বদলগাছী (নওগাঁ) : গাভীর গর্ভের বাছুর -সংবাদ
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কোলা হাটে গর্ভবতী গাভী জবাই করে মাংস বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কসাই দুলাল, সোহেল ও মিলনের বিরুদ্ধে। কোন রকম পরীক্ষা ছাড়াই গরু জবাই করার বিষয়টি জানার পরেও কোলা হাটের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত এআই টেকনিশিয়ান রাজু বিষয়টি প্রশাসনকে না জানিয়ে স্থানীয় ভাবে ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করেন। ঐ গর্ভবতী গাভীর মাংস বিক্রি হয়ে যাবার পর রাতে জবাই করার স্থানে বাছুর পড়ে থাকতে দেখে এলাকার লোকজন। বিষয়টি নিয়ে এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এ রকম ঘটনা বারবার কোলাহাটে ঘটলেও জরিতরা ধরাছোঁয়ার বাহিরে থাকে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ। এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা করেন না উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
জানা যায়, গত শুক্রবারে বদলগাছীর ঐতিহ্যবাহী গরুর হাট নামে পরিচিত কোলা হাট। সেই হাটে গর্ভবতী গাভী জবাই করে মাংস বিক্রি করার পরে গরু জবাই করার স্থানে একটি বাছুর পড়ে থাকে। শিয়াল,কুকুর বাছুরটিকে নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া করতে লাগলে বিষয়টি কোলাবাসীর নজরে আসলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
গত শনিবার গর্ভবতীগাভী জবাই করার পর গাভীর পেটে থাকা বাছুর টি জবাইকৃত স্থানে পড়ে থাকার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চারিদিকে নিন্দার ঝড় শুরু হয়। বিষয়টি জানার পরে কোলাহাটের ইজরাদার জুয়েল ও কোলা বণিক সমিতি লোকজন মিলে কোলা হাটের মাংস বিক্রয় কেন্দ্রের সেডে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরা বলেন, বারবার কোলাহাটে এ রকম ঘৃণিত কাজ করে কিছু অসাধু কসাই। বিষয়গুলো জানার পরেও তেমন কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়না সেই সব কসাইদের। এর আগেও সোহেল, দুলাল এই হাটে বহুবার অসুস্থ গরু, প্রায় মৃত গরু গুলো বেশি লাভের আশায় অল্প দামে কিনে জবাই করে কোলা এবং ভান্ডারপুর বাজারে বিক্রি করে।
স্থানীয় রুহেল বলেন, কোলাহাটে অনেক গুলো গুরু জবাই হয় এবং সকল গরুর মাংস বিক্রি হয়ে যায়। রাতে জবাই করার স্থানে গেলে একটি মৃত গরুর বাচ্চা দেখতে পাওয়া যায়। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। বারবার এই কসাইরা এমন অপরাধ করার সাহস যেন না পায়। তিনি আরও বলেন, কম দামে কোলা হাটে মাংস বিক্রি হওয়া ব্যাপারটা সবাই জানে তাই দূর দূরান্ত থেকে লোকজন এসে এখান থেকে মাংস ক্রয় করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে আমরা কোলাবাসী প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। কোলা হাটের গরু পরীক্ষা ও জবাইয়ের দেখভালের দ্বায়িত্বে থাকা এআই টেকনিশিয়ান রাজু বলেন, সেদিন আমি অনেক আগেই গেছি, সকাল ৮টার দিকে মনে করলাম যে আমি ভাত খেয়ে আসি সেই টাইমে গরুটি জবাই করেছে। আমার কাছে থেকে গরু পরীক্ষা করার কোন কাগজও নেয়নি আবার গরু পরীক্ষাও করে নি। কারা জবাই করেছে জানতে চাইলে এআই টেকনিশিয়ান রাজু বলেন, দুলাল,মিলন এবং সোহেল নামে স্থানীয় কসাইকররা। বিষয়টি কি আপনার কর্মকর্তাকে জানাইছেন কিনা জানতে চাইলে এআই রাজু বলেন, এটা স্থানীয় ভাবে সাগর ভাইকে বলেছি। স্থানীয় ভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছি এছাড়া কাউকে বিষয়টি জানানো হয়নি। এ ব্যপারে স্থানীয় নেতা সাগর জানান, গর্ভবতী গাভী জবাইয়ের ব্যপারে আমাকে কেউ জানাই নি। শুক্রবার রাতে বিষয়টি জানার পরে আমরা তল্লাশি করছি কে এই কাজ করেছে। আমরা স্থানীয়ভাবে এর বিচার চাই। জানতে চাইলে কসাই দুলালের মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ দেখায়। মিলন কসাই বলেন, সবচেয়ে বড় কথা গরুটা যে জবাই করিছে সেই চোর পালে যাওয়ার পর রাত বারোটার দিকে বলতেছে ইংকা ইংকা গরুটা কিন্তু গাবিন। আমি ফোন দিচ্ছি তোরা ফ্রিজে থুলু না কা বাচ্চা থুলুনা কান আমি দেখতাম তোরা কি করলু মোবাইলে ছবি তুলে থুলু। গরুতো জবাই হয়েছে ১৫টা। কে করলো কাংকাকরে কবো। কোলা বাজারের বণিক সমিতির সভাপতি রুনজু জানান, বিষয়টি জানার পরে মাংস বিক্রির স্থানে তালা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কসাই দুলাল ও সোহেল গায়ের জোরে বারবার এরকম কাজ দীর্ঘ দিন থেকে করে আসছে আর দায়িত্বপ্রাপ্ত এ আই টেকনিশিয়ান তাদেরকে কিছু বলে না। আজকে বিষয়টি নিয়ে বসার কথা আছে। কোলা হাট ইজারাদার জুয়েল আমান জানান, গর্ভবতী গাভী জবাই করে মাংস বিক্রি করার বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাজুড়ে ব্যপক সমালোচনা শুরু হলে বনিক সমিতি ও হাট ইজারাদার মিলে মাংস বিক্রির শেডে তালা মেরে বন্ধ করা হয়েছে।বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কোলাহাটে সকল প্রকার গরু জবাই ও মাংস বিক্রি বন্ধ থাকিবে।
কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও হাট কমিটির সভাপতি শাহীনুর ইসলাম জানান, এ ব্যপারে শুনেছি। ঘটনার দিন আমাকে কেউ জানায় নি। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের কর্মকর্তা ডাঃ রিপা রাণী জানান, যদি এআই টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আসে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা যথেষ্ট পরিমানে তদারকি করি। কেউ যদি গরু জবাইয়ের সার্টিফিকেট ছাড়া গোপনে গরু জবাই করে এটা আমাদের একার পক্ষে বন্ধ করা অসম্ভব। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বাজার কমিটি ও হাটইজারাদারদের এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। গরু জবাইয়ের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে। জানতে চাইলে বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইসরাত জাহান ছনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বদলগাছী (নওগাঁ) : গাভীর গর্ভের বাছুর -সংবাদ
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কোলা হাটে গর্ভবতী গাভী জবাই করে মাংস বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কসাই দুলাল, সোহেল ও মিলনের বিরুদ্ধে। কোন রকম পরীক্ষা ছাড়াই গরু জবাই করার বিষয়টি জানার পরেও কোলা হাটের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত এআই টেকনিশিয়ান রাজু বিষয়টি প্রশাসনকে না জানিয়ে স্থানীয় ভাবে ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করেন। ঐ গর্ভবতী গাভীর মাংস বিক্রি হয়ে যাবার পর রাতে জবাই করার স্থানে বাছুর পড়ে থাকতে দেখে এলাকার লোকজন। বিষয়টি নিয়ে এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এ রকম ঘটনা বারবার কোলাহাটে ঘটলেও জরিতরা ধরাছোঁয়ার বাহিরে থাকে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ। এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা করেন না উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
জানা যায়, গত শুক্রবারে বদলগাছীর ঐতিহ্যবাহী গরুর হাট নামে পরিচিত কোলা হাট। সেই হাটে গর্ভবতী গাভী জবাই করে মাংস বিক্রি করার পরে গরু জবাই করার স্থানে একটি বাছুর পড়ে থাকে। শিয়াল,কুকুর বাছুরটিকে নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া করতে লাগলে বিষয়টি কোলাবাসীর নজরে আসলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
গত শনিবার গর্ভবতীগাভী জবাই করার পর গাভীর পেটে থাকা বাছুর টি জবাইকৃত স্থানে পড়ে থাকার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চারিদিকে নিন্দার ঝড় শুরু হয়। বিষয়টি জানার পরে কোলাহাটের ইজরাদার জুয়েল ও কোলা বণিক সমিতি লোকজন মিলে কোলা হাটের মাংস বিক্রয় কেন্দ্রের সেডে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরা বলেন, বারবার কোলাহাটে এ রকম ঘৃণিত কাজ করে কিছু অসাধু কসাই। বিষয়গুলো জানার পরেও তেমন কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়না সেই সব কসাইদের। এর আগেও সোহেল, দুলাল এই হাটে বহুবার অসুস্থ গরু, প্রায় মৃত গরু গুলো বেশি লাভের আশায় অল্প দামে কিনে জবাই করে কোলা এবং ভান্ডারপুর বাজারে বিক্রি করে।
স্থানীয় রুহেল বলেন, কোলাহাটে অনেক গুলো গুরু জবাই হয় এবং সকল গরুর মাংস বিক্রি হয়ে যায়। রাতে জবাই করার স্থানে গেলে একটি মৃত গরুর বাচ্চা দেখতে পাওয়া যায়। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। বারবার এই কসাইরা এমন অপরাধ করার সাহস যেন না পায়। তিনি আরও বলেন, কম দামে কোলা হাটে মাংস বিক্রি হওয়া ব্যাপারটা সবাই জানে তাই দূর দূরান্ত থেকে লোকজন এসে এখান থেকে মাংস ক্রয় করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে আমরা কোলাবাসী প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। কোলা হাটের গরু পরীক্ষা ও জবাইয়ের দেখভালের দ্বায়িত্বে থাকা এআই টেকনিশিয়ান রাজু বলেন, সেদিন আমি অনেক আগেই গেছি, সকাল ৮টার দিকে মনে করলাম যে আমি ভাত খেয়ে আসি সেই টাইমে গরুটি জবাই করেছে। আমার কাছে থেকে গরু পরীক্ষা করার কোন কাগজও নেয়নি আবার গরু পরীক্ষাও করে নি। কারা জবাই করেছে জানতে চাইলে এআই টেকনিশিয়ান রাজু বলেন, দুলাল,মিলন এবং সোহেল নামে স্থানীয় কসাইকররা। বিষয়টি কি আপনার কর্মকর্তাকে জানাইছেন কিনা জানতে চাইলে এআই রাজু বলেন, এটা স্থানীয় ভাবে সাগর ভাইকে বলেছি। স্থানীয় ভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছি এছাড়া কাউকে বিষয়টি জানানো হয়নি। এ ব্যপারে স্থানীয় নেতা সাগর জানান, গর্ভবতী গাভী জবাইয়ের ব্যপারে আমাকে কেউ জানাই নি। শুক্রবার রাতে বিষয়টি জানার পরে আমরা তল্লাশি করছি কে এই কাজ করেছে। আমরা স্থানীয়ভাবে এর বিচার চাই। জানতে চাইলে কসাই দুলালের মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ দেখায়। মিলন কসাই বলেন, সবচেয়ে বড় কথা গরুটা যে জবাই করিছে সেই চোর পালে যাওয়ার পর রাত বারোটার দিকে বলতেছে ইংকা ইংকা গরুটা কিন্তু গাবিন। আমি ফোন দিচ্ছি তোরা ফ্রিজে থুলু না কা বাচ্চা থুলুনা কান আমি দেখতাম তোরা কি করলু মোবাইলে ছবি তুলে থুলু। গরুতো জবাই হয়েছে ১৫টা। কে করলো কাংকাকরে কবো। কোলা বাজারের বণিক সমিতির সভাপতি রুনজু জানান, বিষয়টি জানার পরে মাংস বিক্রির স্থানে তালা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কসাই দুলাল ও সোহেল গায়ের জোরে বারবার এরকম কাজ দীর্ঘ দিন থেকে করে আসছে আর দায়িত্বপ্রাপ্ত এ আই টেকনিশিয়ান তাদেরকে কিছু বলে না। আজকে বিষয়টি নিয়ে বসার কথা আছে। কোলা হাট ইজারাদার জুয়েল আমান জানান, গর্ভবতী গাভী জবাই করে মাংস বিক্রি করার বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাজুড়ে ব্যপক সমালোচনা শুরু হলে বনিক সমিতি ও হাট ইজারাদার মিলে মাংস বিক্রির শেডে তালা মেরে বন্ধ করা হয়েছে।বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কোলাহাটে সকল প্রকার গরু জবাই ও মাংস বিক্রি বন্ধ থাকিবে।
কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও হাট কমিটির সভাপতি শাহীনুর ইসলাম জানান, এ ব্যপারে শুনেছি। ঘটনার দিন আমাকে কেউ জানায় নি। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের কর্মকর্তা ডাঃ রিপা রাণী জানান, যদি এআই টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আসে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা যথেষ্ট পরিমানে তদারকি করি। কেউ যদি গরু জবাইয়ের সার্টিফিকেট ছাড়া গোপনে গরু জবাই করে এটা আমাদের একার পক্ষে বন্ধ করা অসম্ভব। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বাজার কমিটি ও হাটইজারাদারদের এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। গরু জবাইয়ের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে। জানতে চাইলে বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইসরাত জাহান ছনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।