তার প্রাণহীন দেহখানি পাওয়া গিয়েছিল ২০ বছর আগে। এতদিন ছিলেন অজ্ঞাত।অবশেষে তার পরিচয় মিলেছে।
রাশিয়ান। ৩১ বছর বয়স হয়েছিল তার। নাম লুদমিলা জাভাদা।বৃহস্পতিবার, (২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) তার পরিচয় শনাক্ত হয়েছে আন্তর্জাতিকএক পুলিশ কর্মসূচির বদৌলতে।
ওই কর্মসূচির নাম অপারেশন আইডেন্টিফাই মি। রহস্যজনকভাবে বা অনুদঘাটিত কারণে নিহত নারীদের পরিচয় উদঘাটনের লক্ষ্য নিয়ে ২০২৩ সালে শুরু হয় ওই কর্মসূচি। এই নিয়ে অজ্ঞাত তালিকার তৃতীয় নারীর পরিচয় শনাক্ত হলো এই প্রয়াসের মাধ্যমে।
এই কর্মসূচির প্রধান ইন্টারপোলের সেক্রেটারি জেনারেল ভালদে উরকিজা বলেন, লুদমিলার পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর নিখোঁজ নারীদের পরিবার, স্বজন ও বন্ধুদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার করবে। এবং তা তদন্তকারীদেরও নতুন পথের সন্ধান যোগাবে।
তিনি বলেন, ২০ বছর পর অজ্ঞাত ওই নারী একটি নাম ফিরে পেল।
লুদমিলার মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল ২০০৫ সালের জুলাই মাসে, উত্তর-পূর্ব স্পেনের বার্সেলোনায়।
সে সময় পুলিশ তাকে গোলাপী পরিহিতা হিসেবে নথিভুক্ত করেছিল। উদ্ধারের সময় তার পরিহিত জামা-জুতা সবই ছিল গোলাপী।
স্থানীয় পুলিশরা তার মৃত্যুকে রহস্যজনক হিসেবে উল্লেখ করেছিল। পুলিশ জানিয়েছিল, তাকে অন্তত ১২ ঘন্টা আগে হত্যা করা হয়েছিল।
গত বছর তার কেইসটি ইন্টারপোলের অপারেশন আইডেন্টিফাই মি’র তালিকাভুক্ত করা হয়। পরে ইন্টারপোল তার বিষয়ে তথ্য চেয়ে ‘ব্ল্যাক নোটিশ’ জারি করে। তার আঙুলের ছাপ পাঠানো হয় বিশ্বের অন্যান্য দেশে।
তারপরই তুরস্কের পুলিশ তাদের জাতীয় তথ্যভান্ডার ঘেটে লুদমিলার পরিচয় বের করে।
এখন নতুন করে তার মৃত্যুরহস্য অনুসন্ধান শুরু করবে পুলিশ।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রথম শনাক্ত হয় একজন ব্রিটিশ নারীর পরিচয়। বেলজিয়ামে হত্যা করা হয়েছিল তাকে। পরিবারের সদস্যরা বিবিসির প্রতিবেদনের ছবিতে হাতের ট্যাটু দেখে চিনতে পারে তাকে। তার বয়স ছিল ৩১ বছর। ওয়েলসের। নাম রিটা রবার্টস। তাকে হত্যা করা হয়েছিল ১৯৯২ সালে। নিখোঁজের পর গত কয়েক দশক উৎকণ্ঠায় ছিল তার পরিবার। এই বছরের শুরুতে প্যারাগুয়ের আরেক নারীকে শনাক্ত করে স্প্যানিশ পুলিশ। ৩৩ বছরের ওই নারীর নাম আইনোয়া ইজাগা ইবিয়েতা লিমা। তার মৃত্যুর কারণও জানা যায়নি।
আন্তর্জাতিক পুলিশ সংগঠনটি বিভিন্ন দেশের আরও অন্তত ৪৪ জন অজ্ঞাত নারীর পরিচয় অনুসন্ধান করছে, যাদের অধিকাংশকেই হত্যা করা হয়েছে এবং বয়স ১৫-৩০ বছরের মধ্যে।
ইন্টারপোল বলছে, বৈশ্বিক অভিবাসন ও মানব পাচারের কারণে বহু মানুষ এভাবে নিখোঁজ হচ্ছে। একই কারণে তাদের শনাক্ত করা এখন কঠিন হয়ে গেছে।
ইন্টারপোলের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসি আরও লিখেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীরাই পারিবারিক নির্যাতন, যৌন নিপীড়ন ও পাচারসহ লৈঙ্গিক সহিংসতার শিকার হচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
তার প্রাণহীন দেহখানি পাওয়া গিয়েছিল ২০ বছর আগে। এতদিন ছিলেন অজ্ঞাত।অবশেষে তার পরিচয় মিলেছে।
রাশিয়ান। ৩১ বছর বয়স হয়েছিল তার। নাম লুদমিলা জাভাদা।বৃহস্পতিবার, (২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) তার পরিচয় শনাক্ত হয়েছে আন্তর্জাতিকএক পুলিশ কর্মসূচির বদৌলতে।
ওই কর্মসূচির নাম অপারেশন আইডেন্টিফাই মি। রহস্যজনকভাবে বা অনুদঘাটিত কারণে নিহত নারীদের পরিচয় উদঘাটনের লক্ষ্য নিয়ে ২০২৩ সালে শুরু হয় ওই কর্মসূচি। এই নিয়ে অজ্ঞাত তালিকার তৃতীয় নারীর পরিচয় শনাক্ত হলো এই প্রয়াসের মাধ্যমে।
এই কর্মসূচির প্রধান ইন্টারপোলের সেক্রেটারি জেনারেল ভালদে উরকিজা বলেন, লুদমিলার পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর নিখোঁজ নারীদের পরিবার, স্বজন ও বন্ধুদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার করবে। এবং তা তদন্তকারীদেরও নতুন পথের সন্ধান যোগাবে।
তিনি বলেন, ২০ বছর পর অজ্ঞাত ওই নারী একটি নাম ফিরে পেল।
লুদমিলার মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল ২০০৫ সালের জুলাই মাসে, উত্তর-পূর্ব স্পেনের বার্সেলোনায়।
সে সময় পুলিশ তাকে গোলাপী পরিহিতা হিসেবে নথিভুক্ত করেছিল। উদ্ধারের সময় তার পরিহিত জামা-জুতা সবই ছিল গোলাপী।
স্থানীয় পুলিশরা তার মৃত্যুকে রহস্যজনক হিসেবে উল্লেখ করেছিল। পুলিশ জানিয়েছিল, তাকে অন্তত ১২ ঘন্টা আগে হত্যা করা হয়েছিল।
গত বছর তার কেইসটি ইন্টারপোলের অপারেশন আইডেন্টিফাই মি’র তালিকাভুক্ত করা হয়। পরে ইন্টারপোল তার বিষয়ে তথ্য চেয়ে ‘ব্ল্যাক নোটিশ’ জারি করে। তার আঙুলের ছাপ পাঠানো হয় বিশ্বের অন্যান্য দেশে।
তারপরই তুরস্কের পুলিশ তাদের জাতীয় তথ্যভান্ডার ঘেটে লুদমিলার পরিচয় বের করে।
এখন নতুন করে তার মৃত্যুরহস্য অনুসন্ধান শুরু করবে পুলিশ।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রথম শনাক্ত হয় একজন ব্রিটিশ নারীর পরিচয়। বেলজিয়ামে হত্যা করা হয়েছিল তাকে। পরিবারের সদস্যরা বিবিসির প্রতিবেদনের ছবিতে হাতের ট্যাটু দেখে চিনতে পারে তাকে। তার বয়স ছিল ৩১ বছর। ওয়েলসের। নাম রিটা রবার্টস। তাকে হত্যা করা হয়েছিল ১৯৯২ সালে। নিখোঁজের পর গত কয়েক দশক উৎকণ্ঠায় ছিল তার পরিবার। এই বছরের শুরুতে প্যারাগুয়ের আরেক নারীকে শনাক্ত করে স্প্যানিশ পুলিশ। ৩৩ বছরের ওই নারীর নাম আইনোয়া ইজাগা ইবিয়েতা লিমা। তার মৃত্যুর কারণও জানা যায়নি।
আন্তর্জাতিক পুলিশ সংগঠনটি বিভিন্ন দেশের আরও অন্তত ৪৪ জন অজ্ঞাত নারীর পরিচয় অনুসন্ধান করছে, যাদের অধিকাংশকেই হত্যা করা হয়েছে এবং বয়স ১৫-৩০ বছরের মধ্যে।
ইন্টারপোল বলছে, বৈশ্বিক অভিবাসন ও মানব পাচারের কারণে বহু মানুষ এভাবে নিখোঁজ হচ্ছে। একই কারণে তাদের শনাক্ত করা এখন কঠিন হয়ে গেছে।
ইন্টারপোলের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসি আরও লিখেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীরাই পারিবারিক নির্যাতন, যৌন নিপীড়ন ও পাচারসহ লৈঙ্গিক সহিংসতার শিকার হচ্ছেন।