alt

দশমিনা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি ফল

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী) : রোববার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির দেশী ফল দিন দিন হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। দেশী ফলের মধ্যে পেয়ারা, লাল পেয়ারা, আম, জাম, কাঁঠাল, শরীফা, আতা, গোলাপজাম, ডেঊয়া, তৈকর, বেতফল, কাউফল, ফলসা, বৈচিফল, গাব, জামফল আজ বিলুপ্তি পথে চলে যাচ্ছে। এক সময়ে উপজেলার গ্রামাঞ্চলে গ্রামীণ ঐতিহ্য ও বাংলার মানুষের কাছে ফলগুলো বেশ পছন্দের ছিল। একই সঙ্গে দেশি ফলগুলো বেশ পরিচিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে বিদেশি বিভিন্ন ধরনের ফলের ভিড়ে ঐতিহ্যবাহী দেশি ফলগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে।

উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে গ্রামাঞ্চলে আশি কিংবা নব্বইয়ের দশকে দেশি ফলের সমাহার ছিল। গাছ ভর্তি দেশি ফল দেখে সকলেই খুশি হতো এবং অতিথি আপ্যায়নে ব্যস্ত হয়ে পড়তো। বিদেশি নানা জাতের ফলের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় দেশি প্রজাতির গাছগুলো অবাধে কেটে ফেলেছে। মানুষের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অল্প সময়ে অধিক ফলনের আশায় হাইব্রিড ফল গাছ রোপন করছে। ফলে বিদেশি ফলের গাছের প্রতি আগ্রহ বাড়ায় কৃষি উদ্যোক্তরা দেশি ফলের গাছ রোপন করছে না।

উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলে এখন আর আগের মত বিভিন্ন প্রজাতির দেশি ফলের গাছ চোখে পড়ছে না। গ্রামীণ রাস্তার দুই পাশে সারি সারি ফলের গাছ এখন আর আগের মতন নেই। আবাদি কিংবা অনাবাদি জমি ও বসতঘরের আশেপাশে ফলের গাছ থাকলেও মানুষ তার নিজের প্রয়োজনে কেটে ফেলেছে। অনেকে গাছ কেটে জ্বালানী হিসাবে বা টাকার জন্য অল্প দামে বিক্রি করে দিয়েছে। ফলে কালক্রমে ধীরে ধীরে দেশি ফলের গাছের সংখ্যা কমে গেছে। বাণিজ্যিকভাবে এখন আর কেউ রোপন করছে না। এই গাছ রাস্তা, বসতঘর, আবাদি কিংবা অনাবাদি জমির আশেপাশে প্রাকৃতিকভাবেই জন্মে থাকে। আশি ও নব্বইয়ের দশকে গ্রামাঞ্চলে সারি সারি নানা প্রজাতির দেশি ফলের গাছ ছিল। গ্রাম বাংলায় এখন দেখা যায় না।

ছবি

খুলনার বাস্তুহারায় উচ্ছেদ ঠেকাতে বাসিন্দাদের বাধা, সংঘর্ষে আহত ৩৫

ছবি

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত পরিবারবর্গের মাঝে বিআরটিএ ট্রাষ্টি বোর্ডের চেক বিতরণ

ছবি

মহালয়া দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের ক্ষণ গণনা শুরু

ছবি

দুইশ’ বছরের ‘নৌকার গ্রাম’ ডহর রামসিদ্ধি

ছবি

সচিবালয়ের কর্মচারীরা ফের আন্দোলনে

ছবি

লৌহজংয়ে গার্লস কলেজে ছাত্রী মাত্র ৬ জন

ছবি

মুশতাক হত্যায় মামলার তদন্তে ধীরগতি, কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি

ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ৯ মাসে নিহত ১১

ছবি

বিরামপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি কার্ডধারী এখনও চাল পাননি

ছবি

সলঙ্গায় কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন

ছবি

শ্রীমঙ্গলে ফুলেল সড়কে প্রকৃতির রঙে পর্যটনের নতুন মাত্রা

ছবি

প্রতিমায় চলছে রঙের আঁচড়, নিরাপত্তা জোরদার

ছবি

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ার ফেরি যাত্রীদের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জুয়াড়ি চক্র

ছবি

দেবহাটায় চিংড়ি চাষে বৈপ্লবিক পরিবর্তন

ছবি

মহেশপুরে রোপা আমনে মাজরা পোকা, দিশেহারা কৃষক

ছবি

লক্ষ্মীপুরে ১৮ বছরেও সচল হয়নি টক্কাপুল স্লুইসগেট

ছবি

শেরপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর নানা অভিযোগ

ছবি

প্লট বরাদ্দের ৩ বছরে উৎপাদনে এক কারখানা

ছবি

বিএনপি নেতাকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ায় ওসি প্রত্যাহার

ছবি

রাশিয়ান নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

কুড়িগ্রামের চাকিরপশার বিলে ফোটা পদ্মফুল টানছে ভ্রমন পিপাসুদের

ছবি

কুমিল্লায় চুরির অভিযোগে যুবককে জার্মান শেফার্ড কুকুর লেলিয়ে নির্যাতন

ছবি

অসময় বেড়ির আইলে তরমুজ চাষে লাভবান ডুমুরিয়ার কৃষক

ছবি

আড়িয়ালখাঁ নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন ও সংস্কার কাজ শুরু

ছবি

সেতু চাই, ভোগান্তি নয়

ছবি

ফিলিপাইনের আখ আবাদে লাভবান কালীগঞ্জের মাসুদ

ছবি

সাতক্ষীরার নওয়াবেকী সড়ক খানাখন্দে ভরা, জনভোগান্তি

ছবি

ঢেঁকি নেই ভিটামিন সমৃদ্ধ ঢেঁকি ছাটা চালও নেই

ছবি

‘শিক্ষাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর জন্য কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার বিকল্প নেই’

ছবি

মাগুরায় মহালয়া পালিত

ছবি

কাশিয়ানীতে বাস চাপায় নিহত ১

ছবি

ভৈরবে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কিশোরের মৃত্যু

ছবি

রাজিবপুরে টিআর-কাবিটা প্রকল্পে হরিলুট

পাবনায় রূপপুর প্রকল্পে কর্মরত রাশিয়ান নাগরিকের লাশ উদ্ধার

ছবি

খুলনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

ছবি

শরণখোলায় সুন্দরবনের কচিখালিতে পর্যটকের মৃত্যু

tab

দশমিনা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি ফল

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)

রোববার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির দেশী ফল দিন দিন হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। দেশী ফলের মধ্যে পেয়ারা, লাল পেয়ারা, আম, জাম, কাঁঠাল, শরীফা, আতা, গোলাপজাম, ডেঊয়া, তৈকর, বেতফল, কাউফল, ফলসা, বৈচিফল, গাব, জামফল আজ বিলুপ্তি পথে চলে যাচ্ছে। এক সময়ে উপজেলার গ্রামাঞ্চলে গ্রামীণ ঐতিহ্য ও বাংলার মানুষের কাছে ফলগুলো বেশ পছন্দের ছিল। একই সঙ্গে দেশি ফলগুলো বেশ পরিচিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে বিদেশি বিভিন্ন ধরনের ফলের ভিড়ে ঐতিহ্যবাহী দেশি ফলগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে।

উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে গ্রামাঞ্চলে আশি কিংবা নব্বইয়ের দশকে দেশি ফলের সমাহার ছিল। গাছ ভর্তি দেশি ফল দেখে সকলেই খুশি হতো এবং অতিথি আপ্যায়নে ব্যস্ত হয়ে পড়তো। বিদেশি নানা জাতের ফলের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় দেশি প্রজাতির গাছগুলো অবাধে কেটে ফেলেছে। মানুষের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অল্প সময়ে অধিক ফলনের আশায় হাইব্রিড ফল গাছ রোপন করছে। ফলে বিদেশি ফলের গাছের প্রতি আগ্রহ বাড়ায় কৃষি উদ্যোক্তরা দেশি ফলের গাছ রোপন করছে না।

উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলে এখন আর আগের মত বিভিন্ন প্রজাতির দেশি ফলের গাছ চোখে পড়ছে না। গ্রামীণ রাস্তার দুই পাশে সারি সারি ফলের গাছ এখন আর আগের মতন নেই। আবাদি কিংবা অনাবাদি জমি ও বসতঘরের আশেপাশে ফলের গাছ থাকলেও মানুষ তার নিজের প্রয়োজনে কেটে ফেলেছে। অনেকে গাছ কেটে জ্বালানী হিসাবে বা টাকার জন্য অল্প দামে বিক্রি করে দিয়েছে। ফলে কালক্রমে ধীরে ধীরে দেশি ফলের গাছের সংখ্যা কমে গেছে। বাণিজ্যিকভাবে এখন আর কেউ রোপন করছে না। এই গাছ রাস্তা, বসতঘর, আবাদি কিংবা অনাবাদি জমির আশেপাশে প্রাকৃতিকভাবেই জন্মে থাকে। আশি ও নব্বইয়ের দশকে গ্রামাঞ্চলে সারি সারি নানা প্রজাতির দেশি ফলের গাছ ছিল। গ্রাম বাংলায় এখন দেখা যায় না।

back to top