বিরামপুর (দিনাজপুর) : পৌর শহরসহ মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কজুড়ে অবাধে চলাচল করছে রেজিস্ট্রেশন ও রোড পারমিটবিহীন ইজিবাইক, অটোরিকশা ও মিশুক -সংবাদ
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা পৌর শহরসহ মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কজুড়ে অবাধে চলাচল করছে রেজিস্ট্রেশন ও রোড পারমিটবিহীন ইজিবাইক, অটোরিকশা ও মিশুক। বছরের পর বছর ধরে এই যানগুলো প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ‘আবেদিত’ বা ‘অনটেস্ট’ লেখা প্লেট লাগিয়ে চলছে দেদারসে।
প্রতিদিন পৌর শহরের প্রতিটি মোড়ে এসব তিন চাকার যান যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা করছে। হঠাৎ ঘুরিয়ে নেওয়া, অতিরিক্ত গতি আর চালকদের অদক্ষতার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এতে যাত্রীদের প্রাণহানি ও অঙ্গহানির ঘটনা দিন দিন বাড়ছে।
বিরামপুর পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক খলিলুর রহমান ডাব্লিউ জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৫০ থেকে ৬০টি ইজিবাইক, দেড়শ মিশুক ও পাঁচ-দশটি রিকশা-ভ্যান লাইসেন্সের আওতায় এসেছে। ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ইজিবাইক ৫০০ টাকা, মিশুক ৩০০ টাকা, রিকশা-ভ্যান ২০০ টাকা। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য এখনও লাইসেন্স কার্যক্রম শুরু হয়নি। এক হাজার নতুন প্লেট তৈরির প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, মহাসড়ক ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অঘোষিত স্ট্যান্ড গড়ে ওঠায় যানজটের পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। প্রশিক্ষণবিহীন এমনকি নেশাগ্রস্ত কিছু চালক ভাড়া নিয়ে ইজিবাইক চালাচ্ছে। ফলে চুরি, ছিনতাই ও নিত্য অভিযোগে অতিষ্ঠ যাত্রীরা।
বিরামপুর উপজেলা ও পৌর শহর দিনাজপুর-৬ আসনের প্রাণকেন্দ্র হওয়ায় এখানে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফুলবাড়ী, নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট ও হাকিমপুরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত সহজ। ফলে প্রতিদিন বিরামপুর কলেজ বাজার থেকে কলাবাগান মোড় পর্যন্ত মহাসড়কে প্রায় সহস্রাধিক ইজিবাইক, মিশুক, রিকশা ও ভ্যানের সমাগম হয়। এর ফলে বিরামপুর ঢাকা মোড়ে প্রায়ই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকে। এছাড়া ঢাকা মোড় থেকে নবাবগঞ্জ রোড রেলগেট পর্যন্ত পুরো সড়কই এখন এসব তিন চাকার যানবাহনের দখলে।
এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিরামপুর উপজেলা অটো বাইক ও অটো টেম্পু শ্রমিক মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি শাহ আলম মণ্ডল বলেন, পৌরসভার চেয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে এই যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। পৌর এলাকায় কোনো ধরনের স্ট্যান্ড নেই, আবার চালক-মালিকদের জন্যও তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। এজন্য অনেকেই রেজিস্ট্রেশন করতে আগ্রহ দেখান না। যদি কর্তৃপক্ষ স্ট্যান্ড, ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে তবে চালক-মালিকরা অবশ্যই রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আসতে আগ্রহী হবেন।
সচেতন মহল মনে করছে, উপজেলা ও পৌর প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। অবৈধভাবে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে নির্দিষ্ট নিয়মে নিবন্ধনের আওতায় এনে ন্যূনতম প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা গেলে দুর্ঘটনা যেমন কমবে, তেমনি নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাও নিশ্চিত হবে।
বিরামপুর (দিনাজপুর) : পৌর শহরসহ মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কজুড়ে অবাধে চলাচল করছে রেজিস্ট্রেশন ও রোড পারমিটবিহীন ইজিবাইক, অটোরিকশা ও মিশুক -সংবাদ
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা পৌর শহরসহ মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কজুড়ে অবাধে চলাচল করছে রেজিস্ট্রেশন ও রোড পারমিটবিহীন ইজিবাইক, অটোরিকশা ও মিশুক। বছরের পর বছর ধরে এই যানগুলো প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ‘আবেদিত’ বা ‘অনটেস্ট’ লেখা প্লেট লাগিয়ে চলছে দেদারসে।
প্রতিদিন পৌর শহরের প্রতিটি মোড়ে এসব তিন চাকার যান যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা করছে। হঠাৎ ঘুরিয়ে নেওয়া, অতিরিক্ত গতি আর চালকদের অদক্ষতার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এতে যাত্রীদের প্রাণহানি ও অঙ্গহানির ঘটনা দিন দিন বাড়ছে।
বিরামপুর পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক খলিলুর রহমান ডাব্লিউ জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৫০ থেকে ৬০টি ইজিবাইক, দেড়শ মিশুক ও পাঁচ-দশটি রিকশা-ভ্যান লাইসেন্সের আওতায় এসেছে। ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ইজিবাইক ৫০০ টাকা, মিশুক ৩০০ টাকা, রিকশা-ভ্যান ২০০ টাকা। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য এখনও লাইসেন্স কার্যক্রম শুরু হয়নি। এক হাজার নতুন প্লেট তৈরির প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, মহাসড়ক ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অঘোষিত স্ট্যান্ড গড়ে ওঠায় যানজটের পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। প্রশিক্ষণবিহীন এমনকি নেশাগ্রস্ত কিছু চালক ভাড়া নিয়ে ইজিবাইক চালাচ্ছে। ফলে চুরি, ছিনতাই ও নিত্য অভিযোগে অতিষ্ঠ যাত্রীরা।
বিরামপুর উপজেলা ও পৌর শহর দিনাজপুর-৬ আসনের প্রাণকেন্দ্র হওয়ায় এখানে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফুলবাড়ী, নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট ও হাকিমপুরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত সহজ। ফলে প্রতিদিন বিরামপুর কলেজ বাজার থেকে কলাবাগান মোড় পর্যন্ত মহাসড়কে প্রায় সহস্রাধিক ইজিবাইক, মিশুক, রিকশা ও ভ্যানের সমাগম হয়। এর ফলে বিরামপুর ঢাকা মোড়ে প্রায়ই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকে। এছাড়া ঢাকা মোড় থেকে নবাবগঞ্জ রোড রেলগেট পর্যন্ত পুরো সড়কই এখন এসব তিন চাকার যানবাহনের দখলে।
এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিরামপুর উপজেলা অটো বাইক ও অটো টেম্পু শ্রমিক মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি শাহ আলম মণ্ডল বলেন, পৌরসভার চেয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে এই যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। পৌর এলাকায় কোনো ধরনের স্ট্যান্ড নেই, আবার চালক-মালিকদের জন্যও তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। এজন্য অনেকেই রেজিস্ট্রেশন করতে আগ্রহ দেখান না। যদি কর্তৃপক্ষ স্ট্যান্ড, ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে তবে চালক-মালিকরা অবশ্যই রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আসতে আগ্রহী হবেন।
সচেতন মহল মনে করছে, উপজেলা ও পৌর প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। অবৈধভাবে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে নির্দিষ্ট নিয়মে নিবন্ধনের আওতায় এনে ন্যূনতম প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা গেলে দুর্ঘটনা যেমন কমবে, তেমনি নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাও নিশ্চিত হবে।