সিরাজগঞ্জ : শ্যালো মেশিন দিয়ে জমি পানি দেয়া হচ্ছে -সংবাদ
সিরাজগঞ্জের রোপা আমন ধান চাষে ব্যাস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। এ চাষে সব এলাকাতেই সেচ মেশিনে জমিতে পানি দেওয়া হচ্ছে। এ জেলার কৃষকরা জমিতে সেচের খরচ বাবদ টাকার পরিবর্তে ফসলের ভাগ দিতে আগ্রহী। কেননা ইরি মৌসুমে কৃষকদের হাতে নগদ টাকা থাকেনা। তারা ধার দেনা করে কোন মতে জমি চাষ করে। তার উপর জমিতে সেচ বাবদ নগদ টাকা দেয়া মরার উপর খরার ঘার মত হয়।
সেচ মেশিন মালিকেরা জমিতে পানি সেচ বাবদ ধানের সিকি ভাগ বা চার ভাগের এক ভাগ নেবেন চুক্তি করে নিয়েছেন বলে কৃষক ও সেচ মালিকেরা জানান।
জেলা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে, এবারের মৌসুমে জেলায় মোট ৭৫ হাজার হেক্টর পরিমাণ জমিতে রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এখনো অনেক মাঠে কৃষকরা রোপা আমন ধানের চারা লাগাচ্ছেন বলে জানা গেছে। জেলার উল্লাপাড়া, তাড়াশ, রায়গঞ্জ উপজেলায় বেশি জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করা হচ্ছে। কৃষকরা বেশি হারে ফলন মেলে এমন সব জাতের চারা জমিতে লাগিয়েছেন। কোন কোন এলাকায় বেশিরভাগ মাঠে আগাম জাতের রোপা আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। এখন সেসব জমিতে আগাছা নিড়ানি দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে রোপা আমন জমিতে সেচ মেশিনে পানি সেচ দেওয়া হচ্ছে। এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে জানা গেছে, সেচনির্ভর রোপা আমন জমিতে পানি কম লাগে। একবার বৃষ্টি হলে দিন সাতেক জমিতে পানির দরকার হয় না। সেচ মেশিন মালিকেরা রোপা আমন ধানের জমিতে পানি সেচ বাবদ ফসলের সিকি ভাগ বা চার ভাগের এক ভাগ নেবেন বলে মৌখিক চুক্তি করে পানি সেচ দিচ্ছেন।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার দিঘলকান্দি গ্রামের কৃষক মনজুর রহমান জানান, রোপা আমন ধানের জমিতে কয়েকটি অগভীর সেচ মেশিনে চাহিদামতো পানি সেচ দেওয়া হচ্ছে। পানি সেচের খরচ বাবদ আমরা ফসলের চারভাগের একভাগ মেশিন মালিককে দেই। এতে আমাদের নগদ টাকা দিতে হয়না। ফসল কেটে তারপর সেচের দাম পরিশোধ করি।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বেলুটিয়া গ্রামের সেচ মেশিন মালিক হরমুজ আলী বলেন, তার সেচ মেশিনে প্রায় ১শ বিঘা জমিতে পানি সেচ দেওয়া হচ্ছে। তিনি জমির ফসলের চার ভাগের এক ভাগ নেবেন চুক্তিতে সেচ দিচ্ছেন বলে জানান। তিনি আরও জানান, অনেকে বলে পানির ভাগ চার ভাগের এক ভাগ নেয়ায় কৃষক ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। এ প্রসংঙ্গে তিনি বলেন আমরা সারা মৌসুম জমিতে পানি দেই। কিন্তুভাগ দেয়ার সময় আমাদের জন্য নিম্ন ফলনের যে ফসল সেটিই রেখে যায় কৃষকরা। এছাড়া কোন কারণে জমির ফসল না হলেও আমরা কোন আলাদা খরচ নেইনা। বিদ্যুতের দাম বাড়লে আমাদের ভাগ বাড়েনি।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শর্মিষ্ঠা সের গুপ্ত জানান, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সেচের বিনিময়ে কৃষকদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। যে কারণে আমরা সেচের বিনিময়ে কৃষকদের নগদ টাকা দেয়ার কথা বলি।
সিরাজগঞ্জ : শ্যালো মেশিন দিয়ে জমি পানি দেয়া হচ্ছে -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সিরাজগঞ্জের রোপা আমন ধান চাষে ব্যাস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। এ চাষে সব এলাকাতেই সেচ মেশিনে জমিতে পানি দেওয়া হচ্ছে। এ জেলার কৃষকরা জমিতে সেচের খরচ বাবদ টাকার পরিবর্তে ফসলের ভাগ দিতে আগ্রহী। কেননা ইরি মৌসুমে কৃষকদের হাতে নগদ টাকা থাকেনা। তারা ধার দেনা করে কোন মতে জমি চাষ করে। তার উপর জমিতে সেচ বাবদ নগদ টাকা দেয়া মরার উপর খরার ঘার মত হয়।
সেচ মেশিন মালিকেরা জমিতে পানি সেচ বাবদ ধানের সিকি ভাগ বা চার ভাগের এক ভাগ নেবেন চুক্তি করে নিয়েছেন বলে কৃষক ও সেচ মালিকেরা জানান।
জেলা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে, এবারের মৌসুমে জেলায় মোট ৭৫ হাজার হেক্টর পরিমাণ জমিতে রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এখনো অনেক মাঠে কৃষকরা রোপা আমন ধানের চারা লাগাচ্ছেন বলে জানা গেছে। জেলার উল্লাপাড়া, তাড়াশ, রায়গঞ্জ উপজেলায় বেশি জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করা হচ্ছে। কৃষকরা বেশি হারে ফলন মেলে এমন সব জাতের চারা জমিতে লাগিয়েছেন। কোন কোন এলাকায় বেশিরভাগ মাঠে আগাম জাতের রোপা আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। এখন সেসব জমিতে আগাছা নিড়ানি দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে রোপা আমন জমিতে সেচ মেশিনে পানি সেচ দেওয়া হচ্ছে। এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে জানা গেছে, সেচনির্ভর রোপা আমন জমিতে পানি কম লাগে। একবার বৃষ্টি হলে দিন সাতেক জমিতে পানির দরকার হয় না। সেচ মেশিন মালিকেরা রোপা আমন ধানের জমিতে পানি সেচ বাবদ ফসলের সিকি ভাগ বা চার ভাগের এক ভাগ নেবেন বলে মৌখিক চুক্তি করে পানি সেচ দিচ্ছেন।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার দিঘলকান্দি গ্রামের কৃষক মনজুর রহমান জানান, রোপা আমন ধানের জমিতে কয়েকটি অগভীর সেচ মেশিনে চাহিদামতো পানি সেচ দেওয়া হচ্ছে। পানি সেচের খরচ বাবদ আমরা ফসলের চারভাগের একভাগ মেশিন মালিককে দেই। এতে আমাদের নগদ টাকা দিতে হয়না। ফসল কেটে তারপর সেচের দাম পরিশোধ করি।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বেলুটিয়া গ্রামের সেচ মেশিন মালিক হরমুজ আলী বলেন, তার সেচ মেশিনে প্রায় ১শ বিঘা জমিতে পানি সেচ দেওয়া হচ্ছে। তিনি জমির ফসলের চার ভাগের এক ভাগ নেবেন চুক্তিতে সেচ দিচ্ছেন বলে জানান। তিনি আরও জানান, অনেকে বলে পানির ভাগ চার ভাগের এক ভাগ নেয়ায় কৃষক ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। এ প্রসংঙ্গে তিনি বলেন আমরা সারা মৌসুম জমিতে পানি দেই। কিন্তুভাগ দেয়ার সময় আমাদের জন্য নিম্ন ফলনের যে ফসল সেটিই রেখে যায় কৃষকরা। এছাড়া কোন কারণে জমির ফসল না হলেও আমরা কোন আলাদা খরচ নেইনা। বিদ্যুতের দাম বাড়লে আমাদের ভাগ বাড়েনি।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শর্মিষ্ঠা সের গুপ্ত জানান, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সেচের বিনিময়ে কৃষকদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। যে কারণে আমরা সেচের বিনিময়ে কৃষকদের নগদ টাকা দেয়ার কথা বলি।