গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) : ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড উভয় পাশে মূল সড়কের বেশির ভাগ অংশ জুড়ে দখল করে সিএনজি স্ট্যান্ড -সংবাদ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া উপজেলা অংশের ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গা জুড়ে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী দোকান পাট। বাদ যায়নি পথচারী সেতুও। ফলে ওই সেতু পারপারে নারী-শিশু পথচারীদের দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
জানা যায়, ভবেরচর বাসষ্ট্যান্ডের পথচারী দক্ষিণ পাশে সেতুতে আরোহণের সিঁড়ির চারপাশ জুড়ে অবৈধ ব্যাটারী চালিত অটোগাড়ি পার্কিং করে রাখার জন্য বিগত আ’লীগের শাসনামলে গজারিয়া উপজেলা পরিষদের বরাদ্দে সওজ জায়গায় মাটি ভরাট করে দেয়া হয়েছিল। অপরদিকে বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে মহাসড়ক সংলগ্ন মার্কেটের মালিক মিজানুর রহমান সওজের জায়গায় ভাড়ার বিনিময়ে ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের অস্থায়ী দোকান করতে দেয়ায় ফুটপাতে হাটা-চলায় নারী-শিশু পথচারীদের দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
বৈধ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সওজ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের নীরবতায় উপজেলার অন্যতম প্রধান সড়ক (ভবেরচর-রসুলপুর) সড়কটির ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড উভয় পাশে মূল সড়কের বেশীর ভাগ অংশ জুড়ে দখল করে সিএনজি স্ট্যান্ড তৈরি করে রাখার কারণে প্রায়শ বাড়ছে যানজট ও দুর্ঘটনা। সিএনজি স্ট্যান্ড ও যানজটের কারণে অধিকাংশ সময়ে রোগী বহনকারী আ্যাম্বুল্যান্স ও ফায়ার সার্ভিস বাহিনীর গাড়িও আটকে পড়ে সৃষ্ট যানজটে। এতে প্রাণ ও সম্পদ হানির ঝুঁঁকি বাড়ে।
সরজমিন দেখা যায়, ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড থেকে গজারিয়া উপজেলা সদরে যাতায়তের প্রধান সড়কটির বাসস্ট্যান্ডের চৌধুরী সুপার মার্কেট হতে গজারিয়া থানা, ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশের ফাঁড়ি হয়ে আনন্দ মেলা সিনেমা হল মার্কেট পর্যন্ত সড়ক দখল করে গড়ে উঠেছে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ব্যাটারী চালিত রিক্সার অবৈধ স্ট্যান্ড। মূল সড়কের দুই পাশে অধিকাংশ স্হান জুড়ে এলোমেলো দাঁড়িয়ে থাকা এসব যানবাহনের কারণে বাড়ছে যানজট অপচয় হচ্ছে মূল্যবান সময় ও কর্মঘন্টার।
সড়কটি ব্যবহারকারী ভুক্তভোগীদের দাবী, শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কটির ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডে প্রায় ৩০ ফিট প্রসস্থ রাস্তাটির যানবাহনের এলোমেলো পার্কিংয়ের কারণে সংকুচিত রাস্তায় পথচারী, যাত্রী ও যানবহনের স্বাভাবিক চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। অপরদিকে রোড পারমিট ও লাইসেন্সবিহীন ইটা বালুবাহী যন্ত্র দানব ট্রাক্টর, নছিমন ও মাহেদ্রজাতীয় যানবাহনের বেপড়োয়া চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে থাকেন সড়ক-মহাসড়কের চলাচলকারী যাত্রী-সাধারণ।
ওই সড়ক ব্যবহারকারী কয়েককন জানান, সড়কের দুই পাশে এলোমেলো যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকলে মানুষের চলাচল করতে বিশেষ করে নারী ও শিশুদের পথ চলতে অসুবিধা হয়। আব্দুল হান্নান নামে একজন জানান, এই পথে উপজেলা সদর, থানা, হাইওয়ে থানা,ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়,উপজেলা হাসপাতাল, গজারিয়া সরকারি কলেজ, একাধিক হাইস্কুল ও সাবরেজিস্ট্রি অফিসে যেতে হয় আমাদের।
ওই পথে যাত্রী পরিবহনকারী একাধিক সিএনজি চালক জানান, আমাদের পার্কিংয়ের নিদ্দিষ্ট স্থান না থাকায় সড়কের ওপর গাড়ি রাখি।
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) : ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড উভয় পাশে মূল সড়কের বেশির ভাগ অংশ জুড়ে দখল করে সিএনজি স্ট্যান্ড -সংবাদ
শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া উপজেলা অংশের ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গা জুড়ে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী দোকান পাট। বাদ যায়নি পথচারী সেতুও। ফলে ওই সেতু পারপারে নারী-শিশু পথচারীদের দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
জানা যায়, ভবেরচর বাসষ্ট্যান্ডের পথচারী দক্ষিণ পাশে সেতুতে আরোহণের সিঁড়ির চারপাশ জুড়ে অবৈধ ব্যাটারী চালিত অটোগাড়ি পার্কিং করে রাখার জন্য বিগত আ’লীগের শাসনামলে গজারিয়া উপজেলা পরিষদের বরাদ্দে সওজ জায়গায় মাটি ভরাট করে দেয়া হয়েছিল। অপরদিকে বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে মহাসড়ক সংলগ্ন মার্কেটের মালিক মিজানুর রহমান সওজের জায়গায় ভাড়ার বিনিময়ে ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের অস্থায়ী দোকান করতে দেয়ায় ফুটপাতে হাটা-চলায় নারী-শিশু পথচারীদের দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
বৈধ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সওজ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের নীরবতায় উপজেলার অন্যতম প্রধান সড়ক (ভবেরচর-রসুলপুর) সড়কটির ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড উভয় পাশে মূল সড়কের বেশীর ভাগ অংশ জুড়ে দখল করে সিএনজি স্ট্যান্ড তৈরি করে রাখার কারণে প্রায়শ বাড়ছে যানজট ও দুর্ঘটনা। সিএনজি স্ট্যান্ড ও যানজটের কারণে অধিকাংশ সময়ে রোগী বহনকারী আ্যাম্বুল্যান্স ও ফায়ার সার্ভিস বাহিনীর গাড়িও আটকে পড়ে সৃষ্ট যানজটে। এতে প্রাণ ও সম্পদ হানির ঝুঁঁকি বাড়ে।
সরজমিন দেখা যায়, ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড থেকে গজারিয়া উপজেলা সদরে যাতায়তের প্রধান সড়কটির বাসস্ট্যান্ডের চৌধুরী সুপার মার্কেট হতে গজারিয়া থানা, ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশের ফাঁড়ি হয়ে আনন্দ মেলা সিনেমা হল মার্কেট পর্যন্ত সড়ক দখল করে গড়ে উঠেছে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ব্যাটারী চালিত রিক্সার অবৈধ স্ট্যান্ড। মূল সড়কের দুই পাশে অধিকাংশ স্হান জুড়ে এলোমেলো দাঁড়িয়ে থাকা এসব যানবাহনের কারণে বাড়ছে যানজট অপচয় হচ্ছে মূল্যবান সময় ও কর্মঘন্টার।
সড়কটি ব্যবহারকারী ভুক্তভোগীদের দাবী, শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কটির ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডে প্রায় ৩০ ফিট প্রসস্থ রাস্তাটির যানবাহনের এলোমেলো পার্কিংয়ের কারণে সংকুচিত রাস্তায় পথচারী, যাত্রী ও যানবহনের স্বাভাবিক চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। অপরদিকে রোড পারমিট ও লাইসেন্সবিহীন ইটা বালুবাহী যন্ত্র দানব ট্রাক্টর, নছিমন ও মাহেদ্রজাতীয় যানবাহনের বেপড়োয়া চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে থাকেন সড়ক-মহাসড়কের চলাচলকারী যাত্রী-সাধারণ।
ওই সড়ক ব্যবহারকারী কয়েককন জানান, সড়কের দুই পাশে এলোমেলো যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকলে মানুষের চলাচল করতে বিশেষ করে নারী ও শিশুদের পথ চলতে অসুবিধা হয়। আব্দুল হান্নান নামে একজন জানান, এই পথে উপজেলা সদর, থানা, হাইওয়ে থানা,ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়,উপজেলা হাসপাতাল, গজারিয়া সরকারি কলেজ, একাধিক হাইস্কুল ও সাবরেজিস্ট্রি অফিসে যেতে হয় আমাদের।
ওই পথে যাত্রী পরিবহনকারী একাধিক সিএনজি চালক জানান, আমাদের পার্কিংয়ের নিদ্দিষ্ট স্থান না থাকায় সড়কের ওপর গাড়ি রাখি।