শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) : শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়ক এখন যেন এক সচল ছবির রাস্তা -সংবাদ
শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়ক এখন যেন এক সচল ছবির রাস্তার দুই ধারে লাল, গোলাপি ও হলুদ রঙে ঝলমল করে উঠেছে কৃষ্ণচূড়া, জারুল, রাধাচূড়া ও সোনালু ফুলের সারি। পাতার নরম ছেঁড়া, বাতাসে ভাসমান পুখুরির মতো সুবাস আর দূরত্ব থেকে ভেসে আসা হাঁসফাঁসহীন সবুজ চা বাগানের পটভূমি সব মিলিয়ে এখানে দাঁড়ালেই মনে হয় প্রকৃতিই ক্যানভাস নিয়েছে। সাধারণ দর্শক-ভ্রমণকারী থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিয়মিত ছবি-শেয়ারকারীরাও প্রতিদিন এখানে ভিড় করছেন; এক কথায় এটি এক নতুন পর্যটনদর্শন।
প্রায় এক দশক আগে ফিনলে টি কোম্পানির ভাড়াউড়া ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক গোলাম মোহাম্মদ শিবলীর উদ্যোগে সড়কের দুপাশে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলগাছ রোপণ করা হয়। সেই ছোট্ট উদ্যোগটি সময়ের সাথে সঙ্গে বড় আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। একেকটি গাছ ধীরে ধীরে বাড়েছে, ফুলে ভরে উঠেছে—এখনকার এই রঙিন সজ্জা অনেকেরই চোখে মনে করছে যেন শ্রীমঙ্গল এক অন্য রূপ পেয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে এসে এখানে ঘুরে দেখা পর্যটক বিউটি আক্তার বলেন, “এই রাস্তার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছি। অনেক ছবি ও ভিডিও তুলেছি। শ্রীমঙ্গলের চা-বাগানের পাশাপাশি এই রাস্তার অভিজ্ঞতা অসাধারণ।” অনেকে এখানে এসে শুধু ছবি নেয় না—কেউ ব্যস্ত শহরের ক্লান্তি ভুলতে সুন্দর একটি হেঁটে বেড়ানো চান, কেউবা পরিবার নিয়ে চলোচিত্রের মতো দুপুরবেলা কাটান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিগুলো ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি মানুষ আকৃষ্ট হচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা একরামুল হোসেন বলেন, “ফেসবুকে এই রাস্তার ছবি দেখে পরিবার নিয়ে এসেছি। বাস্তবে এটি ছবির চেয়েও সুন্দর। তবে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন, যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।” এই উদ্বেগ স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক—কারণ চোখে দেখা সৌন্দর্যকেই নিরাপদভাবে উপভোগ করা যদি না যায়, তাহলে আনন্দে ফাটল ধরতে পারে।
শ্রীমঙ্গলের প্রচলিত আকর্ষণ চা বাগান, দরাকাটা, ঠাণ্ডা জলবায়ু এর সঙ্গে এই ফুলেল সড়ক যুক্ত হওয়ায় এলাকার ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক প্রোফাইলে সদ্যই মৃদু পরিবর্তন শুরু হয়েছে। স্থানীয় ছোট হোটেল, কফি-স্টল, গাইড সার্ভিস ও ছবি তোলার সরঞ্জাম ভাড়ার কাজে শিল্পজীবী ও ক্ষুদ্র উদ্যোগীরা মুনাফা দেখতে শুরু করেছেন। ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আলম বলেন, “এই সড়কটি এখন পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্পট হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ আসছেন। তবে এটি ব্যস্ত সড়ক হওয়ায় নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত।”
বৃক্ষরোপণ বা সৌন্দর্য বৃদ্ধি যতই প্রয়োজনীয় হোক, তা রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বাড়তি ভিড় বাড়তে থাকলে যানজট, পার্কিং সমস্যা, আবর্জনা সৃষ্টির সম্ভাবনা এবং পথচারীর নিরাপত্তা এসবই বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে।
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) : শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়ক এখন যেন এক সচল ছবির রাস্তা -সংবাদ
রোববার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়ক এখন যেন এক সচল ছবির রাস্তার দুই ধারে লাল, গোলাপি ও হলুদ রঙে ঝলমল করে উঠেছে কৃষ্ণচূড়া, জারুল, রাধাচূড়া ও সোনালু ফুলের সারি। পাতার নরম ছেঁড়া, বাতাসে ভাসমান পুখুরির মতো সুবাস আর দূরত্ব থেকে ভেসে আসা হাঁসফাঁসহীন সবুজ চা বাগানের পটভূমি সব মিলিয়ে এখানে দাঁড়ালেই মনে হয় প্রকৃতিই ক্যানভাস নিয়েছে। সাধারণ দর্শক-ভ্রমণকারী থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিয়মিত ছবি-শেয়ারকারীরাও প্রতিদিন এখানে ভিড় করছেন; এক কথায় এটি এক নতুন পর্যটনদর্শন।
প্রায় এক দশক আগে ফিনলে টি কোম্পানির ভাড়াউড়া ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক গোলাম মোহাম্মদ শিবলীর উদ্যোগে সড়কের দুপাশে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলগাছ রোপণ করা হয়। সেই ছোট্ট উদ্যোগটি সময়ের সাথে সঙ্গে বড় আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। একেকটি গাছ ধীরে ধীরে বাড়েছে, ফুলে ভরে উঠেছে—এখনকার এই রঙিন সজ্জা অনেকেরই চোখে মনে করছে যেন শ্রীমঙ্গল এক অন্য রূপ পেয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে এসে এখানে ঘুরে দেখা পর্যটক বিউটি আক্তার বলেন, “এই রাস্তার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছি। অনেক ছবি ও ভিডিও তুলেছি। শ্রীমঙ্গলের চা-বাগানের পাশাপাশি এই রাস্তার অভিজ্ঞতা অসাধারণ।” অনেকে এখানে এসে শুধু ছবি নেয় না—কেউ ব্যস্ত শহরের ক্লান্তি ভুলতে সুন্দর একটি হেঁটে বেড়ানো চান, কেউবা পরিবার নিয়ে চলোচিত্রের মতো দুপুরবেলা কাটান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিগুলো ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি মানুষ আকৃষ্ট হচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা একরামুল হোসেন বলেন, “ফেসবুকে এই রাস্তার ছবি দেখে পরিবার নিয়ে এসেছি। বাস্তবে এটি ছবির চেয়েও সুন্দর। তবে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন, যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।” এই উদ্বেগ স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক—কারণ চোখে দেখা সৌন্দর্যকেই নিরাপদভাবে উপভোগ করা যদি না যায়, তাহলে আনন্দে ফাটল ধরতে পারে।
শ্রীমঙ্গলের প্রচলিত আকর্ষণ চা বাগান, দরাকাটা, ঠাণ্ডা জলবায়ু এর সঙ্গে এই ফুলেল সড়ক যুক্ত হওয়ায় এলাকার ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক প্রোফাইলে সদ্যই মৃদু পরিবর্তন শুরু হয়েছে। স্থানীয় ছোট হোটেল, কফি-স্টল, গাইড সার্ভিস ও ছবি তোলার সরঞ্জাম ভাড়ার কাজে শিল্পজীবী ও ক্ষুদ্র উদ্যোগীরা মুনাফা দেখতে শুরু করেছেন। ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আলম বলেন, “এই সড়কটি এখন পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্পট হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ আসছেন। তবে এটি ব্যস্ত সড়ক হওয়ায় নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত।”
বৃক্ষরোপণ বা সৌন্দর্য বৃদ্ধি যতই প্রয়োজনীয় হোক, তা রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বাড়তি ভিড় বাড়তে থাকলে যানজট, পার্কিং সমস্যা, আবর্জনা সৃষ্টির সম্ভাবনা এবং পথচারীর নিরাপত্তা এসবই বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে।