alt

লালপুর মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে নেই ডাক্তার, ওষুধ

প্রতিনিধি, লালপুর (নাটোর) : সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের রোগীর শয্যার বেহাল অবস্থা -সংবাদ

নাটোরের লালপুর উপজেলার আব্দুলপুরে অবস্থিত ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নেই কোনো চিকিৎসক, নেই প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র। ২ যুগেরও বেশি সময় ধরে ডাক্তারশূন্য এই কেন্দ্রটিতে মাত্র ২ জন কর্মী ১ জন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ও ১ জন মিডওয়াইফ দিয়ে চালানো হচ্ছে গর্ভবতী নারী ও নবজাতকদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও স্বাভাবিক প্রসব সেবা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন- জনবল সংকট, অবকাঠামোর বেহাল দশা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণের অভাবে প্রতিষ্ঠানটি এখন ‘নামমাত্র’ একটি সেবাকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ জানায়, ১৯৬৫ সালে এই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন এটি ছিল একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান, যেখানে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা এবং নিরাপদ প্রসবের নিশ্চয়তা ছিল। বর্তমানে এই কেন্দ্রে ৬টি পদের মধ্যে মাত্র ২টি পদে কর্মকর্তা কর্মরত আছেন, বাকিরা প্রেষণে অন্যত্র কর্মরত।

কর্মরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা আখতার বানু জানান, এখানে নিয়মিত নরমাল ডেলিভারি হয়। কিন্তু আমার দু’খান হাত ছাড়া আর কোনো সহযোগী নেই। একটু জটিল মনে হলেই প্রসূতিকে লালপুর হাসপাতালে রেফার করি।

১০ মাস ধরে এখানে কোনো সরকারি ওষুধ সরবরাহ নেই। গ্লাভস, হেক্সাসল, ডেলিভারি কিট সবকিছুই রোগীর স্বজনদের কিনে আনতে হয়। গত ৮ মাসে এখানে ২১টি স্বাভাবিক প্রসব সম্পন্ন হয়েছে, তবে জটিল রোগীদের অধিকাংশই পাঠানো হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

সরেজমিনে দেখা যায়, জরাজীর্ণ ভবনের দ্বিতীয় তলার ওয়ার্ডে সব বেড গুটিয়ে রাখা হয়েছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রপাতি। নিচতলায় একটি রুমে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ও মিডওয়াইফ বসে সেবাদান করছেন। আশপাশের রুমগুলো ব্যবহার অনুপযোগী। ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ছে। আবাসিক ভবনটিও বসবাসের অযোগ্য।

এক সময় এখানে নিয়মিত অপারেশন হতো, কিন্তু ভবনের অবস্থা এবং ডাক্তার না থাকায় তা প্রায় ৪ বছর ধরে বন্ধ। স্থানীয়রা জানান, এক সময়ের প্রাণচঞ্চল এই সেবা কেন্দ্রটি এখন শুধু নামেই টিকে আছে। আগে এখানে সেবা নিতে ভিড় করতেন অনেক মানুষ। এখন সবাই বাধ্য হয়ে বেসরকারি ক্লিনিক বা উপজেলা হাসপাতালে চলে যাচ্ছেন।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রায়হানুল হক বলেন, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ভবনটি পুনঃনির্মাণ করা জরুরি। দীর্ঘদিন ধরে অপারেশন বন্ধ আছে। সরকারি ওষুধ সরবরাহও নেই, তবে আশা করছি খুব শিগগিরই পাওয়া যাবে।

পোষ্য কোটায় উপাচার্যের কন্যাসহ মোট তিনজন ববিতে ভর্তি

পুলিশ দেখে পুকুরে লাফ দেয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

চট্টগ্রামে অস্ত্র মামলায় যুবকের ১৭ বছরের দণ্ড

ছবি

যশোর ও খুলনার ভবদহে ৫ নদী পুনঃখনন, সমঝোতা স্মারক সই

ছবি

যে গ্রামে সবাই পাট চাষি

ছবি

মেহেদীবাগে ১৯৯৭ সালের সিটি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা হত্যার মামলায় পাঁচ আসামি খালাস

ছবি

সাটুরিয়ায় ‘বেশী দামে’ সার বিক্রি করায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা করলো ভ্রাম্যমান আদালতে

ছবি

আবার ভূমিকম্প, এবার উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের মধ্যেই

ছবি

ঝালকাঠিতে চিরকুট লিখে আইনজীবীর আত্মহত্যা

ছবি

শেরপুরে প্রায় ৫ মণ ওজনের কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার গ্রেপ্তার ২

ছবি

ঝালকাঠিতে চলছে অটোরিকশা শ্রমিকদের ধর্মঘট

ছবি

নোয়াখালীতে হাসপাতালে যৌথ অভিযানে ৭ দালালকে সাজা

ছবি

কোলাহাটে গর্ভবতী গাভীর মাংস বিক্রি করলো কসাই

ছবি

লৌহজংয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা

ছবি

ময়মনসিংহে অনুমোদনহীন ক্লিনিকে অপারেশন জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ে আনোয়ারা বেগম

ছবি

ফাইল অনুমোদনে বাধা, প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থতা রাষ্ট্র ও সরকারের: চট্টগ্রাম সিটি মেয়র

ছবি

টঙ্গীতে রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, দগ্ধ ফায়ার সার্ভিসের চার কর্মী

ছবি

দুমকিতে চলাচলের রাস্তায় অবৈধভাবে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ

ছবি

সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদের ৫৮২টি নথি পেয়েছে দুদক

ছবি

চুনারুঘাটে ২ মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ১

ছবি

নারীকে খুনের মামলায় ‘পালিত নাতি’ কারাগারে

ছবি

সারাদেশের পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

উত্তর বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

ছবি

টেকনাফে পাহাড় থেকে নারী-শিশুসহ ৮৪ জন উদ্ধার, অস্ত্রসহ আটক ৩ পাচারকারী

ছবি

অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় চুনারুঘাট সীমান্তে ৫ বাংলাদেশি আটক

ছবি

বাস শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে নাটোর থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম রুটের বাস চলাচল বন্ধ

ছবি

গজারিয়ায় ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা

ছবি

চট্টগ্রামে বাজারগুলোতে ভরপুর সবুজ সবজি, কেজিতে কমেছে ১০ টাকা

ছবি

ময়মনসিংহে ‘আত্তে রাসুল খাজা বাবার দায়রা শরিফ’ খানকা ভাঙচুর, থানায় মামলা, আটক দুই

ছবি

চাঁদপুরে সুদিন ফেরাতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা চায় আখ চাষীরা

ছবি

বজ্রপাতে জেলের মৃত্যু

ছবি

গৌরনদীতে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

ছবি

চুনারুঘাট সীমান্তে ৫ বাংলাদেশি আটক

ছবি

পারমিটবিহীন ইজিবাইক অটোরিকশার দৌরাত্ম্য

ছবি

মেঘনার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে তরপুরচন্ডীর গ্রামীণ সড়ক

ছবি

পটুয়াখালী ইপিজেড : ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ পেতে হয়রানির শিকার

tab

লালপুর মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে নেই ডাক্তার, ওষুধ

প্রতিনিধি, লালপুর (নাটোর)

মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের রোগীর শয্যার বেহাল অবস্থা -সংবাদ

সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নাটোরের লালপুর উপজেলার আব্দুলপুরে অবস্থিত ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নেই কোনো চিকিৎসক, নেই প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র। ২ যুগেরও বেশি সময় ধরে ডাক্তারশূন্য এই কেন্দ্রটিতে মাত্র ২ জন কর্মী ১ জন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ও ১ জন মিডওয়াইফ দিয়ে চালানো হচ্ছে গর্ভবতী নারী ও নবজাতকদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও স্বাভাবিক প্রসব সেবা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন- জনবল সংকট, অবকাঠামোর বেহাল দশা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণের অভাবে প্রতিষ্ঠানটি এখন ‘নামমাত্র’ একটি সেবাকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ জানায়, ১৯৬৫ সালে এই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন এটি ছিল একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান, যেখানে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা এবং নিরাপদ প্রসবের নিশ্চয়তা ছিল। বর্তমানে এই কেন্দ্রে ৬টি পদের মধ্যে মাত্র ২টি পদে কর্মকর্তা কর্মরত আছেন, বাকিরা প্রেষণে অন্যত্র কর্মরত।

কর্মরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা আখতার বানু জানান, এখানে নিয়মিত নরমাল ডেলিভারি হয়। কিন্তু আমার দু’খান হাত ছাড়া আর কোনো সহযোগী নেই। একটু জটিল মনে হলেই প্রসূতিকে লালপুর হাসপাতালে রেফার করি।

১০ মাস ধরে এখানে কোনো সরকারি ওষুধ সরবরাহ নেই। গ্লাভস, হেক্সাসল, ডেলিভারি কিট সবকিছুই রোগীর স্বজনদের কিনে আনতে হয়। গত ৮ মাসে এখানে ২১টি স্বাভাবিক প্রসব সম্পন্ন হয়েছে, তবে জটিল রোগীদের অধিকাংশই পাঠানো হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

সরেজমিনে দেখা যায়, জরাজীর্ণ ভবনের দ্বিতীয় তলার ওয়ার্ডে সব বেড গুটিয়ে রাখা হয়েছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রপাতি। নিচতলায় একটি রুমে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ও মিডওয়াইফ বসে সেবাদান করছেন। আশপাশের রুমগুলো ব্যবহার অনুপযোগী। ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ছে। আবাসিক ভবনটিও বসবাসের অযোগ্য।

এক সময় এখানে নিয়মিত অপারেশন হতো, কিন্তু ভবনের অবস্থা এবং ডাক্তার না থাকায় তা প্রায় ৪ বছর ধরে বন্ধ। স্থানীয়রা জানান, এক সময়ের প্রাণচঞ্চল এই সেবা কেন্দ্রটি এখন শুধু নামেই টিকে আছে। আগে এখানে সেবা নিতে ভিড় করতেন অনেক মানুষ। এখন সবাই বাধ্য হয়ে বেসরকারি ক্লিনিক বা উপজেলা হাসপাতালে চলে যাচ্ছেন।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রায়হানুল হক বলেন, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ভবনটি পুনঃনির্মাণ করা জরুরি। দীর্ঘদিন ধরে অপারেশন বন্ধ আছে। সরকারি ওষুধ সরবরাহও নেই, তবে আশা করছি খুব শিগগিরই পাওয়া যাবে।

back to top