ময়মনসিংহ শহরের চরপাড়ায় অনুমোদনহীন একটি ক্লিনিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই জরায়ুর অপারেশন করানোয় নান্দাইলের আনোয়ারা বেগম (৫৬) এখন গুরুতর অসুস্থ। পরিবার অভিযোগ করেছে, এই ভুল চিকিৎসার কারণে তার ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে এবং তিনি মৃত্যুর মুখে।
আনোয়ারা বেগম নান্দাইল উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী। তার ছেলে আনারুল ইসলাম জানান, ২৫ মার্চ মাকে নান্দাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে একই গ্রামের আমির হামযা ও শামীম আহমেদ উন্নত চিকিৎসার আশ্বাস দিয়ে মাকে ময়মনসিংহ শহরের চরপাড়ায় নান্দাইল ক্লিনিক অ্যান্ড প্যাথলজিতে ভর্তি করান।
আনারুলের অভিযোগ, “সেদিনই কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই এক ডাক্তার ও তার সহকারী মায়ের জরায়ুর অপারেশন করেন। টেস্টের জন্য ৫ হাজার টাকা নেয়া হলেও কোনো রিপোর্ট আমরা পাইনি।”
অপারেশনের ৪দিন পর রক্তপাত বন্ধ না হলেও রোগীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে অবস্থা খারাপ হলে আবার ক্লিনিকে নিয়ে গেলে মালিক আমির হামযা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করার কথা বলে রোগীকে ফেরত পাঠান। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিস্যু পরীক্ষা করে ক্যান্সারের আশঙ্কা পাওয়া যায়। ঢাকায় ডেল্টা হাসপাতাল ও ক্যান্সার হাসপাতালে বায়োপসির মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, ক্যান্সার চতুর্থ স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। ক্যান্সার হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, “এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া আগে অপারেশন করা উচিত নয়। এতে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।”
আনারুল ইসলাম ২৭ আগস্ট নান্দাইল ক্লিনিকের মালিক আমির হামযা ও শামীম আহমেদের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার ও নান্দাইল মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তবে তিনি অভিযোগ করেন, এখনও কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
অভিযুক্ত মালিক আমির হামযা বলেন, “অপারেশনের পর রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন। পরে কী হয়েছে তা আমার জানার কথা না।” ক্লিনিকের অনুমোদন আছে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, “লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করা হয়েছে।”
নান্দাইল মডেল থানার ওসি মাহমুদ বলেন, “ঘটনাস্থল ময়মনসিংহ শহরে হওয়ায় অভিযোগ সদর থানায় করতে বলা হয়েছে।” ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।” পুলিশ সুপার কাজী আখতারুল আলম জানান, “অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।” সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ক্লিনিকটির সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ময়মনসিংহ শহরের চরপাড়ায় অনুমোদনহীন একটি ক্লিনিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই জরায়ুর অপারেশন করানোয় নান্দাইলের আনোয়ারা বেগম (৫৬) এখন গুরুতর অসুস্থ। পরিবার অভিযোগ করেছে, এই ভুল চিকিৎসার কারণে তার ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে এবং তিনি মৃত্যুর মুখে।
আনোয়ারা বেগম নান্দাইল উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী। তার ছেলে আনারুল ইসলাম জানান, ২৫ মার্চ মাকে নান্দাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে একই গ্রামের আমির হামযা ও শামীম আহমেদ উন্নত চিকিৎসার আশ্বাস দিয়ে মাকে ময়মনসিংহ শহরের চরপাড়ায় নান্দাইল ক্লিনিক অ্যান্ড প্যাথলজিতে ভর্তি করান।
আনারুলের অভিযোগ, “সেদিনই কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই এক ডাক্তার ও তার সহকারী মায়ের জরায়ুর অপারেশন করেন। টেস্টের জন্য ৫ হাজার টাকা নেয়া হলেও কোনো রিপোর্ট আমরা পাইনি।”
অপারেশনের ৪দিন পর রক্তপাত বন্ধ না হলেও রোগীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে অবস্থা খারাপ হলে আবার ক্লিনিকে নিয়ে গেলে মালিক আমির হামযা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করার কথা বলে রোগীকে ফেরত পাঠান। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিস্যু পরীক্ষা করে ক্যান্সারের আশঙ্কা পাওয়া যায়। ঢাকায় ডেল্টা হাসপাতাল ও ক্যান্সার হাসপাতালে বায়োপসির মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, ক্যান্সার চতুর্থ স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। ক্যান্সার হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, “এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া আগে অপারেশন করা উচিত নয়। এতে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।”
আনারুল ইসলাম ২৭ আগস্ট নান্দাইল ক্লিনিকের মালিক আমির হামযা ও শামীম আহমেদের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার ও নান্দাইল মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তবে তিনি অভিযোগ করেন, এখনও কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
অভিযুক্ত মালিক আমির হামযা বলেন, “অপারেশনের পর রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন। পরে কী হয়েছে তা আমার জানার কথা না।” ক্লিনিকের অনুমোদন আছে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, “লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করা হয়েছে।”
নান্দাইল মডেল থানার ওসি মাহমুদ বলেন, “ঘটনাস্থল ময়মনসিংহ শহরে হওয়ায় অভিযোগ সদর থানায় করতে বলা হয়েছে।” ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।” পুলিশ সুপার কাজী আখতারুল আলম জানান, “অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।” সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ক্লিনিকটির সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলা হয়েছে।