ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
চলনবিলে এবার আগাম ক্ষীরা চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জমিতে ক্ষীরা বীজ রোপন শুরু করেছেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা। জানা যায়, চলনবিলের ৮ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় আগাম ক্ষীরা চাষাবাদের জন্য প্রায় হাজার হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকরা শতাধিক হেক্টর জমিতে খরিপ -২, রেশিও হাইব্রিড জাতের ক্ষীরার বীজ রোপন করেছেন এবং আরো জমি প্রস্তুত করা হচ্ছে। শস্যভান্ডার খ্যাত রায়গঞ্জ, তাড়াশ, উল্লাপাড়া উপজেলাসহ চরাঞ্চলে বেশি ক্ষীরা চাষ হচ্ছে। এছাড়া নদী, খাল, বিল, বাড়ির আঙ্গিনা, পুকুর পাড় ও পরে থাকা ছোট ছোট পতিত জমিতেও ক্ষীরা আবাদ অবিরাম গতিতে চলছে। এসব ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও বাগান ক্ষীরা চাষাবাদে পরিচর্যা করতে দেখা মেলে। চলনবিলের উৎপাদিত ক্ষীরা অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি বাজারে আসবে বলে জানান তারা। তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ এলাকার চাষী আব্দুল হামিদ ও কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে ক্ষীরা আবাদ করেছি। গত মৌসুমের তুলনায় এবার আগাম হাইব্রিড ক্ষীরা আবাদে বেশি মুনাফা পাবো বলে আশা করছি। রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আগাম ক্ষীরা চাষাবাদের জন্য কৃষকদের পরামর্শ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। চলনবিল ঘেঁষা রায়গঞ্জ, তাড়ান ও উল্লাপাড়া উপজেলাসহ চরাঞ্চলে বেশি ক্ষীরা আবাদ হচ্ছে। ইতিমধ্যে ক্ষীরার বীজ রোপন শেষ হয়েছে। পরিচর্যাও চলছে অবিরাম গতিতে। এবারও ক্ষীরার বাম্পার ফলন হবে বলে জানান তিনি। জেলা হর্টিকালচার সেন্টারের সিনিয়র উদ্যান তথ্য বিদ কৃষিবিদ মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, চলনবিল ও চরাঞ্চলে প্রতিবছরই ক্ষীরার ফলন ভালো হয়। এ মাসে ক্ষীরার বীজ রোপন শেষ হবে এবং মাস দেড়েকের মধ্যেই উৎপাদন শুরু হবে। স্থানীয় হাট-বাজারে নতুন ক্ষীরা উঠবে। বাজার ভালো থাকলে ভালো মুনাফা পেয়ে চাষীরা খুশি থাকবে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চলনবিলে এবার আগাম ক্ষীরা চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জমিতে ক্ষীরা বীজ রোপন শুরু করেছেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা। জানা যায়, চলনবিলের ৮ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় আগাম ক্ষীরা চাষাবাদের জন্য প্রায় হাজার হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকরা শতাধিক হেক্টর জমিতে খরিপ -২, রেশিও হাইব্রিড জাতের ক্ষীরার বীজ রোপন করেছেন এবং আরো জমি প্রস্তুত করা হচ্ছে। শস্যভান্ডার খ্যাত রায়গঞ্জ, তাড়াশ, উল্লাপাড়া উপজেলাসহ চরাঞ্চলে বেশি ক্ষীরা চাষ হচ্ছে। এছাড়া নদী, খাল, বিল, বাড়ির আঙ্গিনা, পুকুর পাড় ও পরে থাকা ছোট ছোট পতিত জমিতেও ক্ষীরা আবাদ অবিরাম গতিতে চলছে। এসব ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও বাগান ক্ষীরা চাষাবাদে পরিচর্যা করতে দেখা মেলে। চলনবিলের উৎপাদিত ক্ষীরা অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি বাজারে আসবে বলে জানান তারা। তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ এলাকার চাষী আব্দুল হামিদ ও কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে ক্ষীরা আবাদ করেছি। গত মৌসুমের তুলনায় এবার আগাম হাইব্রিড ক্ষীরা আবাদে বেশি মুনাফা পাবো বলে আশা করছি। রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আগাম ক্ষীরা চাষাবাদের জন্য কৃষকদের পরামর্শ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। চলনবিল ঘেঁষা রায়গঞ্জ, তাড়ান ও উল্লাপাড়া উপজেলাসহ চরাঞ্চলে বেশি ক্ষীরা আবাদ হচ্ছে। ইতিমধ্যে ক্ষীরার বীজ রোপন শেষ হয়েছে। পরিচর্যাও চলছে অবিরাম গতিতে। এবারও ক্ষীরার বাম্পার ফলন হবে বলে জানান তিনি। জেলা হর্টিকালচার সেন্টারের সিনিয়র উদ্যান তথ্য বিদ কৃষিবিদ মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, চলনবিল ও চরাঞ্চলে প্রতিবছরই ক্ষীরার ফলন ভালো হয়। এ মাসে ক্ষীরার বীজ রোপন শেষ হবে এবং মাস দেড়েকের মধ্যেই উৎপাদন শুরু হবে। স্থানীয় হাট-বাজারে নতুন ক্ষীরা উঠবে। বাজার ভালো থাকলে ভালো মুনাফা পেয়ে চাষীরা খুশি থাকবে।