বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের ড্রেজিংয়ে বালু ফেলে ফসলি জমি, চিংড়ি ঘের ও ঘেরে থাকা লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ মেরে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে গ্রামবাসী।
মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনি কাটাখালী এলাকায় গত শুক্রবার দুপুরে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ হাজার হাজার গ্রামবাসি এ মানববন্ধন কর্মসুচিতে অংশ নেন। যদিও পুলিশ প্রশাসন ওই ড্রেজার বন্ধ করে দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে ড্রেজিং কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জোর করে এ ভাবে বালু ফেলছে। যার কারণে মোংলা বন্দরের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।
জানা গেছে, পশুর নদী থেকে বাল্কহেড বোঝাই ড্রেজিংয়ের বালু ডাম্পিং করছে ‘মেসার্স এ জেড’ নামের একটি ড্রেজিং কোম্পানি। তাদের প্রতিনিধিরা বন্দরের অধিগ্রহণ করা (ডাইক) জায়গা রেখে মালিকানা কৃষি জমিতে বালু ফেলে ফসল, মাছ ও চিংড়ী ঘের নষ্ট করছে বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা। তাই নষ্ট করা কৃষি জমি রক্ষা ও ক্ষতিপুরণের দাবিতে ক্ষতিগ্রস্থ জমির পাশে কৃষকরা সমবেত হয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
মানববন্ধনকারীরা বলেন, চিলা এলাকার হাজারো মানুষদের কৃষি জমিতে ধান ও মৎস্য খামার করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। কিন্ত ড্রেজিং কোম্পানির কিছু লোক বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অধিগ্রহণকৃত জমি (ডাইক) রেখে মালিকানা ফসলি ও মাছ চাষের ঘেরের জমিতে অনুমতিবিহীন বালু ফেলে ভরাট করে ফেলছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। কিন্তু এসকল অসহায় মানুষগুলোর জমি নষ্ট করে ক্ষতিপুরণ না দিয়ে জোরপূর্বক বালু ডাম্পিংয়ের ফলে ফসলি জমি ও জলাভূমির ব্যাপক ক্ষতি করছে। যার ফলে তারা চরম ক্ষতির মুখে পড়ছে, হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র। ভবিষ্যতে বালু ঝড়ের আগ্রাসনে বসবাসের অনুপযোগি পরিবেশের শংঙ্কায় চরম হতাশার মধ্যে রয়েছেন এলাকার ভুক্তভোগীরা। ক্ষতিগ্রস্তরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দিলেও প্রশাসনের নির্দেশনাও মানছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন। তাই পুলিশ প্রশাসন, এলাকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসীর সম্মিলিত ভাবে এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে। ড্রেজিং কোম্পানির ঠিকাদারের প্রতিনিধি ডাইক সুপার ভাইজার গনি শেখ বলেন, মালিকানা জমিতে নয়, বন্দর কর্তৃপক্ষের চিহ্নিত করা জমিতেই বালু ফেলা হচ্ছে। তবে মেশিন বসানোর সময় সামান্য কিছু ক্ষতি হলেও তা পরবর্তীতে তা সামাধান করা হয়েছে।
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের ড্রেজিংয়ে বালু ফেলে ফসলি জমি, চিংড়ি ঘের ও ঘেরে থাকা লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ মেরে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে গ্রামবাসী।
মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনি কাটাখালী এলাকায় গত শুক্রবার দুপুরে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ হাজার হাজার গ্রামবাসি এ মানববন্ধন কর্মসুচিতে অংশ নেন। যদিও পুলিশ প্রশাসন ওই ড্রেজার বন্ধ করে দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে ড্রেজিং কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জোর করে এ ভাবে বালু ফেলছে। যার কারণে মোংলা বন্দরের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।
জানা গেছে, পশুর নদী থেকে বাল্কহেড বোঝাই ড্রেজিংয়ের বালু ডাম্পিং করছে ‘মেসার্স এ জেড’ নামের একটি ড্রেজিং কোম্পানি। তাদের প্রতিনিধিরা বন্দরের অধিগ্রহণ করা (ডাইক) জায়গা রেখে মালিকানা কৃষি জমিতে বালু ফেলে ফসল, মাছ ও চিংড়ী ঘের নষ্ট করছে বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা। তাই নষ্ট করা কৃষি জমি রক্ষা ও ক্ষতিপুরণের দাবিতে ক্ষতিগ্রস্থ জমির পাশে কৃষকরা সমবেত হয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
মানববন্ধনকারীরা বলেন, চিলা এলাকার হাজারো মানুষদের কৃষি জমিতে ধান ও মৎস্য খামার করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। কিন্ত ড্রেজিং কোম্পানির কিছু লোক বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অধিগ্রহণকৃত জমি (ডাইক) রেখে মালিকানা ফসলি ও মাছ চাষের ঘেরের জমিতে অনুমতিবিহীন বালু ফেলে ভরাট করে ফেলছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। কিন্তু এসকল অসহায় মানুষগুলোর জমি নষ্ট করে ক্ষতিপুরণ না দিয়ে জোরপূর্বক বালু ডাম্পিংয়ের ফলে ফসলি জমি ও জলাভূমির ব্যাপক ক্ষতি করছে। যার ফলে তারা চরম ক্ষতির মুখে পড়ছে, হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র। ভবিষ্যতে বালু ঝড়ের আগ্রাসনে বসবাসের অনুপযোগি পরিবেশের শংঙ্কায় চরম হতাশার মধ্যে রয়েছেন এলাকার ভুক্তভোগীরা। ক্ষতিগ্রস্তরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দিলেও প্রশাসনের নির্দেশনাও মানছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন। তাই পুলিশ প্রশাসন, এলাকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসীর সম্মিলিত ভাবে এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে। ড্রেজিং কোম্পানির ঠিকাদারের প্রতিনিধি ডাইক সুপার ভাইজার গনি শেখ বলেন, মালিকানা জমিতে নয়, বন্দর কর্তৃপক্ষের চিহ্নিত করা জমিতেই বালু ফেলা হচ্ছে। তবে মেশিন বসানোর সময় সামান্য কিছু ক্ষতি হলেও তা পরবর্তীতে তা সামাধান করা হয়েছে।