ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
পিরোজপুর সদর উপজেলার সিকদারমল্লিক ইউনিয়নের জুজখোলা বহুমুখী সম্মিলিত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপুল মিত্রকে (৫২) হাতুড়িপেটা করে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তাঁর দুই পা ও একটি হাত ভেঙে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের নাজিরপুর-পিরোজপুর মহাসড়কের ঝরঝরিয়াতলা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানাযায়, প্রধান শিক্ষক বিপুল মিত্র বিদ্যালয় ছুটির পরে সহকারী শিক্ষক অসীম কুমারের সঙ্গে মোটরসাইকেলে পিরোজপুর শহরে ফিরছিলেন। পথে ৭-৮ জন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে এসে তাঁদের পথরোধ করে। একপর্যায়ে বিপুল মিত্রকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয় এবং হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তাঁর দুই পা ও একটি হাত ভেঙে দেওয়া হয়। সহকারী শিক্ষক অসীম কুমারকেও পিটিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে বিপুল মিত্রকে ঢাকার ন্যাশনাল অর্থোপেডিক হাসপাতাল (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়।
পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রঞ্জন কুমার বলেন, বিপুল মিত্র নামে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর দুই পা ও একটি হাত ভাঙা। এ ঘটনার পর রাজনৈতিক অভ্যন্তরীণ কোন্দলের তথ্য সামনে এসেছে। জানা যায়, সম্প্রতি গঠিত জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। প্রধান শিক্ষক বিপুল মিত্র ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এলিজা জামানের সমর্থক। অপর গ্রুপ সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সরদার কামরুজ্জামান চানের অনুসারীরা এ হামলায় জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা বিএনপির নেতা এলিজা জামান বলেন, বিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে প্রধান শিক্ষক শহরে ফিরছিলেন। পথেই দুর্বৃত্তরা তাঁর ওপর হামলা চালায়। এটা রাজনৈতিক বিরোধ থেকেই ঘটেছে।
অন্যদিকে, জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, ঘটনার আগে কামরুজ্জামান চান তাঁর দলবল নিয়ে জেলা কার্যালয়ে বৈঠক করেন এবং বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ নিয়ে বিরোধ প্রকাশ করেন।
পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, একজন শিক্ষককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল।এ ঘটনায় সরদার কামরুজ্জামান চানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পিরোজপুর সদর উপজেলার সিকদারমল্লিক ইউনিয়নের জুজখোলা বহুমুখী সম্মিলিত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপুল মিত্রকে (৫২) হাতুড়িপেটা করে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তাঁর দুই পা ও একটি হাত ভেঙে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের নাজিরপুর-পিরোজপুর মহাসড়কের ঝরঝরিয়াতলা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানাযায়, প্রধান শিক্ষক বিপুল মিত্র বিদ্যালয় ছুটির পরে সহকারী শিক্ষক অসীম কুমারের সঙ্গে মোটরসাইকেলে পিরোজপুর শহরে ফিরছিলেন। পথে ৭-৮ জন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে এসে তাঁদের পথরোধ করে। একপর্যায়ে বিপুল মিত্রকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয় এবং হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তাঁর দুই পা ও একটি হাত ভেঙে দেওয়া হয়। সহকারী শিক্ষক অসীম কুমারকেও পিটিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে বিপুল মিত্রকে ঢাকার ন্যাশনাল অর্থোপেডিক হাসপাতাল (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়।
পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রঞ্জন কুমার বলেন, বিপুল মিত্র নামে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর দুই পা ও একটি হাত ভাঙা। এ ঘটনার পর রাজনৈতিক অভ্যন্তরীণ কোন্দলের তথ্য সামনে এসেছে। জানা যায়, সম্প্রতি গঠিত জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। প্রধান শিক্ষক বিপুল মিত্র ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এলিজা জামানের সমর্থক। অপর গ্রুপ সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সরদার কামরুজ্জামান চানের অনুসারীরা এ হামলায় জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা বিএনপির নেতা এলিজা জামান বলেন, বিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে প্রধান শিক্ষক শহরে ফিরছিলেন। পথেই দুর্বৃত্তরা তাঁর ওপর হামলা চালায়। এটা রাজনৈতিক বিরোধ থেকেই ঘটেছে।
অন্যদিকে, জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, ঘটনার আগে কামরুজ্জামান চান তাঁর দলবল নিয়ে জেলা কার্যালয়ে বৈঠক করেন এবং বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ নিয়ে বিরোধ প্রকাশ করেন।
পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, একজন শিক্ষককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল।এ ঘটনায় সরদার কামরুজ্জামান চানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।