মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) : কাঠালতলীর ২০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতাল -সংবাদ
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের কাঠালতলীর ২০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। এতে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে রোগীদের যেতে হয় ১৫ কিলোমিটার দূরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অথবা পার্শ্ববর্তী জেলা-উপজেলার কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিকে। হাসপাতালটির বেহাল দশাতে ওই ইউনিয়ন ছাড়াও পাশাপাশি তিনটি ইউনিয়নের রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা থেকে।
জানা যায়, হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ডাক্তার ও নার্সসহ মোট ২৩ জন স্টাফ থাকার কথা থাকলেও, বর্তমানে আছে একজন চিকিৎসক, একজন হেড ক্লার ও একজন নার্স দিয়ে কোনমতে রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। ফলে জনবল সংকটের কারণে রোগীদের ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা দিতে পারছেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মুমূর্ষু রোগীদের আনা-নেওয়ার জন্য নেই কোনো এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘ বছর যাবৎ হাসপাতালটির কোন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ না হওয়াতে বাহির থেকে পরিত্যক্ত ভুতুড়ে বাড়ির মতো দেখাচ্ছে। হাসপাতালটির ভিতরের পরিবেশ আরো খারাপ । রোগী থাকার বেডগুলো মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে, বিছানাপত্র খুবই নোংরা অবস্থায় পড়ে আছে। চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো ময়লা ও ধুলোবালিতে মেখে একাকার হয়ে গেছে। চতুর্দিকের দেয়ালে ও ছাদে নোংরা দাগ ও মাকড়শার বাসা। দরজা জানালার অবস্থাও খুবই নাজুক, তার ভিতর বেশিরভাগ দরজা জানালাই তালাবদ্ধ অবস্থায় আছে। ফ্লোরে ধুলোবালি ও ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
বাথরুমগুলো খুবই নোংরা এবং দুর্গন্ধযুক্ত। নেই কোনো রোগী ও সাধারণ মানুষের আনাগোনা। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত কুমার সাহার সাথে মুঠোফোনে বলেন, ওই হাসপাতালের সার্বিক বিষয় আমি তেমন একটা অবগত নই। হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তার সাথে কথা বলুন, তিনি সার্বিক বিষয় জানাবেন।
পরিসংখ্যান কর্মকর্তা বলেন, হাসপাতালটির অবস্থা খুবই নাজুক। জানতে পেরে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন এটি পরিদর্শন করে সংষ্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। আশা করি খুব দ্রুতই এর সংস্কার কাজ শুরু হবে।
মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) : কাঠালতলীর ২০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতাল -সংবাদ
শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের কাঠালতলীর ২০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। এতে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে রোগীদের যেতে হয় ১৫ কিলোমিটার দূরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অথবা পার্শ্ববর্তী জেলা-উপজেলার কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিকে। হাসপাতালটির বেহাল দশাতে ওই ইউনিয়ন ছাড়াও পাশাপাশি তিনটি ইউনিয়নের রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা থেকে।
জানা যায়, হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ডাক্তার ও নার্সসহ মোট ২৩ জন স্টাফ থাকার কথা থাকলেও, বর্তমানে আছে একজন চিকিৎসক, একজন হেড ক্লার ও একজন নার্স দিয়ে কোনমতে রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। ফলে জনবল সংকটের কারণে রোগীদের ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা দিতে পারছেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মুমূর্ষু রোগীদের আনা-নেওয়ার জন্য নেই কোনো এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘ বছর যাবৎ হাসপাতালটির কোন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ না হওয়াতে বাহির থেকে পরিত্যক্ত ভুতুড়ে বাড়ির মতো দেখাচ্ছে। হাসপাতালটির ভিতরের পরিবেশ আরো খারাপ । রোগী থাকার বেডগুলো মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে, বিছানাপত্র খুবই নোংরা অবস্থায় পড়ে আছে। চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো ময়লা ও ধুলোবালিতে মেখে একাকার হয়ে গেছে। চতুর্দিকের দেয়ালে ও ছাদে নোংরা দাগ ও মাকড়শার বাসা। দরজা জানালার অবস্থাও খুবই নাজুক, তার ভিতর বেশিরভাগ দরজা জানালাই তালাবদ্ধ অবস্থায় আছে। ফ্লোরে ধুলোবালি ও ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
বাথরুমগুলো খুবই নোংরা এবং দুর্গন্ধযুক্ত। নেই কোনো রোগী ও সাধারণ মানুষের আনাগোনা। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত কুমার সাহার সাথে মুঠোফোনে বলেন, ওই হাসপাতালের সার্বিক বিষয় আমি তেমন একটা অবগত নই। হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তার সাথে কথা বলুন, তিনি সার্বিক বিষয় জানাবেন।
পরিসংখ্যান কর্মকর্তা বলেন, হাসপাতালটির অবস্থা খুবই নাজুক। জানতে পেরে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন এটি পরিদর্শন করে সংষ্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। আশা করি খুব দ্রুতই এর সংস্কার কাজ শুরু হবে।