শরীয়তপুরে চোর সন্দেহে গাছের সাথে বেঁধে এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। নড়িয়া উপজেলার নরকলিকাতা গ্রামের শহীদুল ইসলাম সিকদার (৩৭) নামের ওই যুবকের কোমরে দড়ি পরিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়।
রোববার, (২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ভোর ৫টা হতে উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। শহীদুল ইসলাম সিকদারের বাড়ি একই ইউনিয়নের দুলুখন্ড গ্রামে। একই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত লতিফ সিকদারের ছেলে তিনি।
শরীয়তপুরের নড়িয়া থানা সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার গভির রাতে পাশের নরকলিকাতা গ্রামের একটি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় এলাকায় চোর প্রবেশ করেছে এমন চিৎকার চেচামেছি করেন গ্রামের বাসিন্দারা। তখন শহীদুল দৌড়ে আতারক্ষার জন্য পাশের একটি পুকুরে মেনে পরেন। সেখানে কয়েকঘন্টা অবস্থান করার পর স্থানীয়রা তাকে ভোর ৫টার দিকে আটক করে। পরে তাকে মারধর করা হয়। ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে গ্রামের রাস্তার পাশের একটি গাছের সাথে কোমরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে সকাল ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে ভোজেশ্বর পুলিশ ফাড়ির পুলিশ সদস্যরা আসেন। তখনো ওই যুবককে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়।
ভেজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন, শহীদুলকে একটি বাড়ির পাশে রাতে ঘুরতে দেখে চোর বলে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীর। তখন সকলে চিৎকার-চেচামেচি করলে সে পুকুরে নেমে আত্মগোপন করেন। পরবর্তিতে ভোরের দিকে পুকুর হতে উঠে আসলে জনতা তাকে আটকে রাখে। আমরা খবর পেয়ে পুলিশের সাথে ঘটনাস্থলে যাই। এলাকায় কোন বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেনি। তবে ওই ব্যক্তি এখানে কেন এসেছিল তা বলতে পরছিনা।
আটক যুবক শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনের মতো বাড়ি যাচ্ছিলাম। রাত একটু বেশি হয়েছিল। বেশি রাত হওয়ায় মানুষ আমাকে চোর ভেবে চিৎকার করেন। তখন একটি পুকুরের কচুরিপানার নীচে পালাই। সেখানে ৪-৫ ঘন্টা থাকার পর তীরে উঠে আসি। তখন গ্রামবাসী আমাকে মারধর করে। কোমরে দড়ি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রাখেন।
ভোজেশ্বর পুলিশ ফাড়ির উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ রবিউল হক বলেন, শহিদুলকে গাছের সাথে বেঁধে রাখা অবস্থায় দেখতে পাই। তার কোমরও হাত-পা বাধা অবস্থায় ছিল। গভীর রাতে গ্রামের রাস্তা দিয়ে ওই যুবক যাচ্ছিলেন। এমন সময় চোর সন্দেহে গ্রামবাসী তাকে তাড়া করেন। তখন তিনি পুকুরের মধ্যে আত্মগোপনে থাকেন। ভোর বেলা সেখান থেকে গ্রামবাসী তাকে আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রাখেন।
রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শরীয়তপুরে চোর সন্দেহে গাছের সাথে বেঁধে এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। নড়িয়া উপজেলার নরকলিকাতা গ্রামের শহীদুল ইসলাম সিকদার (৩৭) নামের ওই যুবকের কোমরে দড়ি পরিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়।
রোববার, (২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ভোর ৫টা হতে উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। শহীদুল ইসলাম সিকদারের বাড়ি একই ইউনিয়নের দুলুখন্ড গ্রামে। একই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত লতিফ সিকদারের ছেলে তিনি।
শরীয়তপুরের নড়িয়া থানা সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার গভির রাতে পাশের নরকলিকাতা গ্রামের একটি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় এলাকায় চোর প্রবেশ করেছে এমন চিৎকার চেচামেছি করেন গ্রামের বাসিন্দারা। তখন শহীদুল দৌড়ে আতারক্ষার জন্য পাশের একটি পুকুরে মেনে পরেন। সেখানে কয়েকঘন্টা অবস্থান করার পর স্থানীয়রা তাকে ভোর ৫টার দিকে আটক করে। পরে তাকে মারধর করা হয়। ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে গ্রামের রাস্তার পাশের একটি গাছের সাথে কোমরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে সকাল ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে ভোজেশ্বর পুলিশ ফাড়ির পুলিশ সদস্যরা আসেন। তখনো ওই যুবককে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়।
ভেজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন, শহীদুলকে একটি বাড়ির পাশে রাতে ঘুরতে দেখে চোর বলে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীর। তখন সকলে চিৎকার-চেচামেচি করলে সে পুকুরে নেমে আত্মগোপন করেন। পরবর্তিতে ভোরের দিকে পুকুর হতে উঠে আসলে জনতা তাকে আটকে রাখে। আমরা খবর পেয়ে পুলিশের সাথে ঘটনাস্থলে যাই। এলাকায় কোন বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেনি। তবে ওই ব্যক্তি এখানে কেন এসেছিল তা বলতে পরছিনা।
আটক যুবক শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনের মতো বাড়ি যাচ্ছিলাম। রাত একটু বেশি হয়েছিল। বেশি রাত হওয়ায় মানুষ আমাকে চোর ভেবে চিৎকার করেন। তখন একটি পুকুরের কচুরিপানার নীচে পালাই। সেখানে ৪-৫ ঘন্টা থাকার পর তীরে উঠে আসি। তখন গ্রামবাসী আমাকে মারধর করে। কোমরে দড়ি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রাখেন।
ভোজেশ্বর পুলিশ ফাড়ির উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ রবিউল হক বলেন, শহিদুলকে গাছের সাথে বেঁধে রাখা অবস্থায় দেখতে পাই। তার কোমরও হাত-পা বাধা অবস্থায় ছিল। গভীর রাতে গ্রামের রাস্তা দিয়ে ওই যুবক যাচ্ছিলেন। এমন সময় চোর সন্দেহে গ্রামবাসী তাকে তাড়া করেন। তখন তিনি পুকুরের মধ্যে আত্মগোপনে থাকেন। ভোর বেলা সেখান থেকে গ্রামবাসী তাকে আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রাখেন।