রাজশাহী : ঘোড়া দিয়ে জমিতে মই দিচ্ছেন কৃষক -সংবাদ
একসময় গ্রামের মাঠে গরুর জোয়ালে চাষ করতেন চাষীরা। সেই দৃশ্য ছিলো যেন বাংলার মাটির প্রাণ। কিন্তু সময় বদলেছে, প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে কৃষিও। প্রযুক্তির পাশাপাশি আবারও ফিরে আসছে প্রাণীর ব্যবহার তবে এবার গরু নয়, জায়গা করে নিচ্ছে ঘোড়া!
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘোড়া শুধু গতি ও শক্তির প্রতীক নয়, এটি হতে পারে কৃষিক্ষেত্রে এক নতুন বিপ্লবের বাহক। ঘোড়া সহজলভ্য, যত্নে তুলনামূলকভাবে সহজ, আর তার গতি ও সহনশক্তি দুই-ই চাষাবাদের জন্য দারুণ কার্যকর। সব জায়গায় প্রযুক্তি পৌঁছে না, সব কৃষকের পক্ষে মেশিন কেনা সম্ভব নয়। সেখানে ঘোড়া হতে পারে এক বিশ্বস্ত সহচর। অল্প খরচে, কম যত্নে, দ্রুত ফল। সেই সঙ্গে পরিবেশবান্ধব ও প্রাকৃতিক।
এই নতুন ধারার চাষাবাদ যেন পুরনো দিনের ঘ্রাণ নিয়ে আসে নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। প্রযুক্তি আর প্রাণীর মেলবন্ধনে গড়ে উঠতে পারে এমন এক কৃষি ব্যবস্থা, যেখানে মানুষ, প্রকৃতি আর পশু একসঙ্গে গড়ে তোলে টেকসই ভবিষ্যৎ।
রাজশাহীর তানোরে কৃষিকাজে দেখা যাচ্ছে এক নতুন প্রবণতা গরুর বদলে ঘোড়া দিয়ে চাষাবাদ। আধুনিক যন্ত্রের উচ্চমূল্য ও রক্ষণাবেক্ষণ জটিলতার পাশাপাশি বলদের (গরু) সংকট থাকায় কৃষকরা এখন বিকল্প হিসেবে ঘোড়াকে বেছে নিচ্ছেন। এদিকে ঘোড়া দিয়ে মই চাষের সুফল পাওয়ায় ধীরে ধীরে তা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, তানোরের তালন্দ ইউনিয়নের (ইউপি) কৃষক নাসির উদ্দীন প্রথম বারের মতো ঘোড়া দিয়ে জমিতে মই চাষ করেছেন। এ খবর জানাজানি হলে এলাকাবাসির মাঝে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। কৃষক নাসির উদ্দিন জানান, বলদ (গরু) না পাওয়ায় ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করার পর, ঘোড়া দিয়ে মই চাষ করেছেন। তিনি বলেন, এর সুফল দেখে আশপাশের কৃষকরাও ঘোড়া ব্যবহার করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। নাসির আরো বলেন, মাত্র এক ঘণ্টায় দুই বিঘা জমিতে মই চাষ করে ৪০০ টাকা আয় করেছি। এখন প্রতিদিন সাত-আট বিঘা জমিতে কাজ করছি ঘোড়া দিয়ে।
স্থানীয় কৃষকরাও একমত যে, গরুর তুলনায় ঘোড়া সাশ্রয়ী ও সহজে রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য। যেখানে ট্রাক্টর কেনায় লাগে লাখ টাকা, সেখানে ২০-৪০ হাজার টাকায় একটি প্রশিক্ষিত ঘোড়া দিয়ে চাষাবাদ সম্ভব। এবিষয়ে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমদ জানান, বর্তমানে যান্ত্রিক চাষ জনপ্রিয় হলেও গরুর হালের চাহিদা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এই অবস্থায় ঘোড়া দিয়ে মই চাষ এক কার্যকর বিকল্প। এতে কৃষকদের খরচও কমবে। এক সময় প্রতিটি কৃষক পরিবারেই গরু-মহিষ ও লাঙল থাকলেও এখন সময় বদলেছে। তবে প্রযুক্তির পাশাপাশি ঘোড়ার মতো সহজলভ্য ও কার্যকর প্রাণী কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করছে এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজশাহী : ঘোড়া দিয়ে জমিতে মই দিচ্ছেন কৃষক -সংবাদ
শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
একসময় গ্রামের মাঠে গরুর জোয়ালে চাষ করতেন চাষীরা। সেই দৃশ্য ছিলো যেন বাংলার মাটির প্রাণ। কিন্তু সময় বদলেছে, প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে কৃষিও। প্রযুক্তির পাশাপাশি আবারও ফিরে আসছে প্রাণীর ব্যবহার তবে এবার গরু নয়, জায়গা করে নিচ্ছে ঘোড়া!
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘোড়া শুধু গতি ও শক্তির প্রতীক নয়, এটি হতে পারে কৃষিক্ষেত্রে এক নতুন বিপ্লবের বাহক। ঘোড়া সহজলভ্য, যত্নে তুলনামূলকভাবে সহজ, আর তার গতি ও সহনশক্তি দুই-ই চাষাবাদের জন্য দারুণ কার্যকর। সব জায়গায় প্রযুক্তি পৌঁছে না, সব কৃষকের পক্ষে মেশিন কেনা সম্ভব নয়। সেখানে ঘোড়া হতে পারে এক বিশ্বস্ত সহচর। অল্প খরচে, কম যত্নে, দ্রুত ফল। সেই সঙ্গে পরিবেশবান্ধব ও প্রাকৃতিক।
এই নতুন ধারার চাষাবাদ যেন পুরনো দিনের ঘ্রাণ নিয়ে আসে নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। প্রযুক্তি আর প্রাণীর মেলবন্ধনে গড়ে উঠতে পারে এমন এক কৃষি ব্যবস্থা, যেখানে মানুষ, প্রকৃতি আর পশু একসঙ্গে গড়ে তোলে টেকসই ভবিষ্যৎ।
রাজশাহীর তানোরে কৃষিকাজে দেখা যাচ্ছে এক নতুন প্রবণতা গরুর বদলে ঘোড়া দিয়ে চাষাবাদ। আধুনিক যন্ত্রের উচ্চমূল্য ও রক্ষণাবেক্ষণ জটিলতার পাশাপাশি বলদের (গরু) সংকট থাকায় কৃষকরা এখন বিকল্প হিসেবে ঘোড়াকে বেছে নিচ্ছেন। এদিকে ঘোড়া দিয়ে মই চাষের সুফল পাওয়ায় ধীরে ধীরে তা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, তানোরের তালন্দ ইউনিয়নের (ইউপি) কৃষক নাসির উদ্দীন প্রথম বারের মতো ঘোড়া দিয়ে জমিতে মই চাষ করেছেন। এ খবর জানাজানি হলে এলাকাবাসির মাঝে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। কৃষক নাসির উদ্দিন জানান, বলদ (গরু) না পাওয়ায় ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করার পর, ঘোড়া দিয়ে মই চাষ করেছেন। তিনি বলেন, এর সুফল দেখে আশপাশের কৃষকরাও ঘোড়া ব্যবহার করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। নাসির আরো বলেন, মাত্র এক ঘণ্টায় দুই বিঘা জমিতে মই চাষ করে ৪০০ টাকা আয় করেছি। এখন প্রতিদিন সাত-আট বিঘা জমিতে কাজ করছি ঘোড়া দিয়ে।
স্থানীয় কৃষকরাও একমত যে, গরুর তুলনায় ঘোড়া সাশ্রয়ী ও সহজে রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য। যেখানে ট্রাক্টর কেনায় লাগে লাখ টাকা, সেখানে ২০-৪০ হাজার টাকায় একটি প্রশিক্ষিত ঘোড়া দিয়ে চাষাবাদ সম্ভব। এবিষয়ে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমদ জানান, বর্তমানে যান্ত্রিক চাষ জনপ্রিয় হলেও গরুর হালের চাহিদা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এই অবস্থায় ঘোড়া দিয়ে মই চাষ এক কার্যকর বিকল্প। এতে কৃষকদের খরচও কমবে। এক সময় প্রতিটি কৃষক পরিবারেই গরু-মহিষ ও লাঙল থাকলেও এখন সময় বদলেছে। তবে প্রযুক্তির পাশাপাশি ঘোড়ার মতো সহজলভ্য ও কার্যকর প্রাণী কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করছে এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।