ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নদী খালবিল প্রাকৃতিক অপার সম্ভাবনায় সমৃদ্ধ ভালুকায় সর্ব প্রথম বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য চাষ শুরু করেন উপজেলার মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের সমভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারে সন্তান আমিন উল্যাহ চৌধুরী সবুজ মিয়া। এক সময়ের খরস্রোতা বনখীরু নদীর পাড়ঘেঁষা ভালুকার ঐতিজ্যবাহী চৌধুরীবাড়ী রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। ভালুকার সাবেক এমএনএ ও এমপি মরহুম আফতাব উদ্দীন চৌধুরীর ছেলে ও ভালুকা আসনের কয়েকবারের সাবেক এমপি, লোকসংস্কৃতির আতুরঘর বুলবুল ললিতকলা একাডেমির সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আমান উল্যাহ চৌধুরীর ছোট ভাই আমিন উল্যাহ চৌধুরী সবুজ ময়মনসিংহ জেলাস্কুল থেকে এস এস সি পাস করেন। ১৯৭৩ সালে ঢাকার সলিমুল্লাহ কলেজ থেকে ডিগ্রী পাশ করে ঠিকাদারী ব্যবসায় নিয়জিত হন। ঠিকাদারীর মত বিব্রতকর কাজে তিনি মন বসাতে পারেননি। পরে তার আপন ভগ্নিপতি কৃষি বিশ^ বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রফেসর মরহুম আব্দুল ওয়াদুদ মিয়ার পরামর্শে পৈতৃক জমিতে কৃষি খামার করার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৮২ সালের দিকে নিজ বাড়ীর পশ্চিমে বর্তা গ্রামে ২৪ একর জমিতে সবুজ এ্যাগ্রো প্রকল্প নামে একটি বৃহৎ কৃষি খামার গড়ে তোলেন। খামারে নানা জাতের ফল ফসল যেমন আম, কলা, পেপে সহ বিভিন্ন সবজি চাষের পাশপাশি মাছ চাষের পরিকল্পনা হাতে নেন। প্রায় ১৫ একর নামা জমিকে পুকুরে রুপান্তরিত করে তিনিই প্রথম ভালুকায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ শুরু করেন যা পরবর্তীতে বানিজ্যিক ভাবে ব্যাপক প্রসার ঘটে। কৃষি বিশ^বিদ্যালয় মৎস্য হ্যাচারী থেকে রুই কাতল মৃগেল ও কার্ব জাতের পোনা সংগ্রহ করে মাছ চাষ শুরু করেন তিনি। খামার দেখাশোনা ও মাছের পরিচর্যার জন্য কয়েকজন বেতনভুক্ত শ্রমিক নিয়োগ করেন। মৎস্য বিভাগের পরামর্শে সীমিত পরিমান ইউরিয়া, খৈল, কুড়া ও গোবর মিশ্রিত খাদ্য তৈরী করে মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে মাছ উৎপাদনে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। খামারে উৎপাদিত মাছ স্থানীয় জেলেরা খামার থেকে সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজার ও বিভিন্ন স্থানে রপ্তানী করতেন। মাছ বিক্রির টাকা থেকে মাছের খাদ্য কেনার টাকা পরিষোধ সহ শ্রমিকদের বেতন দেয়া ও নিজের আর্থিক চাহিদা মিটাতেন। আমিন উল্যাহ চৌধুরী জানান তার মাছ চাষ করা নিয়ে অনেকেই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছেন এই বলে মাছ আবার চাষ করতে হয় নাকি-মাছতো পুকুর নদী খাল বিলে এমনিতেই জন্মায়। অথচ যখন অপরিকল্পিত শিল্পায়নে কারখানার বর্জে পরিবেশ নষ্ট হয়ে ভালুকার খীরু নদী ও খালবিলে বিষাক্ত কালোপানি মুক্ত জলাশয়গুলোতে অনবরত নামার কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছ সম্পুর্ণ বিলুপ্ত হয়েছে তখন আমিন উল্যাহ চৌধুরীর দেখানো পথে ভালুকার বিভিন্ন গ্রামে অসংখ্য মানুষ মৎস্য খামার করে তাদের উৎপাদিত মাছ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় শত শত টন মাছ রপ্তানী করে কোটি কোটি টাকা আয় করছেন। আমিন উল্যাহ চৌধুরী একজন সাংস্কৃতিকমনা মানুষ। আভিজাত্যের দেয়াল টপকে খেটে খাওয়া দিনমজুর জেলেদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে তিল তিল করে গড়ে তোলেছেন তার এ্যাগ্রো খামারটি ফল ফসল মাছেভরা পুকুর যেখানে বিদ্যমান সেই চিরায়ত প্রবাদটি আমরা মাছেভাতে বাঙালি। তিনি ভালুকায় সর্ব প্রথম মাছ চাষ শুরু করে সফল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে
প্রথম মাছ চাষি আমিন
প্রতিনিধি, ভালুকা (ময়মনসিংহ)
নদী খালবিল প্রাকৃতিক অপার সম্ভাবনায় সমৃদ্ধ ভালুকায় সর্ব প্রথম বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য চাষ শুরু করেন উপজেলার মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের সমভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারে সন্তান আমিন উল্যাহ চৌধুরী সবুজ মিয়া। এক সময়ের খর¯্রােতা বনখীরু নদীর পাড়ঘেঁষা ভালুকার ঐতিজ্যবাহী চৌধুরীবাড়ী রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। ভালুকার সাবেক এমএনএ ও এমপি মরহুম আফতাব উদ্দীন চৌধুরীর ছেলে ও ভালুকা আসনের কয়েকবারের সাবেক এমপি, লোকসংস্কৃতির আতুরঘর বুলবুল ললিতকলা একাডেমির সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আমান উল্যাহ চৌধুরীর ছোট ভাই আমিন উল্যাহ চৌধুরী সবুজ ময়মনসিংহ জেলাস্কুল থেকে এস এস সি পাস করেন। ১৯৭৩ সালে ঢাকার সলিমুল্লাহ কলেজ থেকে ডিগ্রী পাশ করে ঠিকাদারী ব্যবসায় নিয়জিত হন। ঠিকাদারীর মত বিব্রতকর কাজে তিনি মন বসাতে পারেননি। পরে তার আপন ভগ্নিপতি কৃষি বিশ^ বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রফেসর মরহুম আব্দুল ওয়াদুদ মিয়ার পরামর্শে পৈতৃক জমিতে কৃষি খামার করার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৮২ সালের দিকে নিজ বাড়ীর পশ্চিমে বর্তা গ্রামে ২৪ একর জমিতে সবুজ এ্যাগ্রো প্রকল্প নামে একটি বৃহৎ কৃষি খামার গড়ে তোলেন। খামারে নানা জাতের ফল ফসল যেমন আম, কলা, পেপে সহ বিভিন্ন সবজি চাষের পাশপাশি মাছ চাষের পরিকল্পনা হাতে নেন। প্রায় ১৫ একর নামা জমিকে পুকুরে রুপান্তরিত করে তিনিই প্রথম ভালুকায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ শুরু করেন যা পরবর্তীতে বানিজ্যিক ভাবে ব্যাপক প্রসার ঘটে। কৃষি বিশ^বিদ্যালয় মৎস্য হ্যাচারী থেকে রুই কাতল মৃগেল ও কার্ব জাতের পোনা সংগ্রহ করে মাছ চাষ শুরু করেন তিনি। খামার দেখাশোনা ও মাছের পরিচর্যার জন্য কয়েকজন বেতনভুক্ত শ্রমিক নিয়োগ করেন। মৎস্য বিভাগের পরামর্শে সীমিত পরিমান ইউরিয়া, খৈল, কুড়া ও গোবর মিশ্রিত খাদ্য তৈরী করে মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে মাছ উৎপাদনে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। খামারে উৎপাদিত মাছ স্থানীয় জেলেরা খামার থেকে সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজার ও বিভিন্ন স্থানে রপ্তানী করতেন। মাছ বিক্রির টাকা থেকে মাছের খাদ্য কেনার টাকা পরিষোধ সহ শ্রমিকদের বেতন দেয়া ও নিজের আর্থিক চাহিদা মিটাতেন। আমিন উল্যাহ চৌধুরী জানান তার মাছ চাষ করা নিয়ে অনেকেই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছেন এই বলে মাছ আবার চাষ করতে হয় নাকি-মাছতো পুকুর নদী খাল বিলে এমনিতেই জন্মায়। অথচ যখন অপরিকল্পিত শিল্পায়নে কারখানার বর্জে পরিবেশ নষ্ট হয়ে ভালুকার খীরু নদী ও খালবিলে বিষাক্ত কালোপানি মুক্ত জলাশয়গুলোতে অনবরত নামার কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছ সম্পুর্ণ বিলুপ্ত হয়েছে তখন আমিন উল্যাহ চৌধুরীর দেখানো পথে ভালুকার বিভিন্ন গ্রামে অসংখ্য মানুষ মৎস্য খামার করে তাদের উৎপাদিত মাছ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় শত শত টন মাছ রপ্তানী করে কোটি কোটি টাকা আয় করছেন। আমিন উল্যাহ চৌধুরী একজন সাংস্কৃতিকমনা মানুষ। আভিজাত্যের দেয়াল টপকে খেটে খাওয়া দিনমজুর জেলেদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে তিল তিল করে গড়ে তোলেছেন তার এ্যাগ্রো খামারটি ফল ফসল মাছেভরা পুকুর যেখানে বিদ্যমান সেই চিরায়ত প্রবাদটি আমরা মাছেভাতে বাঙালি। তিনি ভালুকায় সর্ব প্রথম মাছ চাষ শুরু করে সফল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নদী খালবিল প্রাকৃতিক অপার সম্ভাবনায় সমৃদ্ধ ভালুকায় সর্ব প্রথম বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য চাষ শুরু করেন উপজেলার মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের সমভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারে সন্তান আমিন উল্যাহ চৌধুরী সবুজ মিয়া। এক সময়ের খরস্রোতা বনখীরু নদীর পাড়ঘেঁষা ভালুকার ঐতিজ্যবাহী চৌধুরীবাড়ী রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। ভালুকার সাবেক এমএনএ ও এমপি মরহুম আফতাব উদ্দীন চৌধুরীর ছেলে ও ভালুকা আসনের কয়েকবারের সাবেক এমপি, লোকসংস্কৃতির আতুরঘর বুলবুল ললিতকলা একাডেমির সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আমান উল্যাহ চৌধুরীর ছোট ভাই আমিন উল্যাহ চৌধুরী সবুজ ময়মনসিংহ জেলাস্কুল থেকে এস এস সি পাস করেন। ১৯৭৩ সালে ঢাকার সলিমুল্লাহ কলেজ থেকে ডিগ্রী পাশ করে ঠিকাদারী ব্যবসায় নিয়জিত হন। ঠিকাদারীর মত বিব্রতকর কাজে তিনি মন বসাতে পারেননি। পরে তার আপন ভগ্নিপতি কৃষি বিশ^ বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রফেসর মরহুম আব্দুল ওয়াদুদ মিয়ার পরামর্শে পৈতৃক জমিতে কৃষি খামার করার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৮২ সালের দিকে নিজ বাড়ীর পশ্চিমে বর্তা গ্রামে ২৪ একর জমিতে সবুজ এ্যাগ্রো প্রকল্প নামে একটি বৃহৎ কৃষি খামার গড়ে তোলেন। খামারে নানা জাতের ফল ফসল যেমন আম, কলা, পেপে সহ বিভিন্ন সবজি চাষের পাশপাশি মাছ চাষের পরিকল্পনা হাতে নেন। প্রায় ১৫ একর নামা জমিকে পুকুরে রুপান্তরিত করে তিনিই প্রথম ভালুকায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ শুরু করেন যা পরবর্তীতে বানিজ্যিক ভাবে ব্যাপক প্রসার ঘটে। কৃষি বিশ^বিদ্যালয় মৎস্য হ্যাচারী থেকে রুই কাতল মৃগেল ও কার্ব জাতের পোনা সংগ্রহ করে মাছ চাষ শুরু করেন তিনি। খামার দেখাশোনা ও মাছের পরিচর্যার জন্য কয়েকজন বেতনভুক্ত শ্রমিক নিয়োগ করেন। মৎস্য বিভাগের পরামর্শে সীমিত পরিমান ইউরিয়া, খৈল, কুড়া ও গোবর মিশ্রিত খাদ্য তৈরী করে মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে মাছ উৎপাদনে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। খামারে উৎপাদিত মাছ স্থানীয় জেলেরা খামার থেকে সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজার ও বিভিন্ন স্থানে রপ্তানী করতেন। মাছ বিক্রির টাকা থেকে মাছের খাদ্য কেনার টাকা পরিষোধ সহ শ্রমিকদের বেতন দেয়া ও নিজের আর্থিক চাহিদা মিটাতেন। আমিন উল্যাহ চৌধুরী জানান তার মাছ চাষ করা নিয়ে অনেকেই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছেন এই বলে মাছ আবার চাষ করতে হয় নাকি-মাছতো পুকুর নদী খাল বিলে এমনিতেই জন্মায়। অথচ যখন অপরিকল্পিত শিল্পায়নে কারখানার বর্জে পরিবেশ নষ্ট হয়ে ভালুকার খীরু নদী ও খালবিলে বিষাক্ত কালোপানি মুক্ত জলাশয়গুলোতে অনবরত নামার কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছ সম্পুর্ণ বিলুপ্ত হয়েছে তখন আমিন উল্যাহ চৌধুরীর দেখানো পথে ভালুকার বিভিন্ন গ্রামে অসংখ্য মানুষ মৎস্য খামার করে তাদের উৎপাদিত মাছ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় শত শত টন মাছ রপ্তানী করে কোটি কোটি টাকা আয় করছেন। আমিন উল্যাহ চৌধুরী একজন সাংস্কৃতিকমনা মানুষ। আভিজাত্যের দেয়াল টপকে খেটে খাওয়া দিনমজুর জেলেদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে তিল তিল করে গড়ে তোলেছেন তার এ্যাগ্রো খামারটি ফল ফসল মাছেভরা পুকুর যেখানে বিদ্যমান সেই চিরায়ত প্রবাদটি আমরা মাছেভাতে বাঙালি। তিনি ভালুকায় সর্ব প্রথম মাছ চাষ শুরু করে সফল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে
প্রথম মাছ চাষি আমিন
প্রতিনিধি, ভালুকা (ময়মনসিংহ)
নদী খালবিল প্রাকৃতিক অপার সম্ভাবনায় সমৃদ্ধ ভালুকায় সর্ব প্রথম বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য চাষ শুরু করেন উপজেলার মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের সমভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারে সন্তান আমিন উল্যাহ চৌধুরী সবুজ মিয়া। এক সময়ের খর¯্রােতা বনখীরু নদীর পাড়ঘেঁষা ভালুকার ঐতিজ্যবাহী চৌধুরীবাড়ী রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। ভালুকার সাবেক এমএনএ ও এমপি মরহুম আফতাব উদ্দীন চৌধুরীর ছেলে ও ভালুকা আসনের কয়েকবারের সাবেক এমপি, লোকসংস্কৃতির আতুরঘর বুলবুল ললিতকলা একাডেমির সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আমান উল্যাহ চৌধুরীর ছোট ভাই আমিন উল্যাহ চৌধুরী সবুজ ময়মনসিংহ জেলাস্কুল থেকে এস এস সি পাস করেন। ১৯৭৩ সালে ঢাকার সলিমুল্লাহ কলেজ থেকে ডিগ্রী পাশ করে ঠিকাদারী ব্যবসায় নিয়জিত হন। ঠিকাদারীর মত বিব্রতকর কাজে তিনি মন বসাতে পারেননি। পরে তার আপন ভগ্নিপতি কৃষি বিশ^ বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রফেসর মরহুম আব্দুল ওয়াদুদ মিয়ার পরামর্শে পৈতৃক জমিতে কৃষি খামার করার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৮২ সালের দিকে নিজ বাড়ীর পশ্চিমে বর্তা গ্রামে ২৪ একর জমিতে সবুজ এ্যাগ্রো প্রকল্প নামে একটি বৃহৎ কৃষি খামার গড়ে তোলেন। খামারে নানা জাতের ফল ফসল যেমন আম, কলা, পেপে সহ বিভিন্ন সবজি চাষের পাশপাশি মাছ চাষের পরিকল্পনা হাতে নেন। প্রায় ১৫ একর নামা জমিকে পুকুরে রুপান্তরিত করে তিনিই প্রথম ভালুকায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ শুরু করেন যা পরবর্তীতে বানিজ্যিক ভাবে ব্যাপক প্রসার ঘটে। কৃষি বিশ^বিদ্যালয় মৎস্য হ্যাচারী থেকে রুই কাতল মৃগেল ও কার্ব জাতের পোনা সংগ্রহ করে মাছ চাষ শুরু করেন তিনি। খামার দেখাশোনা ও মাছের পরিচর্যার জন্য কয়েকজন বেতনভুক্ত শ্রমিক নিয়োগ করেন। মৎস্য বিভাগের পরামর্শে সীমিত পরিমান ইউরিয়া, খৈল, কুড়া ও গোবর মিশ্রিত খাদ্য তৈরী করে মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে মাছ উৎপাদনে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। খামারে উৎপাদিত মাছ স্থানীয় জেলেরা খামার থেকে সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজার ও বিভিন্ন স্থানে রপ্তানী করতেন। মাছ বিক্রির টাকা থেকে মাছের খাদ্য কেনার টাকা পরিষোধ সহ শ্রমিকদের বেতন দেয়া ও নিজের আর্থিক চাহিদা মিটাতেন। আমিন উল্যাহ চৌধুরী জানান তার মাছ চাষ করা নিয়ে অনেকেই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছেন এই বলে মাছ আবার চাষ করতে হয় নাকি-মাছতো পুকুর নদী খাল বিলে এমনিতেই জন্মায়। অথচ যখন অপরিকল্পিত শিল্পায়নে কারখানার বর্জে পরিবেশ নষ্ট হয়ে ভালুকার খীরু নদী ও খালবিলে বিষাক্ত কালোপানি মুক্ত জলাশয়গুলোতে অনবরত নামার কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছ সম্পুর্ণ বিলুপ্ত হয়েছে তখন আমিন উল্যাহ চৌধুরীর দেখানো পথে ভালুকার বিভিন্ন গ্রামে অসংখ্য মানুষ মৎস্য খামার করে তাদের উৎপাদিত মাছ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় শত শত টন মাছ রপ্তানী করে কোটি কোটি টাকা আয় করছেন। আমিন উল্যাহ চৌধুরী একজন সাংস্কৃতিকমনা মানুষ। আভিজাত্যের দেয়াল টপকে খেটে খাওয়া দিনমজুর জেলেদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে তিল তিল করে গড়ে তোলেছেন তার এ্যাগ্রো খামারটি ফল ফসল মাছেভরা পুকুর যেখানে বিদ্যমান সেই চিরায়ত প্রবাদটি আমরা মাছেভাতে বাঙালি। তিনি ভালুকায় সর্ব প্রথম মাছ চাষ শুরু করে সফল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।