম্পিং ষ্টেশান করা যেতে পারত। কখনো কখনো মহাসড়কের পাশে^র এই সব ময়লা ধ্বংসে আগুন দেওয়ার ফলে সৃষ্ট ধোঁয়ায় ও দুর্ঘটনা ঘটার অভিযোগ রয়েছে। বারইয়াহাট এলাকার জনৈক দোকানী রফিকুল ইসলাম বলেন অনেক সময় প্রয়োজনীয় কাজে বাজার থেকে থানার দিকে যেতে হয়। কিন্তু মহাসড়কের পাশের্^র ময়লা আবর্জনা ও দুর্গন্ধে সেখান দিয়ে নাক চেপে পার হতে হয়। আবার স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েদের ও দেখি এই ময়লার পাশ দিয়ে নাক চেপে হেটে পারাপার হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০০০ সালের ২৭ এপ্রিল প্রতিষ্ঠা হয় উত্তর চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক এলাকা খ্যাত বারইয়ারহাট পৌরসভা। ২ দশমিক ১২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের প্রথম শ্রেণির বারইয়ারহাট পৌরসভায় মোট জনসংখ্যা ১১ হাজার ৬০২ জন।
পরিবার রয়েছে ২ হাজার ৩৯৯টি। এছাড়া রয়েছে ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ১৫টি ছোটবড় কলকারখানা। ব্যাংক, বীমা, হাসপাতাল, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ পৌরসভাটিতে কোনো ময়লার ডাম্পিং স্টেশন নেই।
এই বিষয়ে বারইয়াহাট পৌরসভার মেয়র ও মীরসরাইয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোমাইয়া আক্তার বলেন সম্প্রতি উক্ত পৌর এলাকায় ময়লা আবর্জনাময় কিছু পরিবেশের অভিযোগ পেয়েই আমরা পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করি। আমার জানা মতে এখন পূর্বের মতো ময়লা আর নেই। তবু ও লোকজন যদি কোন এলাকায় আবারো ময়লা আবর্জনা সৃষ্টি করে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই বিষয়ে তিনি আরো বলেন বারইয়ারহাট ও মীরসরাই পৌরসভার মাঝামাঝি স্থানে একটি ময়লার ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জমি যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলমান। উপযুক্ত জমি পেলে শিগগির ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করা হবে।