সিটি করপোরেশনের এক নম্বর ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি মজিববাগ এলাকায় (সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে) ডিএনডি খালের ওপর নির্মিতজরাজীর্ণ ও নড়বড়ে কাঠের সেতুটি গত দু’বছর ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। সেতুটির অধিকাংশ কাঠের পাটাতন পঁচে ও ভেঙ্গে গেছে। ফলে সেতুটি এখন অনেক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও আদমজী ইপিজেডের শ্রমিকসহ শত শত লোকজন পারাপার হচ্ছেন। গত এক সপ্তাহ আগে সেতুটি পূর্ব দিকের একটি অংশ ভেঙ্গে গেছে। স্থানীয়দের দাবি এ সময় ৪-৫ জন পথচারী আহত হয়েছেন। আবারও যে কোন সময় সেতুটি পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরণের প্রাণহানীর আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। জরুরী ভিত্তিতে এ জরাজীর্ণ সেতুটি মেরামত করার জোর দাবি জানান স্থানীয় ও পথচারীরা। গত শুক্রবার দুপুরে সরেজিমন গিয়ে এ নড়বড়ে ও ঝুঁকিপুর্ণ কাঠের সেতুটি দিয়ে নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও শিক্ষার্থীদের পার হতে দেখা গেছে।
জানা যায়, অধুনালুপ্ত সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভার আমল থেকেই ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় ডিএনডি খালের ওপর মিজমিজি মজিববাগ এলাকায় একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। এ কাঠের সেতুটি ব্যবহার করে মিজমিজি মজিববাগ, আল-আমিন নগর, মিজমিজি পূর্বপাড়া,ও কদমতলী উত্তরপাড়াসহ আশপাশের লোকজন ডিএনডি খাল পার হচ্ছেন। কিন্তু সেতুটি মেরামত কিংবা পুনর্নিমাণ না করায় দিন দিন কাঠের সেতুটির পাটাতন অনেক স্থানে ভেঙ্গে গেছে। গত বছর ৬ মাস পুরো বর্ষার সময় এ কাঠের সেতুটির পাটাতন পানিতে ডুবন্ত ছিল। ফলে কাঠের অনেক পাটাতন পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক জায়গার কাঠের পাটাতন ভেঙ্গে গেছে। দিন দিন আরো ভেঙ্গে যাচ্ছে। কিন্তু সিটি করপোরেশন এ সেতুটির মেরামত কাজ করছেন না। ফলে সেতুটি এখন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। খবর নিয়ে জানা যায়, এ সেতুর পূর্বপাড়েই রয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুত কেন্দ্র। এ বিদ্যুত কেন্দ্রের অভ্যন্তরে রয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী লেখপড়া করছে। এ হাইস্কুলের অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যুত কেন্দ্রের বাইরে বসবাস করেন। ফলে অনেক অভিভাবক তাদের কোমলমতি অধ্যয়রত শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকিপুর্ণ এ সেতুটি পার হয়ে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও কয়েকশ গজ দুরে রয়েছে আদমজী ইপিজেড। এ ইপিজেডে কাজ শুরু ও ছুটির সময় এক সঙ্গে অসংখ্য শ্রমিক-কর্মচারী এ ঝুকিপুর্ণ কাঠের সেতুটি ব্যবহার করে ডিএনডি খাল পার হচ্ছেন। সেতুটি ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়ায় পথচারীরা পারাপারের সময় ভেঙে পড়ার আতঙ্কে থাকেন।
মজিববাগ এলাকার বাসিন্দা টুলু মিয়া বলেন, দুই বছর ধরে কাঠের এ সেতুটি ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ স্থানটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে সেতুটির খুবই গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশায় পড়ে থাকলেও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ মেরামতের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না। এ সেতুটি নিচে কমপক্ষে ১০-১৫ ফুট পানির গভীরতা রয়েছে। তাই সেতুটি ভেঙ্গে পড়লে জীবনহানির আশঙ্কা রয়েছে।
মিজমিজি মজিববাগ মধ্যবর্তী সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি আমিরুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকিপুর্ণ সেতুটি স্থানীয়দের কাছ থেকে টাকা-পয়সা তুলে ৭-৮ বার মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু কয়েক দিন পরেই সেতুটি আবারও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। সেতুটি ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেতুটি এতো ঝুঁকিপুর্ণ থাকা সত্ত্বেও সিটি করপোরেশন মেরামত করতে এগিয়ে আসছেন না। মিজমিজি মজিববাগ এলাকার আরেক বাসিন্দা মোবারক হোসেন বলেন, সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ কাঠের পুলের স্থানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করতে পারতেন। অথচ অন্য স্থান দিয়ে পাকা সেতু নির্মাণ করেছেন। কিন্তু লোকজন এ স্থান দিয়েই ডিএনডি খাল পার হতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন এবং যাতায়াতের দুরত্ব কমে আসে।
তিনি বলেন, আদমজী ইপিজেডের কাজ শুরুর সময় সকাল ৭টা থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত এবং বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ সেতুটি ব্যবহার বেশি হয়। এছাড়াও স্কুলের ক্লাশ শুরু ও ছুটির সময় এ সেতুতে শিক্ষার্থীদের পারাপারের সংখ্যও বেড়ে যায়। স্থানীয় দোকানী নূর মোহাম্মদ বলেন, কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সুবিধার্থে এ স্থানে পাকা সেতু নির্মাণ করছেন না। তিনি আরো বলেন, সিটি করপোরেশন যদি সেতুটি মেরামত না করেন তবে ঝুঁকিপুর্ণ সেতুটি ভেঙ্গে ফেলতে পারেন। কিন্তু তারা তাও করছেন না।
তবে কি কাঠের সেতুটি ভেঙে পানিতে পড়ে গিয়ে লোকজনের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হলে তারা সজাগ হবেন? নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইসমাইল চৌধুরী বলেন, এ ঝুঁকিপুর্ণ কাঠের সেতুটি মেরামত করার কোন পরিকল্পনা নেই। আশপাশের পাকা সেতু দিয়ে লোকজন পারাপার হবেন।
রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সিটি করপোরেশনের এক নম্বর ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি মজিববাগ এলাকায় (সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে) ডিএনডি খালের ওপর নির্মিতজরাজীর্ণ ও নড়বড়ে কাঠের সেতুটি গত দু’বছর ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। সেতুটির অধিকাংশ কাঠের পাটাতন পঁচে ও ভেঙ্গে গেছে। ফলে সেতুটি এখন অনেক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও আদমজী ইপিজেডের শ্রমিকসহ শত শত লোকজন পারাপার হচ্ছেন। গত এক সপ্তাহ আগে সেতুটি পূর্ব দিকের একটি অংশ ভেঙ্গে গেছে। স্থানীয়দের দাবি এ সময় ৪-৫ জন পথচারী আহত হয়েছেন। আবারও যে কোন সময় সেতুটি পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরণের প্রাণহানীর আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। জরুরী ভিত্তিতে এ জরাজীর্ণ সেতুটি মেরামত করার জোর দাবি জানান স্থানীয় ও পথচারীরা। গত শুক্রবার দুপুরে সরেজিমন গিয়ে এ নড়বড়ে ও ঝুঁকিপুর্ণ কাঠের সেতুটি দিয়ে নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও শিক্ষার্থীদের পার হতে দেখা গেছে।
জানা যায়, অধুনালুপ্ত সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভার আমল থেকেই ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় ডিএনডি খালের ওপর মিজমিজি মজিববাগ এলাকায় একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। এ কাঠের সেতুটি ব্যবহার করে মিজমিজি মজিববাগ, আল-আমিন নগর, মিজমিজি পূর্বপাড়া,ও কদমতলী উত্তরপাড়াসহ আশপাশের লোকজন ডিএনডি খাল পার হচ্ছেন। কিন্তু সেতুটি মেরামত কিংবা পুনর্নিমাণ না করায় দিন দিন কাঠের সেতুটির পাটাতন অনেক স্থানে ভেঙ্গে গেছে। গত বছর ৬ মাস পুরো বর্ষার সময় এ কাঠের সেতুটির পাটাতন পানিতে ডুবন্ত ছিল। ফলে কাঠের অনেক পাটাতন পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক জায়গার কাঠের পাটাতন ভেঙ্গে গেছে। দিন দিন আরো ভেঙ্গে যাচ্ছে। কিন্তু সিটি করপোরেশন এ সেতুটির মেরামত কাজ করছেন না। ফলে সেতুটি এখন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। খবর নিয়ে জানা যায়, এ সেতুর পূর্বপাড়েই রয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুত কেন্দ্র। এ বিদ্যুত কেন্দ্রের অভ্যন্তরে রয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী লেখপড়া করছে। এ হাইস্কুলের অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যুত কেন্দ্রের বাইরে বসবাস করেন। ফলে অনেক অভিভাবক তাদের কোমলমতি অধ্যয়রত শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকিপুর্ণ এ সেতুটি পার হয়ে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও কয়েকশ গজ দুরে রয়েছে আদমজী ইপিজেড। এ ইপিজেডে কাজ শুরু ও ছুটির সময় এক সঙ্গে অসংখ্য শ্রমিক-কর্মচারী এ ঝুকিপুর্ণ কাঠের সেতুটি ব্যবহার করে ডিএনডি খাল পার হচ্ছেন। সেতুটি ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়ায় পথচারীরা পারাপারের সময় ভেঙে পড়ার আতঙ্কে থাকেন।
মজিববাগ এলাকার বাসিন্দা টুলু মিয়া বলেন, দুই বছর ধরে কাঠের এ সেতুটি ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ স্থানটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে সেতুটির খুবই গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশায় পড়ে থাকলেও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ মেরামতের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না। এ সেতুটি নিচে কমপক্ষে ১০-১৫ ফুট পানির গভীরতা রয়েছে। তাই সেতুটি ভেঙ্গে পড়লে জীবনহানির আশঙ্কা রয়েছে।
মিজমিজি মজিববাগ মধ্যবর্তী সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি আমিরুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকিপুর্ণ সেতুটি স্থানীয়দের কাছ থেকে টাকা-পয়সা তুলে ৭-৮ বার মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু কয়েক দিন পরেই সেতুটি আবারও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। সেতুটি ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেতুটি এতো ঝুঁকিপুর্ণ থাকা সত্ত্বেও সিটি করপোরেশন মেরামত করতে এগিয়ে আসছেন না। মিজমিজি মজিববাগ এলাকার আরেক বাসিন্দা মোবারক হোসেন বলেন, সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ কাঠের পুলের স্থানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করতে পারতেন। অথচ অন্য স্থান দিয়ে পাকা সেতু নির্মাণ করেছেন। কিন্তু লোকজন এ স্থান দিয়েই ডিএনডি খাল পার হতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন এবং যাতায়াতের দুরত্ব কমে আসে।
তিনি বলেন, আদমজী ইপিজেডের কাজ শুরুর সময় সকাল ৭টা থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত এবং বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ সেতুটি ব্যবহার বেশি হয়। এছাড়াও স্কুলের ক্লাশ শুরু ও ছুটির সময় এ সেতুতে শিক্ষার্থীদের পারাপারের সংখ্যও বেড়ে যায়। স্থানীয় দোকানী নূর মোহাম্মদ বলেন, কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সুবিধার্থে এ স্থানে পাকা সেতু নির্মাণ করছেন না। তিনি আরো বলেন, সিটি করপোরেশন যদি সেতুটি মেরামত না করেন তবে ঝুঁকিপুর্ণ সেতুটি ভেঙ্গে ফেলতে পারেন। কিন্তু তারা তাও করছেন না।
তবে কি কাঠের সেতুটি ভেঙে পানিতে পড়ে গিয়ে লোকজনের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হলে তারা সজাগ হবেন? নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইসমাইল চৌধুরী বলেন, এ ঝুঁকিপুর্ণ কাঠের সেতুটি মেরামত করার কোন পরিকল্পনা নেই। আশপাশের পাকা সেতু দিয়ে লোকজন পারাপার হবেন।