সড়ক যোগাযোগে ভোগান্তিতে থাকা সিলেট থেকে সিলেট-কক্সবাজার ও সিলেট-ঢাকা রেলপথে দুটি নতুন ট্রেন চালুসহ আট দফা দাবিতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলওয়ে জংশনে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন প্রায় আধা ঘণ্টা আটকে রেখে বিক্ষোভ করেন। শনিবার, (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁরা বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন।
‘আট দফা দাবি বাস্তবায়ন আন্দোলন’-এর আহ্বায়ক ও কুলাউড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুল ইসলাম জানান, বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক ১৫ দিনের মধ্যে আলোচনায় বসার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা সিলেটের জনগণের যোগাযোগের ভোগান্তি নিরসনে জনস্বার্থে এ আন্দোলন করছি।
অবরোধের আগে কুলাউড়া জংশনে আয়োজিত এ কর্মসুচিতে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সজল, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির জাকির হোসেন, কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম আতিকুর রহমান এবং ‘আট দফা দাবি বাস্তবায়ন আন্দোলন’-এর আহ্বায়ক আজিজুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস কুলাউড়া জংশনে আউটার এলাকায় পৌঁছালে আন্দোলনকারীরা জাতীয় পতাকা ও লাল কাপড় হাতে রেলপথে নেমে ট্রেন আটকে দেন। এটা ছিল আন্দোলকারিদের পূর্বঘোষিত কর্মসুচি। এর আগেও আন্দোলনকারিরা মানব বন্ধন, সংবাদ সম্মেলনের মতো কর্মসুচি পালন করেছেন।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিউদ্দিন ও কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ইউএনও’র মাধ্যমে ঢাকার রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন আরিফের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কথা বলিয়ে দেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ট্রেন ছেড়ে দেওয়া হয়।
আন্দোলনকারিদের ৮ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-কক্সবাজার রেলপথে দুটি নতুন ট্রেন চালু করা, সিলেট-আখাউড়া সেকশনের রেলপথ সংস্কার করে ডুয়েলগেজে উন্নীত করা, সিলেট-আখাউড়া লোকাল ট্রেন চালু করা, সিলেট অঞ্চলে বন্ধ হয়ে যাওয়া রেলস্টেশনগুলো পুণরায় চালু করা, কুলাউড়া জংশনের টিকিট বরাদ্দ বাড়ানো, সিলেট থেকে ঢাকাগামী অন্তঃনগর কালনী ও পারাবত এক্সপ্রেসের আজমপুর স্টেশন-পরবর্তী যাত্রাবিরতি বন্ধ করা, সব ট্রেনে নতুন ইঞ্জিন সংযোজন, যাত্রী অনুপাতে অতিরিক্ত বগি যুক্ত করা।
কুলাউড়া জংশন রেলস্টেশনের মাস্টার রোমান আহমদ জানান, আন্দোলনকারীরা প্রায় আধা ঘণ্টা ট্রেন আটকে রাখেন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর তারা অবরোধ ছেড়ে দিলে ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়
সাম্পতিক সময়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জের আগে দীঘ যানযটে পড়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সিলেট বিভাগের যাত্রীরা। ঢাকা পৌছতে মৌলভীবাজার থেকে সাড়ে ১৪ ঘন্টা লেগেছে বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট নিয়ামুল হক।
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সড়ক যোগাযোগে ভোগান্তিতে থাকা সিলেট থেকে সিলেট-কক্সবাজার ও সিলেট-ঢাকা রেলপথে দুটি নতুন ট্রেন চালুসহ আট দফা দাবিতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলওয়ে জংশনে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন প্রায় আধা ঘণ্টা আটকে রেখে বিক্ষোভ করেন। শনিবার, (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁরা বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন।
‘আট দফা দাবি বাস্তবায়ন আন্দোলন’-এর আহ্বায়ক ও কুলাউড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুল ইসলাম জানান, বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক ১৫ দিনের মধ্যে আলোচনায় বসার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা সিলেটের জনগণের যোগাযোগের ভোগান্তি নিরসনে জনস্বার্থে এ আন্দোলন করছি।
অবরোধের আগে কুলাউড়া জংশনে আয়োজিত এ কর্মসুচিতে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সজল, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির জাকির হোসেন, কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম আতিকুর রহমান এবং ‘আট দফা দাবি বাস্তবায়ন আন্দোলন’-এর আহ্বায়ক আজিজুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস কুলাউড়া জংশনে আউটার এলাকায় পৌঁছালে আন্দোলনকারীরা জাতীয় পতাকা ও লাল কাপড় হাতে রেলপথে নেমে ট্রেন আটকে দেন। এটা ছিল আন্দোলকারিদের পূর্বঘোষিত কর্মসুচি। এর আগেও আন্দোলনকারিরা মানব বন্ধন, সংবাদ সম্মেলনের মতো কর্মসুচি পালন করেছেন।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিউদ্দিন ও কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ইউএনও’র মাধ্যমে ঢাকার রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন আরিফের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কথা বলিয়ে দেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ট্রেন ছেড়ে দেওয়া হয়।
আন্দোলনকারিদের ৮ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-কক্সবাজার রেলপথে দুটি নতুন ট্রেন চালু করা, সিলেট-আখাউড়া সেকশনের রেলপথ সংস্কার করে ডুয়েলগেজে উন্নীত করা, সিলেট-আখাউড়া লোকাল ট্রেন চালু করা, সিলেট অঞ্চলে বন্ধ হয়ে যাওয়া রেলস্টেশনগুলো পুণরায় চালু করা, কুলাউড়া জংশনের টিকিট বরাদ্দ বাড়ানো, সিলেট থেকে ঢাকাগামী অন্তঃনগর কালনী ও পারাবত এক্সপ্রেসের আজমপুর স্টেশন-পরবর্তী যাত্রাবিরতি বন্ধ করা, সব ট্রেনে নতুন ইঞ্জিন সংযোজন, যাত্রী অনুপাতে অতিরিক্ত বগি যুক্ত করা।
কুলাউড়া জংশন রেলস্টেশনের মাস্টার রোমান আহমদ জানান, আন্দোলনকারীরা প্রায় আধা ঘণ্টা ট্রেন আটকে রাখেন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর তারা অবরোধ ছেড়ে দিলে ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়
সাম্পতিক সময়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জের আগে দীঘ যানযটে পড়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সিলেট বিভাগের যাত্রীরা। ঢাকা পৌছতে মৌলভীবাজার থেকে সাড়ে ১৪ ঘন্টা লেগেছে বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট নিয়ামুল হক।