রাজধানীর একটি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ও তাদের উদ্বিগ্ন স্বজন। রোববারের ছবি -সংবাদ
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৭৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একদিনে সর্বোচ্চ ১২ জন মারা গেছেন।
এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে রোববার,(২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৪১ হাজার ৮শ’ ৩১ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছে ২ হাজারেরও বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।
হাসপাতালে ভর্তি
৭৪০ জন
সেপ্টেম্বর মাসের ২২ দিনে ৫৭ জনের মৃত্যু
এ বছর আক্রান্ত ৪১,৮৩১ জন, মৃত্যু ১৭৯ জন
নিহত ১২ জনের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন মারা গেছেন।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৬৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৭ জন, ঢাকা বিভাগে ১৪৭ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১২২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১১৫ জন, খুলনা বিভাগে ৫২ জন, ময়মনসিংহে ২২ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৪ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন, সিলেট বিভাগে ৯ জন আক্রান্ত হয়েছে।
বয়সভেদে: আক্রান্তদের মধ্যে ৫ বছর বয়সের ১৭টি, ৬-১০ বছর বয়সের ৩৭ জন, ১১-১৫ বছর বয়সের ৪১ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ৮১ জন, ২১-২৫ বছর বয়সের ৯৮ জন, ২৬-৩০ বছর বয়সের ১১০ জন, ৭১-৭৫ বছর বয়সের ৩ জন, ৭৬-৮০ বছর বয়সের ১ জন, ৮০ বছর বয়সের ১ জন আক্রান্ত হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১০ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৪৬ জন, শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ১০ জন, সোহ্রাওয়াদ্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫২ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০৮ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ৯৭ জন ভর্তি আছে। এভাবে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতালে এখনও ৫৬২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে। সারাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২ হাজারেরও বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে।
ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞরা জানান, ঢাকায় প্রথম ডেঙ্গু দেখা দেয় ১৯৬৩ সালে। তখন এ রোগকে ঢাকা ফিভার হিসেবে চিহ্নিত করা বা নাম দেয়া হয়েছিল। ডেঙ্গুর প্রথম আউট ব্রেক
হয় ২০০০ সালে। তখন বিজ্ঞানীরা এটিকে ডেঙ্গু হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ওই বছর বাংলাদেশে ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এরপর থেকে প্রতি বছর কম-বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু এপিডেমিক আকার ধারণ করে। ওই বছর সরকারি হিসাব অনুযায়ী ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭৯ জন মারা যায়। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ও জনস্বাস্থ্য গবেষক কবিরুল বাসার সংবাদকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষ এখন ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ১২৬ প্রজাতির মশা শনাক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে বর্তমানে ঢাকায় ১৪-১৫ প্রজাতির মশা রয়েছে। বাংলাদেশে মশাবাহিত রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডেঙ্গু। থেমে থেমে বৃষ্টি ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উপদ্রব বেশি।
রোববার,(২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন কীটতত্ত্ববিদ সংবাদকে জানান, মশা মারা হচ্ছে না। প্রজননস্থলে ওষুধ ছিটানো হয় না। মশা দমন না করলে এ অবস্থা হবে। বর্তমান আবহাওয়া মশার প্রজনন ও বংশ বিস্তারের জন্য উপযোগী। তবে শীত পড়তে শুরু করলে মশার উপদ্রব কিছুটা কমতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রাজধানীর একটি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ও তাদের উদ্বিগ্ন স্বজন। রোববারের ছবি -সংবাদ
রোববার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৭৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একদিনে সর্বোচ্চ ১২ জন মারা গেছেন।
এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে রোববার,(২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৪১ হাজার ৮শ’ ৩১ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছে ২ হাজারেরও বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।
হাসপাতালে ভর্তি
৭৪০ জন
সেপ্টেম্বর মাসের ২২ দিনে ৫৭ জনের মৃত্যু
এ বছর আক্রান্ত ৪১,৮৩১ জন, মৃত্যু ১৭৯ জন
নিহত ১২ জনের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন মারা গেছেন।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৬৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৭ জন, ঢাকা বিভাগে ১৪৭ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১২২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১১৫ জন, খুলনা বিভাগে ৫২ জন, ময়মনসিংহে ২২ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৪ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন, সিলেট বিভাগে ৯ জন আক্রান্ত হয়েছে।
বয়সভেদে: আক্রান্তদের মধ্যে ৫ বছর বয়সের ১৭টি, ৬-১০ বছর বয়সের ৩৭ জন, ১১-১৫ বছর বয়সের ৪১ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ৮১ জন, ২১-২৫ বছর বয়সের ৯৮ জন, ২৬-৩০ বছর বয়সের ১১০ জন, ৭১-৭৫ বছর বয়সের ৩ জন, ৭৬-৮০ বছর বয়সের ১ জন, ৮০ বছর বয়সের ১ জন আক্রান্ত হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১০ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৪৬ জন, শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ১০ জন, সোহ্রাওয়াদ্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫২ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০৮ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ৯৭ জন ভর্তি আছে। এভাবে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতালে এখনও ৫৬২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে। সারাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২ হাজারেরও বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে।
ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞরা জানান, ঢাকায় প্রথম ডেঙ্গু দেখা দেয় ১৯৬৩ সালে। তখন এ রোগকে ঢাকা ফিভার হিসেবে চিহ্নিত করা বা নাম দেয়া হয়েছিল। ডেঙ্গুর প্রথম আউট ব্রেক
হয় ২০০০ সালে। তখন বিজ্ঞানীরা এটিকে ডেঙ্গু হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ওই বছর বাংলাদেশে ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এরপর থেকে প্রতি বছর কম-বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু এপিডেমিক আকার ধারণ করে। ওই বছর সরকারি হিসাব অনুযায়ী ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭৯ জন মারা যায়। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ও জনস্বাস্থ্য গবেষক কবিরুল বাসার সংবাদকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষ এখন ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ১২৬ প্রজাতির মশা শনাক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে বর্তমানে ঢাকায় ১৪-১৫ প্রজাতির মশা রয়েছে। বাংলাদেশে মশাবাহিত রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডেঙ্গু। থেমে থেমে বৃষ্টি ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উপদ্রব বেশি।
রোববার,(২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন কীটতত্ত্ববিদ সংবাদকে জানান, মশা মারা হচ্ছে না। প্রজননস্থলে ওষুধ ছিটানো হয় না। মশা দমন না করলে এ অবস্থা হবে। বর্তমান আবহাওয়া মশার প্রজনন ও বংশ বিস্তারের জন্য উপযোগী। তবে শীত পড়তে শুরু করলে মশার উপদ্রব কিছুটা কমতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।