একদিকে কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহার, অন্যদিকে ছোট ফাঁসের রিং (চাই) জালে বিলুপ্তির পথে উপকুলীয় এলাকায় দেশীয় প্রজাতির মাছ। মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও ছোট ফাসের চাই জাল বন্ধ না করলে দু এক বছরের মধ্যে বিলিন হয়ে যাবে খাল বিলসহ জলাবদ্ধ জায়গায় থাকা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
রাঙ্গাবালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে এলাকাবাসীর কাছে জানা গেছে, নদী নালা ঝোরা খাল বিলসহ যে কোন জলাবদ্ধ জায়গা ছিল শিং, মাগুর, কই, টাকি, কোরাল মাছের অভায়রণ্য। ভাদ্র আশ্বিন মাসে প্রচুর পরিমান মাছ পাওয়া যেত এইসব জায়গায়। এখন আর নেই। কারন হিসেবে তারা জানান, আগে এই উপজেলায় ইরি চাষের প্রচলন ছিলনা। মোটা ধান যেমন রাজাশাইল, কাজলশাইল, সাদামোটা, কালাকোড়া ধানের চাষাবাদ করতো কৃষকরা। কীটনাশকেরও প্রয়োজন ছিলনা তেমন। ইরি চাষের সাথে সাথে বেরে যায় সার ও কীটনাশকের ব্যবহার। বর্তমানে এমন পর্যায়ে পৌছে গেছে যে মাটির নিচে থাকা বাইন মাছ,কুচে, কাঁকড়া, জোঁক এমন কি সাপও রেহাই পাচ্ছেনা বিষক্রিয়া থেকে। এছাড়াও যত্রতত্র ব্যবহার হচ্ছে ছোট ফাসের রিং বা চাই জাল। ছোট মাছ ধরা পরে এই জালে। কিছু অসাধু জেলেরা এই জাল দিয়ে ধ্বংস করছে এলাকার মৎস্য সম্পদ। এই জাল নিষিদ্ধ এবং কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী সার ও কীটনাশক ব্যবহার করার দাবী উপজেলাবাসীর।
রাঙ্গাবালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ফসলি জমিতে রাসায়নিক ও কীটনাশক মিশ্রিত খাবার খেয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হতে চলছে। এইসব মাছ রক্ষায় আমরা বিভিন্ন সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছি।
কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বেশি উৎপাদনের জন্য রাসায়নিক ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে দেশীয় মাছের ক্ষতি হয়। তবে আমরা মাঠ পর্যায়ে ফসলি জমিতে গাছের ডাল পুতে রাতে আলোক ফাঁদ তৈরী এবং নিম পাতা ও মিহিগীনি ফল বেটে এক সঙ্গে ফসলি জমিতে দেয়ার পরামর্শ দেই এবং কৃষকদের জৈব সারের দিকে এগুনোর পরামর্শ দিচ্ছি।
বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
একদিকে কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহার, অন্যদিকে ছোট ফাঁসের রিং (চাই) জালে বিলুপ্তির পথে উপকুলীয় এলাকায় দেশীয় প্রজাতির মাছ। মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও ছোট ফাসের চাই জাল বন্ধ না করলে দু এক বছরের মধ্যে বিলিন হয়ে যাবে খাল বিলসহ জলাবদ্ধ জায়গায় থাকা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
রাঙ্গাবালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে এলাকাবাসীর কাছে জানা গেছে, নদী নালা ঝোরা খাল বিলসহ যে কোন জলাবদ্ধ জায়গা ছিল শিং, মাগুর, কই, টাকি, কোরাল মাছের অভায়রণ্য। ভাদ্র আশ্বিন মাসে প্রচুর পরিমান মাছ পাওয়া যেত এইসব জায়গায়। এখন আর নেই। কারন হিসেবে তারা জানান, আগে এই উপজেলায় ইরি চাষের প্রচলন ছিলনা। মোটা ধান যেমন রাজাশাইল, কাজলশাইল, সাদামোটা, কালাকোড়া ধানের চাষাবাদ করতো কৃষকরা। কীটনাশকেরও প্রয়োজন ছিলনা তেমন। ইরি চাষের সাথে সাথে বেরে যায় সার ও কীটনাশকের ব্যবহার। বর্তমানে এমন পর্যায়ে পৌছে গেছে যে মাটির নিচে থাকা বাইন মাছ,কুচে, কাঁকড়া, জোঁক এমন কি সাপও রেহাই পাচ্ছেনা বিষক্রিয়া থেকে। এছাড়াও যত্রতত্র ব্যবহার হচ্ছে ছোট ফাসের রিং বা চাই জাল। ছোট মাছ ধরা পরে এই জালে। কিছু অসাধু জেলেরা এই জাল দিয়ে ধ্বংস করছে এলাকার মৎস্য সম্পদ। এই জাল নিষিদ্ধ এবং কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী সার ও কীটনাশক ব্যবহার করার দাবী উপজেলাবাসীর।
রাঙ্গাবালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ফসলি জমিতে রাসায়নিক ও কীটনাশক মিশ্রিত খাবার খেয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হতে চলছে। এইসব মাছ রক্ষায় আমরা বিভিন্ন সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছি।
কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বেশি উৎপাদনের জন্য রাসায়নিক ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে দেশীয় মাছের ক্ষতি হয়। তবে আমরা মাঠ পর্যায়ে ফসলি জমিতে গাছের ডাল পুতে রাতে আলোক ফাঁদ তৈরী এবং নিম পাতা ও মিহিগীনি ফল বেটে এক সঙ্গে ফসলি জমিতে দেয়ার পরামর্শ দেই এবং কৃষকদের জৈব সারের দিকে এগুনোর পরামর্শ দিচ্ছি।