কম খরচে অধিক লাভ
রংপুরের বদরগঞ্জে বারি-১ ওল কচু চাষে অনন্য সাফল্য এনেছেন চাষী আমিনুল ইসলাম। মোট খরচের পাঁচ গুণেরও বেশি লাভের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। তার এই সাফল্যে অন্যরাও উদ্বুদ্ধ হবেন বলে আশাবাদ কৃষি অফিসের।
জানা যায়, আমিনুল ইসলামের বাড়ি দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার রামপুরা ইউনিয়নের শিঙ্গিমারী এলাকার ধোধাপাড়ায়। তবে তিনি চাষাবাদ করেন রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের হেলারচক এলাকায়। তার পেশা চাষাবাদ হলেও তিনি অন্যদের থেকে আলাদা। তার নেশা হলো- কৃষির আধুনিক প্রযুক্তি ও নিত্য নতুন ফসলের অনুসন্ধান। একারণে তিনি কৃষি অফিসের পরামর্শে বারি-১ ওল কচুর চাষ করেছেন। যা ওই এলাকায় পুরোপুরি নতুন।
উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে- বারি-১ ওল কচু সাধারণতঃ মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস জুড়ে জমিতে লাগানো যায়। জমিতে লাগানোর ২১০দিন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে জমি থেকে ওল কচু সংগ্রহ করা যায়।
ওল কচুতে তেমন রোগ-বালাই নাহলেও লিফ ব্লাইট বা কাণ্ড পঁচা রোগ অনেক ক্ষেত্রেই চাষীর সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে। একারণে চাষীকে সবসময় সতর্ক থাকতে হয়- যাতে করে এ রোগের আক্রমণ ঘটার সাথে সাথেই প্রতিরোধ করা যায়।
চাষী আমিনুল ইসলাম জানান, ২০ শতক জমির জন্য তিনি বারি-১ ওল কচুর ১৬শ’ কন্দ সংগ্রহ করেন। প্রতিটি কন্দের দাম ধরা হয় ১৬ টাকা করে।
তবে কন্দ সংগ্রহ করতে গিয়ে তার বিলম্ব হওয়ায় রোপণ মওসুমের শেষে তিনি জমিতে ওল কচু লাগান। যার ফলে সংগ্রহ মওসুম শুরু হলেও তার জমির ওল কচু পুরোপুরি পরিপক্ক হয়ে উঠেনি। তারপরও এ অবস্থায় প্রতিটি ওলকচু এক কেজি ওজন ছাড়িয়েছে। চাষী আমিনুল বলেন, বীজ ক্রয়, রোপণ ও পরিচর্যা বাবদ এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। তিনি বলেন, বর্তমানে এক কেজি ওল কচুর দাম ৮০-১০০ টাকা।
সে হিসেবে ১৬শ’ ওল কচুর দাম ১লাখ ২৮ হাজার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা- যা ওল কচু ছাড়া অন্য কোন ফসলই ওই পরিমাণ অর্থ দিতে পারবেনা।
তিনি আরো বলেন, অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আগামি মওসুমে ওল কচুর চাষ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মহেববুল ইসলাম বলেন, চাষী আমিনুল ইসলাম মে মাসে বারি-১ ওল কচু রোপণ করেছেন।
যে কারণে ওল কচু এখনো পরিপক্ক হয়নি। সময়মতো ওল কচু রোপণ করলে এতদিন ওল কচু ক্ষেত থেকে সংগ্রহ করা যেত এবং বাজার মূল্যও বেশি পাওয়া যেত। এর ফলে আমিনুল আরো বেশি লাভবান হতে পারতেন। তারপরও তিনি(আমিনুল) ওল কচু থেকে যে অর্থ আয় করবেন তা’ অন্য কোন ফসল থেকে আয় করা সম্ভব নয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার সেলিনা আফরোজ বলেন, বারি-১ ওল কচু একটি লাভজনক ফসল।
চাষীরা একটু সতর্ক থাকলেই ওল কচু চাষ করে অধিক লাভবান হতে পারবেন। তিনি বলেন, চাষী আমিনুলের কাছ থেকে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হবেন বলে আশা করি।
কম খরচে অধিক লাভ
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রংপুরের বদরগঞ্জে বারি-১ ওল কচু চাষে অনন্য সাফল্য এনেছেন চাষী আমিনুল ইসলাম। মোট খরচের পাঁচ গুণেরও বেশি লাভের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। তার এই সাফল্যে অন্যরাও উদ্বুদ্ধ হবেন বলে আশাবাদ কৃষি অফিসের।
জানা যায়, আমিনুল ইসলামের বাড়ি দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার রামপুরা ইউনিয়নের শিঙ্গিমারী এলাকার ধোধাপাড়ায়। তবে তিনি চাষাবাদ করেন রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের হেলারচক এলাকায়। তার পেশা চাষাবাদ হলেও তিনি অন্যদের থেকে আলাদা। তার নেশা হলো- কৃষির আধুনিক প্রযুক্তি ও নিত্য নতুন ফসলের অনুসন্ধান। একারণে তিনি কৃষি অফিসের পরামর্শে বারি-১ ওল কচুর চাষ করেছেন। যা ওই এলাকায় পুরোপুরি নতুন।
উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে- বারি-১ ওল কচু সাধারণতঃ মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস জুড়ে জমিতে লাগানো যায়। জমিতে লাগানোর ২১০দিন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে জমি থেকে ওল কচু সংগ্রহ করা যায়।
ওল কচুতে তেমন রোগ-বালাই নাহলেও লিফ ব্লাইট বা কাণ্ড পঁচা রোগ অনেক ক্ষেত্রেই চাষীর সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে। একারণে চাষীকে সবসময় সতর্ক থাকতে হয়- যাতে করে এ রোগের আক্রমণ ঘটার সাথে সাথেই প্রতিরোধ করা যায়।
চাষী আমিনুল ইসলাম জানান, ২০ শতক জমির জন্য তিনি বারি-১ ওল কচুর ১৬শ’ কন্দ সংগ্রহ করেন। প্রতিটি কন্দের দাম ধরা হয় ১৬ টাকা করে।
তবে কন্দ সংগ্রহ করতে গিয়ে তার বিলম্ব হওয়ায় রোপণ মওসুমের শেষে তিনি জমিতে ওল কচু লাগান। যার ফলে সংগ্রহ মওসুম শুরু হলেও তার জমির ওল কচু পুরোপুরি পরিপক্ক হয়ে উঠেনি। তারপরও এ অবস্থায় প্রতিটি ওলকচু এক কেজি ওজন ছাড়িয়েছে। চাষী আমিনুল বলেন, বীজ ক্রয়, রোপণ ও পরিচর্যা বাবদ এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। তিনি বলেন, বর্তমানে এক কেজি ওল কচুর দাম ৮০-১০০ টাকা।
সে হিসেবে ১৬শ’ ওল কচুর দাম ১লাখ ২৮ হাজার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা- যা ওল কচু ছাড়া অন্য কোন ফসলই ওই পরিমাণ অর্থ দিতে পারবেনা।
তিনি আরো বলেন, অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আগামি মওসুমে ওল কচুর চাষ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মহেববুল ইসলাম বলেন, চাষী আমিনুল ইসলাম মে মাসে বারি-১ ওল কচু রোপণ করেছেন।
যে কারণে ওল কচু এখনো পরিপক্ক হয়নি। সময়মতো ওল কচু রোপণ করলে এতদিন ওল কচু ক্ষেত থেকে সংগ্রহ করা যেত এবং বাজার মূল্যও বেশি পাওয়া যেত। এর ফলে আমিনুল আরো বেশি লাভবান হতে পারতেন। তারপরও তিনি(আমিনুল) ওল কচু থেকে যে অর্থ আয় করবেন তা’ অন্য কোন ফসল থেকে আয় করা সম্ভব নয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার সেলিনা আফরোজ বলেন, বারি-১ ওল কচু একটি লাভজনক ফসল।
চাষীরা একটু সতর্ক থাকলেই ওল কচু চাষ করে অধিক লাভবান হতে পারবেন। তিনি বলেন, চাষী আমিনুলের কাছ থেকে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হবেন বলে আশা করি।