মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের রোগীর শয্যার বেহাল অবস্থা -সংবাদ
নাটোরের লালপুর উপজেলার আব্দুলপুরে অবস্থিত ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নেই কোনো চিকিৎসক, নেই প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র। ২ যুগেরও বেশি সময় ধরে ডাক্তারশূন্য এই কেন্দ্রটিতে মাত্র ২ জন কর্মী ১ জন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ও ১ জন মিডওয়াইফ দিয়ে চালানো হচ্ছে গর্ভবতী নারী ও নবজাতকদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও স্বাভাবিক প্রসব সেবা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন- জনবল সংকট, অবকাঠামোর বেহাল দশা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণের অভাবে প্রতিষ্ঠানটি এখন ‘নামমাত্র’ একটি সেবাকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ জানায়, ১৯৬৫ সালে এই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন এটি ছিল একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান, যেখানে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা এবং নিরাপদ প্রসবের নিশ্চয়তা ছিল। বর্তমানে এই কেন্দ্রে ৬টি পদের মধ্যে মাত্র ২টি পদে কর্মকর্তা কর্মরত আছেন, বাকিরা প্রেষণে অন্যত্র কর্মরত।
কর্মরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা আখতার বানু জানান, এখানে নিয়মিত নরমাল ডেলিভারি হয়। কিন্তু আমার দু’খান হাত ছাড়া আর কোনো সহযোগী নেই। একটু জটিল মনে হলেই প্রসূতিকে লালপুর হাসপাতালে রেফার করি।
১০ মাস ধরে এখানে কোনো সরকারি ওষুধ সরবরাহ নেই। গ্লাভস, হেক্সাসল, ডেলিভারি কিট সবকিছুই রোগীর স্বজনদের কিনে আনতে হয়। গত ৮ মাসে এখানে ২১টি স্বাভাবিক প্রসব সম্পন্ন হয়েছে, তবে জটিল রোগীদের অধিকাংশই পাঠানো হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জরাজীর্ণ ভবনের দ্বিতীয় তলার ওয়ার্ডে সব বেড গুটিয়ে রাখা হয়েছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রপাতি। নিচতলায় একটি রুমে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ও মিডওয়াইফ বসে সেবাদান করছেন। আশপাশের রুমগুলো ব্যবহার অনুপযোগী। ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ছে। আবাসিক ভবনটিও বসবাসের অযোগ্য।
এক সময় এখানে নিয়মিত অপারেশন হতো, কিন্তু ভবনের অবস্থা এবং ডাক্তার না থাকায় তা প্রায় ৪ বছর ধরে বন্ধ। স্থানীয়রা জানান, এক সময়ের প্রাণচঞ্চল এই সেবা কেন্দ্রটি এখন শুধু নামেই টিকে আছে। আগে এখানে সেবা নিতে ভিড় করতেন অনেক মানুষ। এখন সবাই বাধ্য হয়ে বেসরকারি ক্লিনিক বা উপজেলা হাসপাতালে চলে যাচ্ছেন।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রায়হানুল হক বলেন, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ভবনটি পুনঃনির্মাণ করা জরুরি। দীর্ঘদিন ধরে অপারেশন বন্ধ আছে। সরকারি ওষুধ সরবরাহও নেই, তবে আশা করছি খুব শিগগিরই পাওয়া যাবে।
মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের রোগীর শয্যার বেহাল অবস্থা -সংবাদ
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নাটোরের লালপুর উপজেলার আব্দুলপুরে অবস্থিত ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নেই কোনো চিকিৎসক, নেই প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র। ২ যুগেরও বেশি সময় ধরে ডাক্তারশূন্য এই কেন্দ্রটিতে মাত্র ২ জন কর্মী ১ জন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ও ১ জন মিডওয়াইফ দিয়ে চালানো হচ্ছে গর্ভবতী নারী ও নবজাতকদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও স্বাভাবিক প্রসব সেবা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন- জনবল সংকট, অবকাঠামোর বেহাল দশা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণের অভাবে প্রতিষ্ঠানটি এখন ‘নামমাত্র’ একটি সেবাকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ জানায়, ১৯৬৫ সালে এই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন এটি ছিল একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান, যেখানে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা এবং নিরাপদ প্রসবের নিশ্চয়তা ছিল। বর্তমানে এই কেন্দ্রে ৬টি পদের মধ্যে মাত্র ২টি পদে কর্মকর্তা কর্মরত আছেন, বাকিরা প্রেষণে অন্যত্র কর্মরত।
কর্মরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা আখতার বানু জানান, এখানে নিয়মিত নরমাল ডেলিভারি হয়। কিন্তু আমার দু’খান হাত ছাড়া আর কোনো সহযোগী নেই। একটু জটিল মনে হলেই প্রসূতিকে লালপুর হাসপাতালে রেফার করি।
১০ মাস ধরে এখানে কোনো সরকারি ওষুধ সরবরাহ নেই। গ্লাভস, হেক্সাসল, ডেলিভারি কিট সবকিছুই রোগীর স্বজনদের কিনে আনতে হয়। গত ৮ মাসে এখানে ২১টি স্বাভাবিক প্রসব সম্পন্ন হয়েছে, তবে জটিল রোগীদের অধিকাংশই পাঠানো হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জরাজীর্ণ ভবনের দ্বিতীয় তলার ওয়ার্ডে সব বেড গুটিয়ে রাখা হয়েছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রপাতি। নিচতলায় একটি রুমে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ও মিডওয়াইফ বসে সেবাদান করছেন। আশপাশের রুমগুলো ব্যবহার অনুপযোগী। ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ছে। আবাসিক ভবনটিও বসবাসের অযোগ্য।
এক সময় এখানে নিয়মিত অপারেশন হতো, কিন্তু ভবনের অবস্থা এবং ডাক্তার না থাকায় তা প্রায় ৪ বছর ধরে বন্ধ। স্থানীয়রা জানান, এক সময়ের প্রাণচঞ্চল এই সেবা কেন্দ্রটি এখন শুধু নামেই টিকে আছে। আগে এখানে সেবা নিতে ভিড় করতেন অনেক মানুষ। এখন সবাই বাধ্য হয়ে বেসরকারি ক্লিনিক বা উপজেলা হাসপাতালে চলে যাচ্ছেন।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রায়হানুল হক বলেন, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ভবনটি পুনঃনির্মাণ করা জরুরি। দীর্ঘদিন ধরে অপারেশন বন্ধ আছে। সরকারি ওষুধ সরবরাহও নেই, তবে আশা করছি খুব শিগগিরই পাওয়া যাবে।