হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের দাঁতমন্ডল গ্রামের একটি বাড়ি -সংবাদ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের দাঁতমন্ডল গ্রামে খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়িতে লুটপাট ও ভাঙচুর হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে এবং পাল্টা হামলার ভয়ে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে পুরো এলাকা। নারী ও শিশুদের নিয়ে গ্রাম ছেড়েছে অনেক পরিবার।
ভয়ে পুরুষশূন্য পুরো এলাকা, বলছেন হামলার শিকার পরিবারগুলো
আমরা লাশ নিয়ে দৌড়াদৌড়িতে ছিলাম। কারা লুটপাট, ভাঙচুর করেছে জানি না: বলছেন অভিযুক্তরা
জানা যায়, ঢাকা ব্যাগ কারখানায় বাক-বিতণ্ডার জেরে গতকাল বুধবার সালিশ চলাকালে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায় এবং এ সময় একজন এলাকাবাসী জানায়, নাসিরনগর সদরের দাঁতমন্ডল গ্রামে মহিদ আলীর ছেলে সুজন মিয়া ও লাফিলুদ্দিনের ছেলে শাকিল ঢাকা ব্যাগ কারখানায় কাজ করেন। সেখানে বাক-বিতণ্ডার জেরে মারামারি হয়। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার তাদের গ্রামের বাড়িতে সালিশ বসে। ওই সময় উভয়পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে দুইপক্ষই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমির আলী (৪০) নামে এক যুবক আহত হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমীর আলীকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনার পর থেকেই পুরো গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘরে শুরু হয় হামলা, ভাঙচুর।
সরজমিনে দেখা যায়, গ্রামের পথে পথে ছড়িয়ে আছে ভাঙা কাঁচ, ঘরের টিনের বেড়া কাটা ও ভাঙা। লণ্ডভণ্ড আসবাবপত্র।
প্রতিপক্ষের লোকজনের দাবি, নিহত আমীর আলীর পরিবারের লোকজনের নেতৃত্বে দফায় দফায় তাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট করা হয়েছে। তাদের লোকজন ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারছে না। হত্যাকাণ্ডের পর কয়েক দফায় তাদের ১০টি বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে।
দাঁতমন্ডল গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে সুলতানা আক্তার বলেন, আমির আলী নিহত হওয়ার পর তার আত্মীয়দের নেতৃত্বে আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, ৮টি গরু, ৪টি ছাগলসহ দুই লাখ টাকা নিয়ে গেছে। এখনও হুমকি দিচ্ছে, আমরা আতঙ্কে আছি, বাড়ি-ঘরে থাকতে পারতেছি না।
ভাঙচুর, লুটপাট ও হুমকির বিষয়ে নিহত আমির আলীর চাচাতো ভাই সুজন বলেন, আমরা লাশ নিয়ে দৌড়াদৌড়িতে ছিলাম। কে বা কারা লুটপাট ভাঙচুর করেছে তা আমরা জানি না।
নাসিরনগর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা তানভির আহমদ বলেন, দাঁতমন্ডল গ্রামে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষের অতি উৎসাহী কিছু লোক প্রতিপক্ষের ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট করেছে। আমরা ঘটনাস্থলে আসার পর পরিবেশ স্বাভাবিক হয়।
ভাঙচুর ও লুটপাটের বিষয়ে অভিযোগ দিলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের দাঁতমন্ডল গ্রামের একটি বাড়ি -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের দাঁতমন্ডল গ্রামে খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়িতে লুটপাট ও ভাঙচুর হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে এবং পাল্টা হামলার ভয়ে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে পুরো এলাকা। নারী ও শিশুদের নিয়ে গ্রাম ছেড়েছে অনেক পরিবার।
ভয়ে পুরুষশূন্য পুরো এলাকা, বলছেন হামলার শিকার পরিবারগুলো
আমরা লাশ নিয়ে দৌড়াদৌড়িতে ছিলাম। কারা লুটপাট, ভাঙচুর করেছে জানি না: বলছেন অভিযুক্তরা
জানা যায়, ঢাকা ব্যাগ কারখানায় বাক-বিতণ্ডার জেরে গতকাল বুধবার সালিশ চলাকালে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায় এবং এ সময় একজন এলাকাবাসী জানায়, নাসিরনগর সদরের দাঁতমন্ডল গ্রামে মহিদ আলীর ছেলে সুজন মিয়া ও লাফিলুদ্দিনের ছেলে শাকিল ঢাকা ব্যাগ কারখানায় কাজ করেন। সেখানে বাক-বিতণ্ডার জেরে মারামারি হয়। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার তাদের গ্রামের বাড়িতে সালিশ বসে। ওই সময় উভয়পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে দুইপক্ষই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমির আলী (৪০) নামে এক যুবক আহত হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমীর আলীকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনার পর থেকেই পুরো গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘরে শুরু হয় হামলা, ভাঙচুর।
সরজমিনে দেখা যায়, গ্রামের পথে পথে ছড়িয়ে আছে ভাঙা কাঁচ, ঘরের টিনের বেড়া কাটা ও ভাঙা। লণ্ডভণ্ড আসবাবপত্র।
প্রতিপক্ষের লোকজনের দাবি, নিহত আমীর আলীর পরিবারের লোকজনের নেতৃত্বে দফায় দফায় তাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট করা হয়েছে। তাদের লোকজন ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারছে না। হত্যাকাণ্ডের পর কয়েক দফায় তাদের ১০টি বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে।
দাঁতমন্ডল গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে সুলতানা আক্তার বলেন, আমির আলী নিহত হওয়ার পর তার আত্মীয়দের নেতৃত্বে আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, ৮টি গরু, ৪টি ছাগলসহ দুই লাখ টাকা নিয়ে গেছে। এখনও হুমকি দিচ্ছে, আমরা আতঙ্কে আছি, বাড়ি-ঘরে থাকতে পারতেছি না।
ভাঙচুর, লুটপাট ও হুমকির বিষয়ে নিহত আমির আলীর চাচাতো ভাই সুজন বলেন, আমরা লাশ নিয়ে দৌড়াদৌড়িতে ছিলাম। কে বা কারা লুটপাট ভাঙচুর করেছে তা আমরা জানি না।
নাসিরনগর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা তানভির আহমদ বলেন, দাঁতমন্ডল গ্রামে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষের অতি উৎসাহী কিছু লোক প্রতিপক্ষের ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট করেছে। আমরা ঘটনাস্থলে আসার পর পরিবেশ স্বাভাবিক হয়।
ভাঙচুর ও লুটপাটের বিষয়ে অভিযোগ দিলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।